গবেষণায় অনুমানের গুরুত্ব লিখ।প্রশ্ন।২২। পূর্বানুমানের সংজ্ঞা দাও ।

অথবা, গবেষণায় অনুমানের প্রয়োজনীয়তা লিখ।
অথবা, গবেষণায় অনুমানের তাৎপর্যগুলো আলোচনা কর।
অথবা, গবেষণায় অনুমানের ৮টি গুরুত্ব লেখ।
উত্তর৷ ভূমিকা :
সামাজিক গবেষণায় অনুমান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে অনুমান নিয়ে করা হয় এবং পরবর্তীতে পর্যায়গুলোতে উক্ত অনুমান পরীক্ষা করা হয়। বাস্তবে যে কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অনুমানের ভূমিকা অনন্য। তবে গবেষণার ভূমিকা বা গুরুত্ব নির্ভর করে গবেষকের সুতীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ, সুশৃঙ্খল কল্পনা, গঠনমূলক চিন্তাশক্তি এবং তাত্ত্বিক কাঠামোর উপর ।
অনুমানের গুরুত্ব : সামাজিক গবেষণায় অনুমান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে । গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে অনুমান স্থির করা হয় এবং পরবর্তী পর্যায়গুলোতে উক্ত অনুমান পরীক্ষা করা হয় । বাস্তবে যে কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অনুমানের ভূমিকা অনন্য । অনুমানের ভূমিকা বা কাজকে নিম্নলিখিত উপায়ে ব্যাখ্যা করা হলো :
GOOD LUC
১. গবেষণা প্রশ্ন ও উত্তর : অনুমান একদিকে গবেষণা প্রশ্ন এবং অন্যদিকে গবেষণা প্রশ্নের উত্তর বা সমাধান । কারণ অনুমানকে গবেষণা প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর আকারে উপস্থাপন করা হয়। অবশ্য স্থিরকৃত উত্তর ইতিবাচক বা নেতিবাচকভাবে পরীক্ষিত হতে পারে ।
২. তথ্যের ধরন : গবেষণার জন্য কি ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে তা অনুমান নির্দিষ্ট করে দেয় । কারণ গবেষণার জন্য কি ধরনের তথ্য প্রয়োজন তা অনুমানের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে ।
৩. গবেষণার পরিসর নির্ধারণ : অনুমান গবেষণার জন্য নির্দিষ্ট ও সীমিত পরিসর চিহ্নিত করে দেয়। এর ফলে গবেষক অপ্রয়োজনীয় ও অনির্ধারিত ক্ষেত্রে বিচরণ করেন না। অথচ অনুমানের অনুপস্থিতির কারণে গবেষক প্রয়োজনীয় পরিসর খুঁজে পান না ।
৪. অপ্রয়োজনীয় তথ্য বর্জন : অনুমান গবেষককে অপ্রয়োজনীয় তথ্য বর্জন করতে নির্দেশ দেয় । অনুমান পরীক্ষা করার জন্য যে ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন গবেষক কেবল তাই করেন ।
৫. তথ্য বিন্যস্ত ও বিশ্লেষণ : কিভাবে তথ্য বিন্যস্ত ও বিশ্লেষণ করতে হবে অনুমান যে ব্যাপারে নির্দেশ দেয়। একট অনুমান পরীক্ষা করার জন্য কি তথ্য সংগ্রহ করা হবে সেটা একমাত্র বিষয় নয়, বরং সংগৃহীত তথ্য কিভাবে বিন্যস্ত ও বিশ্লেষণ করতে হবে সেটাও প্রয়োজনীয়।
৬. অনুসন্ধান পদ্ধতি নির্ধারণ : অনুমান গবেষণার অনুসন্ধান পদ্ধতি নির্ধারণ করে । একটি নির্দিষ্ট অনুমান পরীক্ষা করার জন্য কি ধরনের অনুসন্ধান পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে তা অনুমান নির্ধারণ করে দেয়। কারণ সব ধরনের অনুমা পরীক্ষা করার জন্য একই ধরনের অনুসন্ধান পদ্ধতির অনুসরণ করা হয় না।
৭. বিধি প্রতিষ্ঠা : অনুমান একাধিক চলকের মধ্যে সম্পর্ক কল্পনা করে এবং উক্ত সম্পর্ক পরীক্ষা করার চেষ্টা করে । এল ফলে অনুমান বাস্তবে সাধারণীকরণ ও বিধি প্রতিষ্ঠা করে ।
৮. তত্ত্ব গঠন : অনুমান তত্ত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । কারণ পরীক্ষিত অনুমান কোনো তত্ত্বকে গ্রহণ বর্জন বা সংশোধন করে । কাজেই তত্ত্ব গঠনে অনুমানের ভূমিকা অনন্য।
৯. সাশ্রয়ী : অনুমান যেহেতু কি তথ্য সংগ্রহ করা হবে তা নির্ধারণ করে দেয় এবং গবেষণার পরিসীমা নির্ধারণ করে দেয়; কাজেই তা গবেষকের অর্থ, সময় ও শ্রম বাঁচাতে সহায়তা করে ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণায় অনুমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । অনুমান গবেষণার পরিচালক, নির্দেশক এবং পথপ্রদর্শক । অনুমানের নুপস্থিতিতে গবেষণা বিশৃঙ্খলভাবেঅগ্রসর হয় এবং গবেষকের অর্থ, সময় ও শ্রমের অপচয় সাধিত হয়। এজন্য সামাজিক গবেষণায় গবেষক নির্দিষ্ট অনুমান নিয়ে গবেষণা কার্য শুরু করেন এবং পুরো গবেষণার মেধা পরীক্ষা করেন ।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!