আধেয় বিশ্লেষণের সুবিধা উল্লেখ কর।

অথবা, বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের সুবিধাগুলো তুলে ধর।
অথবা, আধেয় বিশ্লেষণের সবল দিকসমূহ লিখ।
অথবা, বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের সবল দিকসমূহ লিখ।
অথবা, আধেয় বিশ্লেষণের সুবিধাসমূহ তুলে ধর।
অথবা, বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের সুবিধা উল্লেখ কর।
উত্তরায় ভূমিকা :
সাম্প্রতিককালে সমাজ গবেষণায় বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। সামাজিক বিজ্ঞানের একটি পদ্ধতি হলেও এটি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় এতদিন ব্যবহার হচ্ছিল। এ পদ্ধতির মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যকে বিচার বিশ্লেষণের জন্য শ্রেণিবদ্ধকরণ করা হয়। এখানে গবেষককে সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বিভিন্ন শব্দ, মূল বক্তব্য, মূল বিষয়, স্থান, সময় প্রভৃতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা দানের চেষ্টা করা হয়।
আধেয় বিশ্লেষণের সুবিধা : এ পদ্ধতির বেশকিছু সুবিধা রয়েছে বিধায় দিন দিন এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিমে এর সুবিধাসমূহ উল্লেখ করা হলো।
১. এ পদ্ধতি ব্যবহারে সময় কম লাগে। তাছাড়া আর্থিকভাবেও সাশ্রয়ী হওয়া যায় ।
২. এ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অধিক কর্মী ও ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন হয় না।
৩. ভুলভ্রান্তি সহজেই দূর করা যায়।
৪. এ পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই অনুসন্ধানের পুনরাবৃত্তি করা যায়।
৫. এখানে পক্ষপাতিত্বের উপস্থিতি নেই।
৬. এর বিষয়বস্তুকে রূপান্তরিত বা বিকৃত করার সুযোগ থাকে না।
৭. সামাজিক পরিবর্তন ব্যাখ্যায় এ পদ্ধতি বেশ কার্যকর ।
৮. যে কেউ নিজস্ব সীমাবদ্ধতার মধ্য থেকে আধেয় বিশ্লেষণ করতে পারে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বিষয়বস্তু বিশ্লেষণে নানা ধরনের সুবিধা রয়েছে । এ পদ্ধতিতে প্রচলিত বিভিন্ন গণমাধ্যম, সাহিত্য, প্রতিবেদন, শিল্পকলা, ব্যক্তিগত লেখা ইত্যাদিকে তথ্যের উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর লক্ষ্য সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ। এ পদ্ধতি অনুকল্প তৈরি ও যাচাইয়ে পরোক্ষভাবে
সহায়তা করে।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*