উৎস : ব্যাখ্যেয় গদ্যাংশটুকু মননশীল প্রাবন্ধিক মোতাহের হোসেন চৌধুরী বিরচিত ‘সংস্কৃতি কথা’ শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ : এখানে প্রাবন্ধিক সংস্কৃতির সংজ্ঞা নির্ণয় করতে গিয়ে এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
বিশ্লেষণ : সংস্কৃতিবানদের মধ্যে সংস্কৃতির পথ নিয়ে যত মতপার্থক্য থাক না কেন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কোন ভিন্নতা নেই তাদের। সকলের লক্ষ্যই জীবনের মূল্যবোধ সম্পর্কে ধারণা লাভ। তারা সকলেই চায় সুন্দরভাবে মহৎভাবে, বিচিত্রভাবে বেঁচে থাকতে । তারা সব কিছু করে ভালবাসার তাগিদে। তারা জানে সত্যকে ভালোবাসা, সৌন্দর্যকে ভালোবাসা, ভালোবাসাকে ভালোবাসা, বিনালাভের আশায় ভালোবাসা, নিজের ক্ষতি স্বীকার করে ভালোবাসা এরই নাম সংস্কৃতি। প্রত্যেক সংস্কৃতিবানই অমৃত তথা আত্মাকে চায়। উপনিষদে বলা হয়েছে- ‘যেনাহং নামৃতা স্যাং কিমহং তেন কুর্যাম’- অর্থাৎ যা দিয়ে আমি অমৃত লাভ করব না তা দিয়ে আমি কী করব? অমৃতকে কামনা, তথা প্রেমকে কামনা, সৌন্দর্যকে কামনা, উচ্চতর জীবনকে কামনা এটাতো সংস্কৃতি। সংস্কৃতি আমাদেরকে অমৃতকে পেতে, প্রেমকে চরিতার্থ করতে, সৌন্দর্যকে লাভ করতে, উচ্চতর জীবনকে অর্জন করতে সাহায্য করে।
মন্তব্য: প্রেমকে, সুন্দরকে মঙ্গলকে, উচ্চতর জীবনকে অর্জন করিয়ে দেওয়াই সংস্কৃতির কাজ। সংস্কৃতি জীবনের
মূল্যবোধকে জাগ্রত করে।
অমৃতকে কামনা, তথা প্রেমকে কামনা, সৌন্দর্য কামনা উচ্চতর জীবনকে কামনা এটাইতো সংস্কৃতি।”— ব্যাখ্যা কর।
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079
Leave a Reply