উৎস : আলোচ্য অংশটুকু স্বনামধন্য কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পুঁইমাচা’ শীর্ষক ছোটগল্প থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ : উল্লিখিত উক্তিটি করেছেন অন্নপূর্ণা। সহায়হরি চাটুয্যের স্ত্রী অন্নপূর্ণা স্বামীর উদাসীনতাকে কটাক্ষ করে তার সম্ভাব্য পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে কথাটা বলেছেন।
বিশ্লেষণ : সহায়হরি চাটুর্য্যে একজন দরিদ্র ব্রাহ্মণ। অভাবের সংসারে তাঁর চার চারটি মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে ক্ষেন্তি ইতোমধ্যে বিবাহের বয়স উত্তীর্ণ করতে চলেছে। উদাসীন পিতার সেদিকে কোন খেয়াল নেই। তিনি আছেন নিজের তালে। কোথায় মাছ ধরতে যাবেন, কার কাছ থেকে রস চেয়ে আনবেন, কোথায় বনের মধ্যে মেটে আলু বড় হয়েছে- এ সকল নিয়েই ব্যস্ত থাকেন সহায়হরি। একদিন সকালবেলা তারক খুড়োর কাছ থেকে খেজুরের রস চেয়ে আনবেন বলে হন্তদন্ত হয়ে বাড়িতে ঢুকলে অন্নপূর্ণা তাঁর উপর তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। তিনি স্বামীর এই উদাসীনতাকে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনা করতে লাগলেন। অতবড় মেয়ে যার ঘরে সে মাছ ধরে আর রস খেয়ে দিন কাটায় কীভাবে এ কথা জানতে চাইলেন তিনি স্বামীর কাছে। অন্নপূর্ণা একথাও জানিয়ে দিলেন যে, চৌধুরীদের চণ্ডীমণ্ডপে ক্ষেন্তির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। অনতিবিলম্বে ক্ষেন্তিকে বিবাহ দেয়া না হলে সমাজপতিরা সহায়হরিকে এক ঘরে করবে- একথাটা অন্নপূর্ণা ঝাঁঝের সাথে জানিয়ে দিয়ে আলোচ্য উক্তিটি করলেন।
মন্তব্য : স্বামীর আপনভোলা সীমাহীন ঔদাসীন্যে বিরক্ত হয়ে অন্নপূর্ণা তাঁকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য কথাটা বলেছেন। কথাটার মধ্য দিয়ে তাঁর অপরিমেয় ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে।
একঘরে করবে গো তোমাকে একঘরে করবে, কাল চৌধুরীদের চণ্ডীমণ্ডপে এসব কথা হয়েছে।”- ব্যাখ্যা কর।
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079
Leave a Reply