একরাত্রি’ গল্পের মূলভাব আলোচনা কর।

উত্তর : ‘একরাত্রি’ গল্পের নায়কের বাল্যকালের খেলার সাথী ছিল সুরবালা। উভয়ের পরিবারের মধ্যে যে সম্প্রীতি বজায় ছিল তাতে বড় হলে একটা বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে তোলা অসম্ভব ছিল না।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত “একরাত্রি” গল্পের বিষয়বস্তু:

কাহিনী:“একরাত্রি” গল্পে, আমরা নায়ক, যিনি একজন শিক্ষক, এবং সুরবালা নামে একজন মহিলার সাথে তাদের বাল্যকাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত সম্পর্কের বিবর্তন দেখতে পাই।

প্রথম অংশে, আমরা নায়ক ও সুরবালার শৈশবের বন্ধুত্ব সম্পর্কে জানতে পাই। তারা একই গ্রামে বড় হয়ে ওঠে এবং একসাথে স্কুলে যায়। নায়ক সুরবালার প্রতি আকৃষ্ট হয়, কিন্তু তারা তখন একে অপরের প্রেমের কথা বুঝতে পারে না।

দ্বিতীয় অংশে, নায়ক লেখাপড়ার জন্য শহরে চলে যায়। অনেক বছর পর, সে সুরবালার সাথে আবার দেখা করে, যিনি এখন বিবাহিতা। নায়ক বুঝতে পারে যে সে এখনও সুরবালাকে ভালোবাসে, কিন্তু তাদের ভাগ্য তাদের আলাদা করে রেখেছে।

তৃতীয় অংশে, নায়ক সুরবালার স্বামীর মৃত্যুর খবর পায়। সে সুরবালার সাথে দেখা করতে যায় এবং তারা তাদের পুরনো বন্ধুত্ব পুনরুদ্ধার করে। তারা রাতভর কথা বলে এবং তাদের অতীতের স্মৃতি স্মরণ করে।

গল্পের শেষে, নায়ক সুরবালাকে তার সাথে শহরে চলে যেতে বলে। সুরবালা রাজি হয় এবং তারা একসাথে নতুন জীবন শুরু করে।

বিষয়বস্তু:

“একরাত্রি” গল্পটি প্রেম, ক্ষতি, এবং ভাগ্যের বিষয়গুলি অন্বেষণ করে। এটি দুটি মানুষের প্রেমের কাহিনী যারা তাদের জীবনের বিভিন্ন সময়ে একে অপরের সাথে দেখা করে এবং তাদের সম্পর্কের বিবর্তন দেখায়। গল্পটিতে স্মৃতি, দীর্ঘশ্বাস, এবং অপূর্ণ ইচ্ছার থিমগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

উপসংহার: “একরাত্রি” একটি সুন্দর এবং মর্মস্পর্শী গল্প যা পাঠকদের হৃদয় স্পর্শ করে। এটি প্রেম, ক্ষতি, এবং ভাগ্যের বিশ্বজনীন থিমগুলি অন্বেষণ করে এবং একটি স্থায়ী প্রভাব ফেলে।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*