হুযুর কেবলা : গল্প, আবুল মনসুর আহমদ
ক-বিভাগ
আবুল মনসুর আহমদের জন্ম-মৃত্যু কত?
উত্তর : জন্ম : ১৮৯৮ সাল, মৃত্যু : ১৯৭৮ সাল।
তিনি কীভাবে সাহিত্য-চর্চায় পদার্পণ করেন?
উত্তর :সাংবাদিকতা পেশার মাধ্যমে।
আবুল মনসুর আহমদ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ময়মনসিংহ জেলার ধানীখোলা গ্রামে ।
তিনি কর্মজীবনের শুরুতে কোন পেশায় যোগদান করেছিলেন?
উত্তর : আইন পেশায়।
তিনি কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
উত্তর : ‘দৈনিক ইত্তেফাক’।
তাঁর বিখ্যাত ব্যঙ্গাত্মক গল্পগ্রন্থ কী?
উত্তর : ‘আয়না ও ফুড কনফারেন্স’।
তাঁর আত্মকথা একটি রচনার নাম লেখ।
উত্তর : ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’।
তাঁর অন্যান্য কয়েকটি রচনার নাম লেখ।
উত্তর : ‘গালিভারের সফরনামা, আসমানী পর্দা ও পাক বাংলার কালচার।
‘হুযুর কেবলা’ রচনাটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর :“আয়না”।
‘আয়না’ গ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত এবং গ্রন্থে কতটি গল্প আছে?
উত্তর : ১৯৩৫ সালে এবং গল্পের সংখ্যা ৭।
‘আয়না’ গ্রন্থটি লেখক কাকে উৎসর্গ করেন?
উত্তর : আবুল কালাম শামসুদ্দীনকে।
‘আয়না’ শব্দের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ অর্থ কী?
উত্তর : বাহ্যিক : মুখ দেখার দর্পণ এবং অভ্যন্তরীণ : সমাজের প্রতিচ্ছবি।
‘আয়না’ গ্রন্থটি কোন জাতীয় বিষয় নিয়ে রচিত?
উত্তর : রাজনীতি, ধর্মনীতি এবং সাম্প্রদায়িকতা।
‘আয়না’ গ্রন্থটির অধিকাংশ গল্প কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ‘সওগাত’
‘হুজুর কেবলা’ গল্পের প্রধান চরিত্র কারা?
উত্তর : এমদাদ, কেবলা হুজুর, সুফি সাহেব সাদুল্লা।
এমদাদের কাপড়গুলো কোন দেশীয় ছিল?
উত্তর : বিলাতি।
এমদাদ কী ভেঙে ফেলেছিল?
উত্তর: চশমা এবং রিস্টওয়াচ।
এমদাদ পাথর-বসানো সোনার আংটি কাকে দিয়েছিলো?
উত্তর : এক অন্ধ ভিক্ষুককে।
এমদাদ কী দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা আরম্ভ করে?
এমদাদ মনে মনে কী বুঝল?
উত্তর : কয়লা দিয়ে।
এমদাদ এক সময় কী মানতো না?
উত্তর :কলিযুগেও ধর্ম আছে।
এমদাদ কাদের ভাব চুরি করে ম্যাগাজিনে লেখা দিত?
উত্তর :ধর্ম, খোদা, রসুল।
উত্তর : মিল, হিউম, স্পেন্সার, কোমত।
এমদাদ কী দিয়ে তসবিহ তৈরি করে?
উত্তর : বাঁশের কঞ্চি দিয়ে।
কত দিনে কাবুলে আমির ভারত দখল করবে বলে সুফী ঘোষণা দিয়েছিল?
উত্তর : চার বছরের মধ্যে।
হুযুর কেবলার বাড়ি কয়তলা?
উত্তর : এক তলা ।
হুযুর কেবলার বৈঠকখানা কেমন?
উত্তর : আটচালা খড়ের তৈরি
সুফী সাহেবের নাম কী?
উত্তর : সাদুল্লাহ।
হুযুর কেবলার রুহ কত বছর ঘুরে আসে?
উত্তর : সাত হাজার বছর।
সাগরেদদের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার জন্য হুযুর কেবলা কতজনকে সাথে নেয়?
উত্তর : তেরজন সাগরেদ।
হুযুর কেবলার সাথে তার মুরিদগণ কী বহন করে নিয়ে গিয়েছিলো?
উত্তর : একমণ ঘি, আড়াই মণ চাল, দশ মণ সরু চাল, সাত সের অম্বুরি তামাক।
পীর সাহেব ভ্রমণ বৃত্তান্ত ইংরেজিতে লেখার জন্য এবং কলকাতার সংবাদপত্রে দেওয়ার জন্য কাকে সাথে নিয়ে যায়?
উত্তর : এমদাদকে।
হুযুর কেবলা কোন সময় পুরুষদের মজলিসে বয়ান করতো?
উত্তর : সন্ধ্যার সময়।
হুযুর কেবলা কোন সময় নারীদের আসরে বয়ান করতো?
উত্তর : রাতে এশার নামাযের পরে।
এমদাদ কলেজে কোন বিষয়ে অনার্স পড়তো?
উত্তর : এমদাদ কলেজে দর্শন বিষয়ে অনার্স পড়তো।
এমদাদের মধ্যে পরিবর্তন আসে কোন ঘটনায়?
উত্তর : খেলাফত আন্দোলনে যোগ দিয়ে।
এমদাদ রাজনীতিতে কোন পদ প্রাপ্ত হয়?
উত্তর : স্থানীয় কংগ্রেস এবং খেলাফত কমিটির সেক্রেটারি।
সুফি সাহেবের মতে রুহানিয়াত হাসেলের প্রধান উপায় কী?
উত্তর : কারো মুরিদ হওয়া অর্থাৎ পীর ধরা।
এমদাদের একমাত্র অভিভাবক কে ছিলেন?
উত্তর : বৃদ্ধা ফুফু ।
মেয়ে মজলিসে ওয়াজ করার সময় পীর সাহেব কোন দিকে ঘন ঘন তাকাতেন?
উত্তর : রজবের সুন্দরী স্ত্রী কলিমনের দিকে।
পীর সাহেবের আদেশে কে মোরাকেবায় বসে?
উত্তর : সুফি সাদুল্লাহ ।
হুযুর কেবলার প্রধান খলিফা কে?
উত্তর : সুফী বদরুদ্দীন।
পীর সাহেব তার মুরিদদের সামনে কাকে হাজির করে?
উত্তর : হযরত মুহম্মদ (স) এর রুহকে।
পীর সাহেব কত বছর বয়সে নবমবার বিয়ে করে?
উত্তর : ষাট বছর বয়সে।
পীরের ভণ্ডামি কার চোখে ধরা পড়ে?
উত্তর : এমদাদের।
এমদাদকে পীর কী শাস্তি প্রদান করে?
উত্তর : পাগল বলে কান ধরে গ্রামের বাইর করে দেয়।
গল্পে রজবের কী পরিণতি দেখানে হয়েছে?
উত্তর : দশের চাপে নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্ত্রী কলিমনকে তালাক দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে গ্রাম থেকে বের হয়ে যান।
রিস্টওয়াচ কী?
উত্তর : হাতঘড়ি।
অসহযোগ আন্দোলন কী?
উত্তর : কংগ্রেস নেতা মহাত্মগান্ধীর নেতৃত্বে ব্রিটিশবিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলন।
কলিযুগ কী?
উত্তর : সমস্যা ও সংকট জর্জরিত বর্তমান সময়।
‘রুহু’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘রুহু’ শব্দের অর্থ আত্মা।
আগ্রহাতিশয্যে বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : অদম্য আগ্রহ সহকারে।
আলবোলা কী?
উত্তর : হুক্কা; গড়গড়া।
‘গমগিন’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ব্যাকুল; অপ্রস্তুত; হতাশ।
খ-বিভাগ
প্রশ্ন॥১॥ গল্পকার আবুল মনসুর আহমদ সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।
প্রশ্ন॥২॥ ‘হুযুর কেবলা’ গল্পের মূলভাব আলোচনা কর।
প্রশ্ন।৩।‘সে মনে মনে বুঝিল, কলিযুগেও দুনিয়ায় ধর্ম আছে।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৪। হে দেহ তুমি আমার আত্মাকে ছোট করিয়া নিজেই বড় হইতে চাহিয়াছিলে। কিন্তু আর নয়।”— বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন॥৫॥ “কিন্তু পোড়া চোখের পানি কোন মতেই আসিল না।”- ব্যাখ্যা কর।
প্ৰশ্ন৷৬৷ “পীর না ধরিয়া কী কেহ রুহানিয়ৎ হাসেল করিতে পারে?”- ব্যাখ্যা কর।
প্ৰশ্ন॥৭॥ “জওহরের তালাশে যারা জীবন কাটাইয়াছে, তারা ছাড়া আর কে জওহরের
খবর দিতে পারে।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৮॥ “বস বেটা, তোর ভাল হইবে। আহা, বড় গরিব।”- কে, কাকে এবং কেন এমন বলেছে?
প্রশ্ন॥৯॥ “বেটা, তোরা আজিও দুনিয়ার ধন-দওলৎ দিয়া ধনী-গরিব বিচার করিস।
এটা তোদের বুঝিবার ভুল।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন ১০৷ “মুসলমানের জন্য দুনিয়ার ধন-দওলৎ হারাম।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১১।“আহা, বেচারারা চোখের বাহিরে আর কিছুই দেখিতে পায় না।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১২॥ “ইহার বেশি শুনিলে তোদের কলব ফাটিয়া যাইবে।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন ১৩॥ “তার শরীর নিতান্ত দুর্বল ও মন অত্যন্ত অস্থির হইয়া পড়িল।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৪৷ “পীর সাহেবের রুহানী শক্তি যত বেশিই থাকুক না কেন, তাঁর হজমশক্তি নিশ্চয়ই তার চেয়ে বেশি।”- কে, কেন এমন বলেছেন?
প্রশ্ন।১৫।“মেয়েলোকের বুদ্ধিসুদ্ধি বড় কম-তারা নাকেস আকেল।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৬৷ “কিন্তু সে জোর করিয়া মনকে ভক্তিমান রাখিবার চেষ্টা করিতে লাগিল।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন ১৭॥ “সে ইহাকে কিছুতেই সত্য বলিয়া মানিয়া লইতে পারিল না।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৮।“বাবা সকলের কথাই যদি রুহ পাকের কাছে পহুঁছিত তবে দুনিয়ার সব মানুষই ওলি-আল্লাহ হইয়া যাইত।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১৯।“এই চারের পর্দা ঠেলিয়া আলমে-আমরে নূরে ইযদানীতে ফানা হইতে হইলে দুনিয়াতে চার বিবির ভজনা করিতে হয়।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্না ২০৷ “রে ভণ্ড শয়তান, নিজের পাপ-বাসনা পূর্ণ করিবার জন্য দুইটা তরুণ প্রাণ এমন দুঃখময় করিয়া দিতে তোর বুকে বাজিল না।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।২১।“তোমরা নিতান্ত মূর্খ। এ ভণ্ডের চালাকি বুঝিতে পারিতেছ না?”- কে এবং কেন এমন বলেছে?
প্রশ্ন৷ ২২৷ “খোদা যাকে শাফা না দেন, তাকে কে ভালো করতে পারে?”— ব্যাখ্যা কর।
গ-বিভাগ
প্রশ্ন॥১॥ আবুল মনসুর আহমদ রচিত ‘হুযুর কেবলা’ গল্পের মূলবক্তব্য তোমার নিজের ভাষায় লিখ।
প্রশ্ন॥২॥ ‘হুযুর কেবলা’ গল্পের পীর সাহেব চরিত্রটি বিশ্লষণ কর।
প্রশ্ন।৩। আবুল মনসুর আহমদ রচিত ‘হুযুর কেবলা’ গল্পে ধর্মব্যবসায়ী পীর সাহেবদের কপটতা ও নীচতার যে ছবি অঙ্কিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় লিখ।
প্রশ্ন॥৪॥ “আবুল মনসুর আহমদের ‘হুযুর কেবলা’ গল্পের মূল প্রতিপাদ্য কেবল ভণ্ড মুখোশ উন্মোচন নয়, বাঙালি মুসলমান সমাজের অন্ধত্ব ও ধর্মব্যবসায়ীদের কুসংস্কার নির্দেশ করাও” আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৫॥ “আবুল মনসুর আহমদ রচিত ‘হুযুর কেবলা’ গল্পের এমদাদ একটি প্রতিবাদী প্রগতিশীল চরিত্র”- উক্তিটির আলোকে এমদাদ চরিত্র বিশ্লেষণ কর।