তৈল :প্রবন্ধ, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

ক-বিভাগ

হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম ও মৃত্যু সাল কত?
উত্তর: ১৮৫৩-১৯৩১
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রকৃত নাম কী?
উত্তর : শরৎনাদ ভট্টাচার্য।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : নৈহাটি- উত্তর চব্বিশ পরগনা।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কত সালে ‘শাস্ত্রী’ উপাধি লাভ করেন?
উত্তর :১৮৭৭।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্মজীবনে কোথায় কোথায় কাজ করেন?
উত্তর : কলকাতা হেয়ার স্কুল, লক্ষ্ণৌ ক্যানিং কলেজ, কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা সংস্কৃত কলেজ।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কোন রচনার জন্য হোলকার পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর : ভারত মহিলা’।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর অধিকাংশ প্রবন্ধ কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায়।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর শ্রেষ্ঠ কর্ম কী?
উত্তর: ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের পুঁথিশালা থেকে চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কার করা।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদ ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে কী নামে প্রকাশ করেন?
উত্তর: হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা’ নামে।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর নিবন্ধের সংখ্যা কত?
উত্তর : ৫২টি।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর অন্যতম রচনাগুলো কী কী?
উত্তর: ‘ভারতবর্ষের ইতিহাস’ (পাঠ্যগ্রন্থ) ‘বাংলা প্রথম ব্যাকরণ’ (পাঠ্যগ্রন্থ), ‘বাল্মীকি জয়’ ‘মেঘদূত ব্যাখ্যা’, (উপন্যাস), ‘বেনের মেয়ে’ (উপন্যাস), ‘সচিত্র রামায়ণ’, ‘প্রাচীন বাংলার গৌরব’, ‘ বৌদ্ধধর্ম’।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধের নাম কী?
উত্তর: ভৈল’।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে তৈল কী পদার্থ তা প্রথমে কারা বুঝেছিলেন?
উত্তর : সংস্কৃত কবিরা।
সংস্কৃত কবিদের মতে তৈলের অপর নাম কী?
উত্তর: স্নেহ।
বাস্তবিক কীসের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই?
উত্তর : তৈল এবং স্নেহ।
‘আমি তোমায় স্নেহ কর এবং আমি তোমায় স্নেহ করি’ এর অর্থ করি
উত্তর : আমরা পরস্পরকে তৈল দিয়া থাকি।
‘যাহা স্নিগ্ধ এবং ঠাণ্ডা করে তার অপর নাম কী?
উত্তর :স্নেহ।
কোন বস্তু সবচেয়ে বেশি মানুষকে ঠাণ্ডা করতে পারে?
উত্তর : তৈল।
সংস্কৃত কবির মানুষকে কোন উপদেশ দিয়া গেছেন?
উত্তর: মনুষ্যকে সমানরূপে সেও করতে বা তৈল দিতে।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তৈল’ প্রবন্ধের ভাষ্যানুসারে কী সর্বশক্তিমান কে?
উত্তর : যে সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করতে জানে।
কার কাছে জগতের সর্ব কাজই সোজা?
উত্তর : যে সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করতে জানে।
কার চাকরির জন্য ভাবতে হয় না?
উত্তর : যে সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করতে জানে।
কার উকালতিতে পসার করবার জন্য সময় নষ্ট করতে হয় না?
উত্তর : যে সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করতে জানে।
কার বিনা কাজে বসে থাকতে হয় না?
উত্তর : যে সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করতে জানে।
কাকে কোনো কাজে শিক্ষানবীশ থাকতে হয় না?
উত্তর : যে সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করতে জানে।
কে বিদ্যা না থাকলেও প্রফেসর হতে পারে?
উত্তর : যে তৈল দিতে পারে।
কে আহাম্মক হলেও ম্যাজিস্ট্রেট হতে পারে?
উত্তর : যে তৈল দিতে পারে।
কার সাহসা না থাকলেও সেনাপতি হতে পারে?
উত্তর : যে তৈল দিতে পারে।
কে দুর্লভরাম হয়েও উড়িষ্যার গভর্নর হতে পারে?
উত্তর : যে তৈল দিতে পারে।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কার মহিমা অতি অপরূপ?
উত্তর : তৈলের।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কী না হলে জগতে কোনো কাজই হয় না?
উত্তর : তৈল।
কী না হলে কল চলে না, প্রদীপ জ্বলে না, ব্যঞ্জন সুস্বাদু হয় না, চেহেরা খোলে না, হাজার গুণ থাকুক তার পরিচয় মেলে না?
উত্তর : তৈল।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কী থাকলে মানুষের কিছুর অভাব হয় না?
উত্তর : তৈল প্রদানের ক্ষমতা।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কী নানারূপে পৃথিবীতে ব্যপ্ত হয়ে আছে?
কীসের নানা মূর্তি দেখা যায়?
উত্তর : তৈলের।
আমরা যে গুরুজনকে ভক্তি করি তার অপর নাম কী?
উত্তর : ভক্তি?
‘যাহাতে গৃহিণীকে স্নিগ্ধ করি’তার অপর নাম কী?
উত্তর : প্রণয়।
“যাহাতে প্রতিবেশীকে স্নিগ্ধ করি’ তার অপর নাম কী?
উত্তর : মৈত্রী।
যা দ্বারা সমস্ত জগতকে স্নিগ্ধ করি তার অপর নাম কী?
উত্তর : শিষ্টাচার ও সৌজন্য ‘ফিলনথপি’।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে যা দ্বারা আমরা সাহেবকে স্নিগ্ধ করি তার অপর নাম কী?
উত্তর : লয়েলটি।
যা দ্বারা বড়লোককে স্নিগ্ধ করি তার অপর নাম কী?
উত্তর : নম্রতা বা মডেস্টটি।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে আমরা অনেককে তৈল দিই কেন?
উত্তর : তৈল বের করার জন্য।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে অগ্ন্যুগম নিবারণের উপায় কী?
উত্তর : তৈল প্রদান।
রেলচাকায় কী দেওয়া হয়?
উত্তর : তৈলের অনুকল্প চর্বি জাতীয় পদার্থ।
যখন দুজন মানুষের ঘোরতর বিবাদ উপস্থিত হয় তখন কী এসে উভয়কে ঠাণ্ডা করে দেয়?
উত্তর : রফা নামক তৈল।
কীসের আলাদা পাত্র আছে এবং কৌশল আছে?
উত্তর : তৈল দেওয়ার।
৪৮. অধিক কাজ হয় কীসে?
উত্তর : উপযুক্ত সময়ে তৈল দিলে।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কোন জিনিস কখনো নষ্ট হয় না?
উত্তর : তৈল।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কী দিলে কিছু না কিছু উপকার হবেই?
উত্তর: ভৈল।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে তৈলের গুণতারতম্য আছে কোথায়?
ব্যক্তিবিশেষে।
কোন জিনিস পাওয়া দুর্লভ?
উত্তর : নিষ্কৃত্রিম তৈল।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে বিদ্যা-বুদ্ধিকে আরো সার্থক করে তোলে কীসে?
উত্তর : তৈলে।
ধনকে আরো মূল্যবান করে তোলে কী?
উত্তর : তৈল।
কোন প্রবৃত্তি মানুষের স্বাভাবিক?
উত্তর : তৈল দিবার প্রবৃত্তি।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী স্কুল প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন কেন?
উত্তর :তৈলদান শেখানোর জন্য।
তৈলদান স্কুলে শাস্ত্রী মহাশয় কাকে প্রিন্সিপাল করতে বলেছেন?
উত্তর : রায় বাহাদুর কিংবা খাঁ বাহাদুরকে।
কী সকল পদার্থের গুণই আত্মসাৎ করতে পারে?
উত্তর :তৈল।
বিদ্যাকে আরো মূল্যবান করে তোলে কী?
উত্তর :তৈল।
কাজ লোকের হতে হলে কোন বিষয় আগে দরকার?
উত্তর : তৈলদান।
উকীলি শিক্ষার নিমিত্ত ল’কালজে কাকে নিয়োগদানের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর :একজন তৈল অধ্যাপক।
কী করতে গেলে গোলোযোগ উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে?
উত্তর : তৈল প্রদানের স্কুল খুলতে গেলে।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কোন কথা কেউ স্বীকার করেন না?
উত্তর :তৈলদান শেখানোর জন্য
কোন বিদ্যার অধ্যাপক জোটা ভার?
উত্তর :তৈল প্রদানের স্কুলের অধ্যাপক।
কোন বিদ্যা দেখে শিখতে হয়?
উত্তর : তৈল প্রদান।
কার কাছে গেলে তৈল প্রদান শেখা যায়?
উত্তর : যার কাছে গেলে চাকরি বা প্রমোশনের সুপারিশ মেলে।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে বাঙালির একমাত্র ভরসা কী?
উত্তর : তৈল প্রদান ।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে যে শিক্ষা এদেশে কঠিন সে শিক্ষার জন্য কোথায় যাওয়া উচিত?
উত্তর : বিলাত।
রমণীরা কোন বিষয়ে প্রধান অধ্যাপক?
উত্তর : বিলাত যাওয়ার বিষয়ে।
এক তৈলে চাকাও ঘোরে আর তৈলে মনও ঘোরে।”- কে, কোথায় বলেছেন?
উত্তর : হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ‘তৈল’ প্রবন্ধে।

খ-বিভাগ

প্রশ্ন॥১॥ “বাস্তবিক স্নেহ ও তৈল একই পদার্থ।”— প্রাবন্ধিক কেন এমন বলেছেন?
প্ৰশ্ন৷২৷ সংস্কৃত কবিরা মনুষ্যকেই সমানরূপে স্নেহ বা তৈল দিতে বলেছেন কেন?
প্রশ্ন॥৩॥ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে কে সর্বশক্তিমান এবং কেন?
প্রশ্ন॥৪॥ তৈলের মহিমা অতি অপরূপ কেন?
প্রশ্ন॥৫॥ তৈল নানা রূপে ব্যপ্ত হয়ে আছে কীভাবে?
প্রশ্না।৬। তৈল বিরোধ নিষ্পত্তিতে কিংবা আগুন নির্বাপণে কীভাবে কাজ করে?
প্রশ্ন॥৭॥ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে তৈল প্রদানের কৌশল আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৮॥ “কৌশল করিয়া এক বিন্দু দিলে যত কাজ হয়, বিনা কৌশলে কলস কলস ঢালিলেও তত কাজ হয় না।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৯। তৈলের সম্মিলনী শক্তি বলতে প্রাবন্ধিক কী বুঝিয়েছেন?
প্রশ্ন৷১০৷ “তৈলদান প্রবৃত্তি স্বাভাবিক হইলেও উহাতে কৃতকার্য হওয়া অদৃষ্টসাপেক্ষ।” -ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১১।হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তৈল প্রদানের স্কুলে প্রিন্সিপালের জন্য রায়বাহাদুর কিংবা খা বাহাদুরের নাম প্রস্তাব করেছেন কেন?
প্রশ্ন॥১২।তৈল প্রদানের স্কুলে তৈল প্রদানের অধ্যাপক জোটা ভার কেন?
প্রশ্ন।১৩।তৈল প্রদান কীভাবে শেখা যায় বলে প্রাবন্ধিক মত প্রকাশ করেছেন?
প্রশ্ন।১৪। “এক তৈলে চাকাও ঘোরে আর তৈলে মনও ঘোরে।”- ব্যাখ্যা কর।

গ-বিভাগ

প্রশ্ন।১।হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধের স্বরূপ বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন॥২॥ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধে তৈলের যে গুণাগুণ বর্ণনা দিয়েছেন তা উপস্থাপন কর।
প্রশ্ন॥৩॥ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধে বাস্তবতার যে চিত্র এঁকেছেন তার পরিচয় দাও।
প্রশ্ন॥৪॥ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধে শিল্প-সার্থকতা বিচার কর।
প্রশ্ন।৫।হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা কর।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*