উপজেলা পরিষদের কার্যক্রমের প্রতিবন্ধকতাসমূহ উলেখ কর।

অথবা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের সমস্যাবলিসমূহ চিহ্নিত কর।
অথবা, উপজেলা পরিষদের কার্যক্রমের বাধাগুলো লেখ।
অথবা, উপজেলা পরিষদের কার্যক্রমের প্রতিবন্ধকতা নির্ণয় কর।
অথবা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রমের অসুবিধাসমূহ নিরূপণ কর।
অথবা, উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের সমস্যাগুলো তুলে ধর।
অথবা, উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের অন্তরায়সমূহ তুলে ধর।
অথবা, উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের বাধাসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
উপজেলা পরিষদ আমাদের দেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। পল্লি এলাকার প্রশাসন, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের সমস্যাবলি : বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের নিম্নস্তরে উপজেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গন। কিন্তু বর্তমানের আমলাতন্ত্রের জটিলতা এবং সরকারের পূর্ণমাত্রার প্রচেষ্টার অভাবে উপজেলা পরিষদ যথাযথভাবে কার্যকর হতে পারছে না। উপজেলা ব্যবস্থায় উন্নয়নের সমস্যাবলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
১. অনুদানের পরিমাণ : উপজেলার উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সুযোগ সুবিধা থাকা উচিত।এক্ষেত্রে সরকারি অনুদানই সর্বোচ্চ।
২. অনুদানের উৎপাদনমুখী ব্যবহার : শুধু অনুদান দিলেই চলবে না, এ অনুদানকে উৎপাদনমুখী কাজে লাগাতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে, অধিকাংশ অনুদানই অনুৎপাদনশীল কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন- উপজেলা অফিস ও ভবন এবং উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তাদের বাসস্থান প্রভৃতি তৈরির কাজে।
৩. কর আদায়ের ক্ষমতা : উপজেলা পরিষদের কর আদায়ের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু করের যে কয়টি উৎসের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো পর্যাপ্ত নয়। যেমন- প্রায় উপজেলাতেই জলমহাল নেই। এছাড়া উপজেলার নির্বাচিত সদস্যগণ এলাকার জনগণের উপর করারোপ করতে অনীহা প্রকাশ করেন ।
৪. পরিকল্পনা সংক্রান্ত সমস্যা : উপজেলা পরিষদের বিভিন্নমুখী কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনার। উপজেলা পর্যায়ে পরিকল্পনা কমিশন এবং স্থানীয় সরকার ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করে তাদের উপর বিভিন্ন প্রকল্পের
অগ্রাধিকার যাচাইয়ের ভার প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এ অগ্রাধিকার যাচাই করার ক্ষেত্রে দেখা যায় নানাবিধ সমস্যা।
৫. সরকারি স্বার্থরক্ষা : উপজেলা পরিষদের যদিও একজন নির্বাচিত সভাপতি থাকেন তথাপি এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সরকার মনোনীত অন্যান্য সদস্যের উপস্থিতির কারণে সরকারি স্বার্থই অধিক পরিমাণে রক্ষিত হয় এবং জনগণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় বহুলাংশে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশে ১৯৮২ সালের ডিসেম্বরে সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে যে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের কর্মসূচি তথা যে উপজেলা ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা করা হয়। এতদ্‌সত্ত্বেও প্রকৃত অর্থে উক্ত ব্যবস্থাটি প্রকৃত বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থা তথা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চরিত্রস্বরূপ হয় নি।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%a4%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc/
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*