Answer

তবে কী আমার বাংলাদেশ শুধু এক সুবিশাল শহীদ মিনার হ’য়ে যাবে? -ব্যাখ্যা কর।

উৎস : ব্যাখ্যেয় অংশটুকু বাংলাদেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমান বিরচিত ‘বার বার ফিরে আসে’ শীর্ষক কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ : বায়ান্ন থেকে একাত্তর পর্যন্ত এ কুড়ি বছর এদেশের মানুষ পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে যে রক্ত ঝরিয়েছে তার প্রতি আক্ষেপ করে কবি উক্ত কথা বলেছেন।
বিশ্লেষণ : বাংলাদেশ আজ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। উনিশ বায়ান্ন থেকে উনিশ শ’ একাত্তর পর্যন্ত দীর্ঘ কুড়ি বছর এদেশের মানুষ পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে এদেশের দামাল ছেলেরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করেছে। সেখান থেকে শুরু হয়েছে শহীদ মিনার গড়া। তারপর বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতিতে গড়তে হয়েছে শহীদ মিনার। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মিছিলে শহীদ হয়েছেন আসাদ। তাঁর রক্তমাখা শার্টটিকে মিছিলের পতাকা বানিয়ে এগিয়ে গিয়েছে আন্দোলন। শাসকশ্রেণি মাথানত করতে বাধ্য হয়েছে। সত্তরের নির্বাচনের রায়কে মেনে না নিয়ে বর্বর পাকিস্তানিরা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে গণযুদ্ধ । দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা লাভ করেছি স্বাধীনতা। পৃথিবীর কোন দেশ স্বাধীন করতে এত মানুষকে জীবন দিতে হয়নি। বার বার আমাদের রক্ত দিতে হয়েছে এ স্বাধীনতার জন্য । বার বার ওরা আমাদেরকে হত্যা করতে চেয়েছে। কবির প্রশ্ন আর কত শহীদ মিনার গড়ব আমরা। এখনো আমাদের শত্রুরা আমাদেরকে হত্যা করতে চায়। তবে কি শহীদ মিনার গড়তে গড়তে বাংলাদেশটাই এক সুবিশাল শহীদ মিনারে পরিণত হবে?
মন্তব্য : এদেশের গ্রামে-শহরে অগণিত শহীদ মিনার গড়ে উঠেছে। বাঙালি জাতি দেশ ও দেশমাতৃকার জন্য পুরো দেশটাকেই প্রয়োজনে একদিন শহীদ মিনারে পরিণত করবে। তবুও অন্যায়ের কাছে, শোষক শ্রেণির কাছে মাথা নোয়াবে না।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!