কিভাবে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা যায়?

অথবা, নারীর ক্ষমতায়নে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়?
অথবা, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার উপায় লিখ।
অথবা, নারীর ক্ষমতায়নের উপায় বর্ণনা কর।
অথবা, নারীর ক্ষমতায়নের উপায় সম্পর্কে ব্যাখ্যা দাও।
অথবা, নারীর ক্ষমতায়নের উপায়সমূহ তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা : বর্তমান সময়ে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়টি একটি বহুমাত্রিক বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। কেননা নারীর ক্ষমতায়ন বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন করতে হলে সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। জেন্ডার কর্মবিভাজনের আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীর পদচারণা নিশ্চিত করতে হবে।
নারীর ক্ষমতায়নে পদক্ষেপসমূহ : নিম্নে নারীর ক্ষমতায়নে পদক্ষেপসমূহ আলোচনা করা হলো :
১. বৈষম্যমূলক আইনের পরিবর্তন : বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন করতে হলে নারীর প্রতি বৈষম্য সৃষ্টিকারী আইনের পরিবর্তন করতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদের তিনটি ধারায় আপত্তির মধ্যে ১৩(ক) এবং ১৬/১(চ) ধারায় আপত্তি প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ সরকার।
২. নারী নির্যাতন প্রতিরোধ : নারী নির্যাতন প্রতিরোধের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন করা যায়। বর্তমানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসাসহ সকলক্ষেত্রে নারীদের বৈষম্যের দৃষ্টিতে দেখা হয়। নিজ গৃহ থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন জায়গায় নারীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। নারী ক্ষমতায়নে সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
৩. নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি : বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সকল স্তরেই নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো দরকার। কারণ নিজেদের বিষয়ে কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্তরে না থাকলে নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়।
৪. নারীর কাজের স্বীকৃতি : বাংলাদেশে নারীদের কাজের স্বীকৃতিদানের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন সম্ভব। নারী যে সকলকাজ করতে পারে, সমাজ ও পরিবেশে এ ধারণা সৃষ্টি হওয়া দরকার; যা নারীকে মর্যাদাবান করবে। সকল ধরনের কাজে নারীর অভিজ্ঞতা থাকলে তার ক্ষমতায়ন পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, উপরের আলোচনায় নারীর ক্ষমতায়নে যেসব পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে তা যদি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে নারীর ক্ষমতায়ন অসম্ভব কিছু নয়।