শ্রেণিসীমার অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতির বর্ণনা দাও ।

অথবা, শ্রেণিসীমার অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতি আলোচনা কর ।
অথবা, শ্রেণিসীমার অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতির শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা, শ্রেণিসীমার অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতির প্রকারভেদ আলোচনা কর ।
উত্তর৷ ভূমিকা :
পরিসংখ্যানে প্রাথমিক উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলোকে সাজিয়ে সহজভাবে প্রকাশ করার জন্য গণসংখ্যা সারণি ব্যবহার করা হয়। ঐ ব্যবহৃত সারণির অন্তর্ভুক্ত ধাপগুলো উপাত্তের ভিন্নতা অনুযায়ী বিভিন্নরকম হয়ে থাকে।
১. অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতি এবং ২. বহির্ভুক্ত পদ্ধতি ।
শ্রেণিসীমার প্রাকারভেদ : শ্রেণিসীমা দুটি উপায়ে উপস্থাপন করা যায় :
১. অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতি : একটা শ্রেণির ঊর্ধ্বসীমা ও নিম্নসীমা যদি একই শ্রেণিতে বিদ্যমান থাকে তখন সেটা অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতি । অর্থাৎ নির্দিষ্ট শ্রেণির নিম্নসীমা তার পূর্ববর্তী শ্রেণির উচ্চসীমাকে নির্দেশ করে না বা ঐ নির্দিষ্ট শ্রেণির উচ্চসীমা পরবর্তী শ্রেণির নিম্নসীমা হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতিতে তৈরি একটি সারণি দেয়া হলো :

এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়। সেটা হলো প্রকৃত সীমা বের করার পর গণসংখ্যার কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। গণসংখ্যা সবসময় অপরিবর্তনীয়। প্রকৃত সীমা শুধু অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতি থেকে বের করে নিতে হয়। বহির্ভুক্ত পদ্ধতিতে সীমা বের করার প্রয়োজন হয় না।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গণসংখ্যা নিবেশন সারণি তৈরি করার ক্ষেত্রে কাজের সুবিধার্থে এবং তথ্যের ভিন্নতার কারণে যে কয়েক ধরনের পদ্ধতির সাহায্য নেয়া হয়, তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতি উল্লেখযোগ্য। এ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রকৃত শ্রেণিসীমা নির্ধারণ করে কোনো উপাত্ত সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সুবিধা হয়।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*