Answer

নারীর ক্ষমতায়নে নেতিবাচক সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া দায়ী- সংক্ষেপে আলোচনা কর।

অথবা, নেতিবাচক সামাজিকীকরণ কিভাবে নারীর ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্ত করে?
অথবা, নারীর ক্ষমতায়নে নেতিবাচক সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া দায়ী-বর্ণনা কর।
অথবা, নারীর ক্ষমতায়নের নেতিবাচক সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা কর।
অথবা, নারীর ক্ষমতায়নের বাধা হিসেবে নেতিবাচক সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
বর্তমান বিশ্ব গণতান্ত্রিক বিশ্ব। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ। কিন্তু আমাদের সমাজ কাঠামো এমনভাবে সাজানো যেখানে নারীর ক্ষমতায়নে হাজারো প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নারীর ক্ষমতায়নে যেসব সমস্যা বিদ্যমান তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মাত্রায় রয়েছে নেতিবাচক সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া। এটা প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীকে বাধাগ্রস্ত করছে।
নেতিবাচক সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া : জন্মের পর থেকেই প্রতিটি শিশু বেড়ে উঠে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায়। আর এই সামাজিকীকরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহন বা মাধ্যম হচ্ছে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, পাড়া-প্রতিবেশী, গণমাধ্যম, আত্মীয়স্বজন ইত্যাদি। কিন্তু সামাজিকীকরণে এ সকল মাধ্যম পিতৃতন্ত্রের ধারক ও বাহক।
আর এই পিতৃতান্ত্রিক মূল্যবোধের কারণে ছোট থেকেই মেয়ে শিশুর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পায়। শিশু থেকেই নারীকে সমাজ নির্ধারিত ভূমিকা গ্রহণ ও তা মেনে চলার শিক্ষা দেয়া হয়। তাদের শিখানো হয় তারা দুর্বল, তারা বাহিরের কাজে অযোগ্য, শুধু ঘরের কাজের মধ্যে তাদের ভূমিকা সীমাবদ্ধ। আর এভাবেই নেতিবাচক সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া নারীকে অধস্তন করে রাখে। বাংলাদেশের নারী সমাজের বিশেষ করে গ্রাম্য নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে এ নেতিবাচক সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া।
উপসংহার : পরিশেষে আমরা বলতে পারি, উপরের আলোচনায় সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার যে ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হলো, তা নারী সমাজের জন্য সুখকর নয়। তাই নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকল্পে আমাদের এই পুরুষতান্ত্রিক সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!