পরিমিত ব্যবধানের বৈশিষ্ট্য লিখ ।

অথবা, পরিমিত ব্যবধানের প্রকৃতি লেখ।
অথবা, পরিমিত ব্যবধানের ৭টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
অথবা, পরিমিত ব্যবধানের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
উত্তরায় ভূমিকা :
পরিমিত ব্যবধান হচ্ছে পরিমাপের মধ্যে আদর্শ বিস্তার পরিমাপ । পরিমিত ব্যবধানকে আদর্শ বিচ্যুতি বা সম্যক ব্যবধান বা আদর্শ ব্যবধান বলা হয়। একটি আদর্শ বিস্তার পরিমাপ হতে হলে যেসব গুণাবলির প্রয়োজন হয় তার অধিকাংশই পরিমিত ব্যবধানে রয়েছে বলে একে আদর্শ বিস্তার পরিমাপ বলা হয় ।
পরিমিত ব্যবধানের বৈশিষ্ট্য : পরিমিত ব্যবধানের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো :
নির্ভরশীলতা : পরিমিত ব্যবধানের পরিবর্তন মূলবিন্দুর অবস্থানের উপর নয় বরং স্কেল বা মাপনী পরিবর্তনের উপর নির্ভরশীল।
ক্ষুদ্রতমমান : পরিমিত ব্যবধান মূল গড় বর্গ ব্যবধানের ক্ষুদ্রতম মানের সমান হয়ে থাকে। এটি পরিসরের চেয ক্ষুদ্রতম বা সমান হয়ে থাকে অর্থাৎ
নির্ণয়ের দিক : এক জাতীয় দুই বা ততোধিক উপাত্ত সারির সম্মিলিত পরিমিত ব্যবধান নির্ণয় করা যায় ।
প্রকাশগত : এর ক্ষুদ্রমান বিন্যাসের সমসত্ত্বতা প্রকাশ করে এবং বৃহৎ মনে অসমসত্ত্বতা প্রকাশ করে ।
শূন্য হওয়া : কোন বিন্যাসের সকল মানই ধ্রুবক হলে পরিমিত ব্যবধান শূন্য হয়।
বৃহত্তর হওয়া : পরিমিত ব্যবধান গড়ভিত্তিক গড় ব্যবধানের চেয়ে বৃহত্তর হয়।
অনুপাতের মাধ্যমে নির্ণয় : এর আপেক্ষিক পরিমাপ পরিমিত ব্যবধান ও গাণিতিক গড়ের অনুপাতের মাধ্যমে নির্ণীত হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, পরিমিত ব্যবধান বিস্তার পরিমাপের মধ্যে আদর্শ বিস্তার পরিমাপ। তাই পরিসংখ্যানে এর গুরুত্ব অনেক।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*