কেস স্টাডি পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যসূহ লিখ।

অথবা, কেস স্টাডি পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
অথবা, কেস স্টাডি পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
অথবা, কেস স্টাডি পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
ঘটনা অনুধ্যানে কোন বিষয়ের অনুসন্ধানে সামগ্রিক দিক বিবেচনা করা হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো নির্দিষ্ট সমস্যার স্বরূপ উন্মোচন করে তার সুষ্ঠু সমাধান পরিকল্পনায় সম্যক সহায়তা করা। ফলে কেস স্টাডি পদ্ধতিতে কতকগুলো স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় সেগুলো গবেষণার ব্যবহৃত অন্যান্য পদ্ধতিগুলোকে এটা পৃথক করেছে।
কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্য : কেস স্টাডি বা ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতির নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা তাকে স্বাতন্ত্র্য দান করেছে। নিম্নে এর বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করা হলো :
১. কেস স্টাডি পদ্ধতি একটি ‘সামাজিক এককের’ (Social Unit) উপর গুরুত্বারোপ করে এবং এর গভীরে প্রবেশ করে।
২.এ পদ্ধতি উদ্ঘাটনমূলক এবং অনুসন্ধানমূলক ।
৩. এ পদ্ধতি ঐতিহাসিক পদ্ধতির উপর গুরুত্বারোপ করে বর্তমানকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে।
৪. এ পদ্ধতি দুই একটি ঘটনাবলির মাধ্যমে সমগ্র ঘটনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে ।
৫. এ পদ্ধতি নির্বাচিত বিষয়কে নিয়ে দীর্ঘ সময়ব্যাপী অধ্যয়ন করে।
৬. এ পদ্ধতি কল্পনাপ্রসূত নয় বরং তা সুনির্দিষ্ট এবং বস্তুনিষ্ঠ ।
৭. এ পদ্ধতির মাধ্যমে কার্যকারণ সম্পর্ক বিশ্লেষণ ও সাধারণীকরণ করা যায়।
৮. এ পদ্ধতি যে কোন সমস্যা সমাধানে অধিকতর কার্যকরী।
৯. এ পদ্ধতি বর্ণনামূলক এবং বিশ্লেষণধর্মী।
১০. এটি একটি গুণগত বিশ্লেষণ পদ্ধতি এবং এটি অনেকাংশে নমনীয় প্রকৃতির ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সমাজ গবেষণার এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো ঘটনা অনুষ্ঠান। এর মূল লক্ষ্য হলো নির্দিষ্ট সমস্যার স্বরূপ উন্মোচন করে তার সুষ্ঠু সমাধান পরিকল্পনার সম্যক সহায়তা করা। এ পদ্ধতি সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, চিকিৎসা বিদ্যা, মনোচিকিৎসা, অর্থনীতি শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাফল্যের সাথে প্রয়োগ করা।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*