পরিসরের সুবিধা লিখ ।

অথবা, পরিসরের গুণ লিখ।
অথবা, পরিসরের উপকারিতা তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
বিস্তার পরিমাপের সর্বাপেক্ষা সহজ পরিমাপক হলো পরিসর। কোন নিবেশনের মানগুলোর বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম মানের ব্যবধানই হলো পরিসর। এটি অত্যন্ত সহজ বলে এর কিছু সুবিধা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে সুবিধার পাশাপাশি এর অনেক অসুবিধাও রয়েছে ।
পরিসরের সুবিধা : বিস্তার পরিমাপের সবচেয়ে সহজবোধ্য পদ্ধতি হচ্ছে পরিসর। নিম্নে পরিসরের কতকগুলো সুবিধা উল্লেখ করা হলো :
i. পরিসর সহজবোধ্য ও সুসংজ্ঞায়িত ।
ii. এর নির্ণয় পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ।
iii. পরিসর নির্ণয়ে স্বল্প মাত্রার গাণিতিক জ্ঞানের প্রয়োজন অর্থাৎ এটি নির্ণয়ে খুব বেশি গাণিতিক জ্ঞানের দরকার নেই ।
iv. এটি নির্ণয়ে তথ্যসারির বৃহত্তম বা সর্বোচ্চ ও ক্ষুদ্রতম বা সর্বনিম্ন মান জানা থাকলেই চলে। অর্থাৎ তথ্যসারির সবগুলো মানের উপর নির্ভর করতে হয় না।
v. পরিসর নির্ণয়ে শ্রম ও সময় উভয়ই কম দরকার হয়।
vi. এটির মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে কোন তথ্যসারির বিস্তার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নেয়া যায় ।
vii. তথ্যসারির মানগুলোর মধ্যে বিদ্যমান ভেদের মাত্রাকম হলে পরিসর বিস্তার পরিমাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নিবেশনের তথ্যগুলোর কেন্দ্রীয় মান থেকে অন্যান্য বা আর সব ভিন্নমানগুলোর দূরত্ব বা বিস্তৃতি বা বিচ্যুতি জানার জন্য সবচেয়ে সহজে পরিমাপযোগ্য, বোধগম্য এবং কম মেধায় কেবল পরিসর পদ্ধতির মাধ্যমেই সম্ভব। এটা এতটাই সহজ যে কেবল নিবেশনের বৃহত্তর ও ক্ষুদ্রতম মানের ব্যবধানের মাধ্যমেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় ।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%9a%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa/
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*