জেন্ডার ও উন্নয়ন কী?

অথবা, লিঙ্গ ও উন্নয়ন বলতে কী বুঝ?
অথবা, জেন্ডার ও উন্নয়ন কাকে বলে?
অথবা, জেন্ডার ও উন্নয়ন ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
সংক্ষেপে আলোচনা কর।
অথবা, জেন্ডার ও উন্নয়ন সম্পর্কে
অথবা, জেন্ডার ও উন্নয়ন সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা।
উত্তর৷ ভূমিকা :
১৯৮০ এর দশকে উন্নয়নে নারী এবং নীতিমালার সীমাবদ্ধতার প্রেক্ষিতে জেন্ডার এবং উন্নয়ন (Gender And Development) বা সংক্ষেপে গ্যাড (GAD) নামক নীতিমালার উদ্ভব ঘটেছে। মূলত সমাজতান্ত্রিক নারীবাদ এর ভিত্তি।
জেন্ডার ও উন্নয়ন : জেন্ডার এবং উন্নয়ন একমাত্র নারী উন্নয়ন নীতিমালা যা নারীর জীবনের সব দিককে সামনে নিয়ে আসে। নারী কর্তৃক সম্পাদিত উৎপাদকমূলক বা পুনঃউৎপাদনমূলক; ব্যক্তিগত বা সামাজিক সকল ধরনের কাজের উপর মনোযোগ স্থাপন করে এবং পারিবারিক ও সাংসারিক কাজকে মূল্য দেয়। এই নীতিমালা কেবল নারীর উপরই নয়, জীবনের সর্বক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যকার সামাজিক সম্পর্কের উপরই আলোকপাত করে। জেন্ডার এবং উন্নয়ন মধ্যকার নানা সামাজিক সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই এই জেন্ডার এবং উন্নয়ন বা গ্যাড নীতিমালার উদ্ভব ঘটেছে। নারী ও পুরুষের মধ্যকার সম্পর্ক হতে পারে আরোপিত যেমন- জন্মগত ও বৈবাহিক সূত্রে, জাতি-গোষ্ঠীগতভাবে নারী ও পুরুষের সম্পর্ক। গ্যাড নীতিমালা নারীকে উন্নয়নের পরোক্ষ উপকারভোগী এবং সক্রিয় চালিকাশক্তিরূপে বিবেচনা করে। যদিও এখানে এখনো ধরে নেয়া হয় না, দেখা যায় একজন নারী ব্যক্তিগতভাবে তার হীন অবস্থার সম্পর্কে সচেতন হলেও এই বৈষম্য ও অধস্তনতার মূল ভিত্তিকে শনাক্ত করতে সক্ষম নাও হতে পারে। এছাড়াও গ্যাড নারীর অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপের উপর গুরুত্বারোপ করে। কেননা, এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে অধিকাংশ উন্নয়নশীল বিশ্বে রাষ্ট্রের দ্বৈত ভূমিকা রয়েছে। একদিকে তা শ্রমশক্তির সবচেয়ে বড় নিয়োগকারী এবং অন্যদিকে সামাজিক মূলধন বরাদ্দকারী। সেজন্য গ্যাড নীতিমালা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লালন পালনের জন্য সামাজিক মূলধন যোগানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কর্তব্যের উপর জোর দেয়। গ্যাড বা জেন্ডার এবং উন্নয়ন নীতি মনে করে যে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তাই নারীর অগ্রগতির পথে প্রথম পদক্ষেপ হলো এমন অবস্থা সৃষ্টি করা যাতে করে নারী ও পুরুষ দারিদ্র্য থেকে পরিত্রাণ লাভ করতে পারে। দেখা যায় যে দরিদ্রতা সৃষ্টিকারী অবস্থানকে মোকাবিলা করার সামর্থ্য দরিদ্রদের নেই। সে জন্য এই নীতিমালা দারিদ্র্য বিমোচনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত কল্যাণমূলক বা মৌলিক চাহিদা পূরণ কর্মসূচির মধ্যেও জেন্ডার সচেতনতা বৃদ্ধির শর্ত সৃষ্টি করার উদ্যোগ গ্রহণের উপর জোর দেয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, জেন্ডার ও উন্নয়ন নীতির চূড়ান্ত লক্ষ্য নারীর সেই সাথেই পুরুষেরও ক্ষমতায়ন। তাদের এমন স্তরে উন্নীত করা যেখান থেকে তারা নিজেদের অধিকার, পছন্দ, অগ্রাধিকারের জন্য লড়াই
করতে সক্ষম। এই নীতিমালা এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলে যেখানে ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি বা লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলেই সমতার ভিত্তিতে বিবেচিত।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%9a%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%93-%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%8d/
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*