গণমাধ্যমে নারীকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গৃহীত পন্থাসমূহের আলোকে একটি সুপারিশমালা তৈরি কর।

অথবা, গণমাধ্যমের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অনুকূল পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে একটি সুপারিশমালা প্রদান কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
জাতীয় জীবনে নারীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও তার ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সকল প্রচারমাধ্যমের ভূমিকার উপর জোর দিয়েছে সরকার। জাতীয় নারী উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনায় নারী ও পুরুষের সুযোগ ও অংশগ্রহণের কথা বিবেচনা করে একটি সামগ্রিক সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাবও এখানে করা হয়েছে। কিন্তু এত চেষ্টা সত্ত্বেও সংবাদপত্র, টেলিভিশনসহ সকল গণমাধ্যমে এখনও নারীর গত্বাঁধা ও নেতিবাচক ভাবমূর্তি ও ভূমিকা চিক করা হয়, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে নারীর যৌনতাকে পণ্য হিসেবে ব্যাপকভাবে অপব্যবহার করা হয়।
নারী ও সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে সুপারিশমালা : গণমাধ্যম নারীকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে, আবার গণমাধ্যমই পারে নারীকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরে মানুষের মনে নারীর সুন্দর ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে। তাই গণমাধ্যম নারীকে ইতিবাচক ইমেজে গড়ে তোলার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি সে বিষয়ে কতিপয় সুপারিশমালা নিচে দেওয়া হল :
১. নারীর নেতিবাচক ইমেজ পরিহার : সংবাদপত্রে নারীকে দুর্বল, পুরুষের অধস্তন, পুরুষনির্ভর, পশ্চাৎপদ ইত্যাদি নেতিবাচক ইমেজে উপস্থাপন করার রীতি পরিহার করতে হবে। সংবাদ, ফিচার এমনকি বিজ্ঞাপনে এসব ইমেজ যেন প্রকাশিত না হয় সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
২. নারী বিষয়ক সংবাদের জন্য অধিক জায়গা প্রদান : নারী বিষয়ক একেকটি আইটেমের জন্য অধিক স্পেস দেওয়া প্রয়োজন । প্রথম পৃষ্ঠায় উপরের দিকে জায়গা দিতে হবে। প্রতি পাতায় নারীদের সংবাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রাখতে হবে।
৩. অধিক নারী বিষয়ক সংবাদ প্রকাশ : সংবাদপত্রে আরও বেশি করে নারী বিষয়ক সংবাদ, সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় বা চিঠিপত্র প্রকাশ করা প্রয়োজন। দরিদ্র, গ্রামীণ নারীদের সংবাদ খুব কম থাকে তাই তাদের সংবাদ বেশি করে ছাপাতে হবে।
৪. সৌন্দর্য সামগ্রী হিসেবে নারীর ছবি ব্যবহার বন্ধ করা : খবরে নারীর উপস্থিতি কম থাকলেও সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবিতে নারীকে ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। সৌন্দর্য সামগ্রী হিসেবে ছবিতে নারীর অপ্রাসঙ্গিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। নারীর ছবির অপব্যবহার বন্ধ করে যেখানে দরকার শুধু সেখানেই নারীর ছবি ব্যবহার করতে হবে।
৫. ধর্ষণ ও অন্যান্য নির্যাতনের সংবাদে নারীর ছবি দেওয়ার রীতি বন্ধ করা : ধর্ষণ বা অন্যান্য নির্যাতনের সংবাদে নারীর ছবিসহ সচিত্র বর্ণনার রীতি পরিহার করতে হবে। ধর্ষণ সংবাদে যতটা সম্ভব নির্যাতনকারীর পরিচয় প্রদান করতে হবে এবং ঘটনার শিকার নারীর পরিচয় যতটা সম্ভব কম দিতে হবে।
৬. আত্মনির্ভরশীল নারীর চিত্র তুলে ধরা : সংবাদ ছবি বা অন্য আইটেমে নারীর দুর্বল প্রতিকৃতির বদলে নারীর সফল, ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরা প্রয়োজন। অর্ধেক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য তথা সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে সফল আত্মনির্ভরশীল নারীর চিত্র বেশি করে তুলে ধরা উচিত। আত্মনির্ভরশীল, সফল নারীদের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করতে হবে।
৭. কুটিল হিসেবে নারীকে তুলে ধরার প্রবণতা পরিহার করা : চাঞ্চল্য সৃষ্টির জন্য কাটতির জন্য প্রেম, পরকীয় প্রেম, হত্যা ইত্যাদি ঘটনায় নারীকে কেন্দ্রীয় চরিত্র বা হোতা বানিয়ে বা ইঙ্গিত দিয়ে খবর পরিবেশন করার রীতি পরিহার করতে হবে। এভাবে খবর পরিবেশন করলে নারীদের সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়।
৮. নারী বিষয়ক পাতায় রান্নাবান্নার বদলে নারীদের বিভিন্ন ইস্যু যোগ করতে হবে : নারী বিষয়ক পাতায় রান্নাবান্না, ফ্যাশন, গৃহস্থালি ইত্যাদি বিষয় যা তার অগ্রগতির জন্য অনেকক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে কাজ করে বাদ দিতে হবে। এসবে জন্য আলাদা পাতা করা যেতে পারে। নারী বিষয়ক পাতায় কেবল নারীর অর্জন, সমস্যা, সম্ভাবনা, ইস্যুভিত্তিক চিঠিপত্র ইত্যাদি পরিবেশন করা যেতে পারে। নারী বিষয়ক পাতায় পুরুষদেরও লেখালেখির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট করতে হবে। নারী ও চলচ্চিত্র বিষয়ে সুপারিশমালা : নারী ও চলচ্চিত্র বিষয়ে সুপারিশমালা নিম্নে উপস্থাপন করা হলঃ
১. নারীর গতানুগতিক ভাবমূর্তি পরিহার করা : চলচ্চিত্রে নারীকে প্রেমিকা, মা, সতী নারী ইত্যাদি গতানুগতিক ভূমিকায় উপস্থাপন না করে আত্মনির্ভরশীল, সফল নারী হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। নারীর জন্য ঘর, গৃহস্থালি প্রধান না দেখিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবী নারীকে তুলে ধরতে হবে।
২. অশ্লীলতা বন্ধ করা : সাম্প্রতিক কালের বাংলা চলচ্চিত্রে নারীকে অত্যন্ত অশ্লীলভাবে উপস্থাপন করা হয়। এটা বন্ধ করতে হবে। অশ্লীলতার সাথে জড়িত সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নারীদের যাতে অশ্লীলভাবে উপস্থাপন করতে না পারে সেজন্য তাদেরও সচেতন হতে হবে।
৩. নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার দৃশ্য পরিহার করা : চলচ্চিত্রে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাকে খুব স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে দেখানো হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক কালের চলচ্চিত্রে নায়িকা নায়ক কর্তৃক নির্যাতিত হচ্ছে বা অন্য নারীরা ভিলেন কর্তৃক নির্যাতিত হচ্ছে। এসব সহিংসতার দৃশ্য পরিহার করতে হবে। এসব দৃশ্য বাস্তবেও পুরুষকে নারীর প্রতি নির্যাতনে
উৎসাহিত করে তোলে। তাই এসব দৃশ্য পরিহার করা একান্ত প্রয়োজন।
৪. ধর্ষণ দৃশ্য বাদ দেওয়া : সাম্প্রতিক মূলধারার বাংলা চলচ্চিত্রে ধর্ষণকে আবশ্যিক উপাদান হিসেবে দেখানো হয়ে থাকে। ধর্ষণ দৃশ্য যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে; কারণ ধর্ষণ হল নারীর প্রতি পুরুষের আক্রোশের ও সুপিরিওরিটি প্রকাশের সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র।
৫. যৌন সামগ্রী হিসেবে নারীর ব্যবহার বন্ধ করা : নারী সৌন্দর্য ও যৌন সামগ্রী হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় চলচ্চিত্রে। কেবল মুনাফার জন্য নারীকে যৌন সামগ্রী হিসেবে ব্যবহারের রীতি পরিহার করতে হবে। যদি এটা পরিহার করা না হয়, তাহলে চলচ্চিত্রে নারীর ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে উঠবে না।
৬. নারী নির্মাতাদের এগিয়ে আসতে হবে : চলচ্চিত্র নির্মাণে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের সমস্যা পুরুষদের চেয়ে তারাই ভালো বুঝবেন। নারী নির্মাতাদের হাতে নারীর অপরূপায়ণের বিষয়টি কমে আসবে। আর এসব নারী নির্মাতারা নারীকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের দিকেও সচেতন থাকবে।
৭. সেন্সরবোর্ডে নারী সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো : সেন্সরবোর্ডে যদি নারী সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো হয়, তাহলে তারা নারীদের আপত্তিকর দৃশ্যে ব্যবহার করলে সেগুলো ছাঁটাই করতে পারবে। নারীদের কিভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সে বিষয়ে তারা সচেতন থাকবে এবং নারীদের নেতিবাচকভাবে তুলে ধরলে সে ছবি তারা মুক্তি না দেওয়ার সুপারিশ করতে পারবে।
৮. চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাইকে জেন্ডার সংবেদনশীল হতে হবে : চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাই অর্থাৎ পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সবাই যদি জেন্ডার সংবেদনশীল হয়, তাহলে নারীকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের প্রবণতা কমে যাবে। তাই সবার জন্য জেন্ডার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। জেন্ডার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার কারণে সবাই জেন্ডার সংবেদনশীল হয়ে নারীর ইতিবাচক ইমেজ প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। নারী ও টেলিভিশনের ক্ষেত্রে সুপারিশমালা :
১. নারীর ইতিবাচক ভূমিকা তুলে ধরা : টেলিভিশনে প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল নারীদের নিয়ে আসা যেতে পারে। টেলিভিশন নাটকে বিভিন্ন গৎবাঁধা চরিত্রে না দেখিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে এ রকম নারী চরিত্র দেখানো যেতে পারে। আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত নারীদের সাক্ষাৎকার, তাদের কর্ম প্রচার করলে নারীদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা পরিবর্তন হবে।
২. সৌন্দর্যপণ্য হিসেবে নারীর উপস্থিতি বন্ধ করা : টেলিভিশনের বিভিন্ন নাটকে এবং বিজ্ঞাপনে নারীর সৌন্দর্যকেই সবচেয়ে হাইলাইট করা হয়। আত্মনির্ভরশীল এবং সফল নারীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তুলে ধরে এবং এ ধরনের চরিত্রের নাটক তৈরি করে বুঝাতে হবে যে, সৌন্দর্যই নারীর সবকিছু নয়।
৩. নারী নাট্যকারদের এগিয়ে আসতে হবে : যারা নারী নাট্যকার তাদেরকে নারীদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরা জন্য শুধু গতানুগতিক নয় নারীদের বিভিন্ন ইস্যু, সমস্যা, নারী আন্দোলন নিয়ে নাটক নির্মাণ করতে হবে। নারী নাট্যকাররাই পারবে নারীদের ভূমিকা সঠিকভাবে তুলে ধরতে।
৪. নাটকের অভিনেত্রীদের সচেতন হতে হবে : নারী অভিনেত্রীরা যদি সচেতন হয়, তাহলে তারা নারীদের
নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয় এ রকম নাটক করা থেকে বিরত থাকবেন। তারা সচেতন হলে যেসব পুরুষ নাট্যকার নারীদের সনাতন বা গত্বাঁধা চরিত্রে তুলে ধরে তাদের নাটক করা থেকে বিরত থাকবে। এজন্য পুরুষ নাট্যকারও সচেতন হবেন টেলিভিশন অনুষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জেন্ডার সংবেদনশীল হতে হবে : টেলিভিশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা,
কলাকুশলী, শিল্পী, নাট্যকার, পরিচালক সবাইকে জেন্ডার সংবেদনশীল হতে হবে। জেন্ডার সংবেদনশীল হলে নির্মাতারা
নারীর নেতিবাচক ভূমিকা ফুটে উঠবে এ রকম অনুষ্ঠান নির্মাণ করবেন না এবং টিভি কর্তৃপক্ষ সচেতন হলে এ রকম অনুষ্ঠান তারা প্রচার করবেন না।
নারী ও বিজ্ঞাপন বিষয়ে সুপারিশমালা : নারী ও বিজ্ঞাপন বিষয়ে সুপারিশমালা নিয়ে উপস্থাপন করা হল ঃ
১. বিজ্ঞাপন বিষয়ক জেন্ডার সংবেদনশীল নীতিমালা প্রণয়ন : বিজ্ঞাপন বিষয়ক জেন্ডার সংবেদনশীল নীতিমালা ও আচরণবিধি আবশ্যিকভাবে প্রণয়ন করা যেতে পারে। আশেপাশের দেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই জেন্ডার সংবেদনশীল নীতিমালার ও আচরণবিধি রয়েছে। সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে এ রকম একটি নীতিমালা ও আচরণবিধি জরুরি ভিত্তিতে প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
২. জেন্ডার সংবেদনশীলতা প্রশিক্ষণ দান : জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মত সরকারি সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো বিজ্ঞাপন সংস্থায় কর্মরত কর্মী ও কর্মকর্তা পর্যায়ে জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করতে পারে।
৩. জেন্ডার সংবেদনশীলতাকে সামাজিক আন্দোলনে রূপদান : যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগসমূহ, গণমাধ্যম বিষয়ক প্রতিষ্ঠানসমূহ, বেসরকারি সংস্থাসমূহ, প্রেসার গ্রুপ ও অ্যাকির্ভিস্ট, সমাজ সচেতন ব্যক্তিবর্গ সেমিনার, আলোচনা, বিজ্ঞাপন সংস্থাসমূহের সঙ্গে মতবিনিময়, লেখালেখি, অ্যাডভোকেসীর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনে জেন্ডার সংবেদনশীলতার বিষয়টিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে পারে।
৪. সিলেবাসে জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা : যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগসমূহ এবং বিজনেস স্টাডিজের বিভিন্ন বিভাগে বিজ্ঞাপন কলা বিষয়ক সিলেবাসে বিজ্ঞাপনের এথিকস ও জেন্ডার সংবেদনশীলতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলে তারা বিজ্ঞাপন নির্মাণের সময় নারীর উপস্থাপনের দিকে সচেতন থাকবে।
৫. নারীর সমউপস্থাপন : বিজ্ঞাপনের নেপথ্য কণ্ঠ ও অন্যান্য সিদ্ধান্তগ্রহণমূলক অংশে পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও সমভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, গণমাধ্যমে নারীর ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলার জন্য উপরে যেসব পদক্ষেপের কথা আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলো যদি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে গণমাধ্যমে নারীকে বিকৃত ও খণ্ডিতরূপে নয় পূর্ণাঙ্গ এবং ইতিবাচক রূপে দেখতে পাব বলে আশা করা যায়। উপরের পদক্ষেপগুলো
বাস্তবায়িত হলে সব গণমাধ্যমের সবাই জেণ্ডার সংবেদনশীল হবে এবং গণমাধ্যমে নারী ও পুরুষের প্রকৃত উপস্থাপন দেখতে পাব। গণমাধ্যমে যা দেখানো হয় তা সমাজে অত্যন্ত শক্তিশালী প্রভাব ফেলে। তাই গণমাধ্যমে নারীর ইতিবাচক ইমেজ তুলে ধরলে তা সমাজেও প্রভাব ফেলবে, মানুষের মনে নারীর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার পরিবর্তন হবে এবং সমাজও জেন্ডার সংবেদনশীল হবে।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*