মনকে প্রাণের পরিণতি এবং জড়কে প্রাণের বিকৃতি বললেও অত্যুক্তি হয় না।”- ব্যাখ্যা কর।

উৎস : ব্যাখ্যেয় গদ্যাংশটুকু সুসাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী বিরচিত যৌবনে দাও রাজটিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে চয়চয়নন
প্রসঙ্গ : প্রাণের সাথে চৈতন্য ও জড়ের পার্থক্য কি সে সম্পর্কে প্রাবন্ধিক উল্লিখিত মন্তব্য করেছেন।
বিশ্লেষণ : মানুষের জীবনের একদিকে আছে কর্মময়তা বা চৈতন্য আর একদিকে আছে জড়তা। কর্মময়তা হলো যৌবনের ধর্ম এবং জড়তা হলো বার্ধক্যের বৈশিষ্ট্য। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ করলেই মানুষের দেহে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই প্রাণচাঞ্চল্য মানুষের মনে চৈতন্যকে জাগ্রত করে। প্রাণের একটি বিশেষ ধর্ম হলো তা প্রতি মুহূর্তে রূপান্তরিত হয়। প্রাণ অধোগতি প্রাপ্ত হয়ে জড় জগতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। আর ঊর্ধ্বগতি প্রাপ্ত হয়ে মনোজগতের অন্তর্ভুক্ত হয়। মনকে প্রাণের পরিণতি এবং জড়কে প্রাণের বিকৃতি বললেও অত্যুক্তি হয় না। প্রাণের স্বাভাবিক গতি হচ্ছে মনোজগতের দিকে। প্রাণের স্বাধীন গতিকে বাধা দিলেই তা জড়তা প্রাপ্ত হয়। প্রাণ নিজের অভিব্যক্তির নিয়ম নিজে গড়ে নেয়। বাইরের নিয়মে তাকে বাধা দেওয়া হলেই সে জগতের অধীন হয়ে পড়ে।
মন্তব্য : মন সজীব এবং সচল, আর জড় পদার্থ নির্জীব ও গতিশীল। মন প্রাণের পরিণতি এবং জড়তা প্রাণের বিকৃতি। প্রাণের গতি বাধাপ্রাপ্ত হলে তা জড় পদার্থে পরিণত হয়। গেলে আবার ফিরে আসে না, কিন্তু

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%af%e0%a7%8c%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%93-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7-%e0%a6%aa/
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*