অথবা, নারী নির্যাতন রোধে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ভয়াভহ একটি রূপ হলো নারী নির্যাতন। গত দুই দশক ধরে নারী নির্যাতন বাংলাদেশে অন্যতম সামাজিক ইস্যু হিসেবে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে। এমন কোন দিন নেই যেদিন পত্রিকার পাতায় এক বা ততোধিক নারী নির্যাতনের খবর ছাপা হয় না।
নারী নির্যাতনরোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ : নারী নির্যাতন বন্ধের জন্য সরকার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা সংক্ষেপে নিম্নে তুলে ধরা হলো :
১. মুসলিম পারিবারিক আইন;
২. যৌতুক নিরোধ আইন;
৩. বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন;
৪. পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ;
৫. বাল্যবিবাহ অধ্যাদেশ;
৬. নারী নির্যাতন বিবর্তনমূলক আইন;
৭. অপরাধ দমন আইন;
৮. সন্ত্রাস দমন অধ্যাদেশ;
৯. মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা;
১০. নারী ও শিশু নির্যাতন সম্পর্কিত প্রচলিত আইনের সংশোধনী;
১১. মহিলা তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন;
১২. নারী ও শিশু মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় সেল;
১৩. মহিলা পুলিশ নিয়োগ;
১৪. জাতীয় কাউন্সিল গঠন;
১৫. নারী উন্নয়ন পরিষদ গঠন ইত্যাদি।
নারী নির্যাতন রোধে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় :
১. নারীকে শিক্ষিত করে তোলা,
২. দারিদ্র্য বিমোচন করা,
৩. নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা,
৪. যৌতুক প্রসার উচ্ছেদ করা,
৫. নির্যাতন বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়ন করা,
৬. বাল্যবিবাহ বন্ধ করা,
৭. ফতোয়া নিষিদ্ধ করা,
৮. জাতীয় পর্যায়ে নীতিনির্ধারণে নারী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, যদি সরকার নারী নির্যাতন রোধে উপর্যুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে আমাদের দেশে নারী নির্যাতন লাঘব হবে। তাই নারী নির্যাতন বন্ধের জন্য সরকারের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
নারী নির্যাতন রোধে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079
Leave a Reply