অথবা, হিন্দু ও খ্রিস্টান আইনে নারীর অধিকারসমূহ আলোচনা কর।
অথবা, হিন্দু ও খ্রিস্টান বিধান অনুসারে নারীর অধিকার বর্ণনা কর।
অথবা, হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্ম অনুসারে নারীর অধিকারসমূহ উল্লেখ কর।
অথবা, হিন্দু ও খ্রিস্টান আইন অনুসারে নারীর অধিকার তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা : আদিম যুগে নারী পুরুষের সমান অধিকার থাকলেও পরবর্তীকালে বিবর্তনের ধারায় নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দেখা যায়। কালক্রমে নারী তার ন্যায্য অধিকার হারিয়ে পুরুষের অধীন হয়ে পড়ে। বর্তমানে নারীর অধীনতা বিষয়টি দেশে বিদেশে বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে।
হিন্দু ও খ্রিস্টান নারীর অধিকার : হিন্দু এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নারীদেরও কিছু কিছু অধিকার রয়েছে। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো :
হিন্দু আইনে নারীর সম্পত্তির অধিকার : হিন্দু আইনে নারীর সম্পত্তির অধিকারসমূহ নিম্নরূপ :
১. ১৯৩৭ সালে সম্পত্তিতে হিন্দু নারীর অধিকার সংক্রান্ত আইন পাস হওয়ার পর হতে বিধবা, একের অধিক বোন। হলে সবাই একত্রে একপুত্রের সমান অংশ জীবন স্বত্বে পাবে।
২. কন্যার মধ্যে অবিবাহিত কন্যার প্রথম দাবি। পরে পরবর্তী কন্যা অথবা পুত্র সম্ভাব্য কন্যাদের দাবি। বন্ধ্যা, পুত্র সন্তানহীনা, বিধবা কন্যা এবং যেসব কন্যার কেবল কন্যা সন্তান আছে তারা উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত।
৩. হিন্দু আইনে পিতা বর্তমান থাকলে মাতার কোন সম্পত্তির অধিকার নেই।
খ্রিস্টান আইনে নারীর সম্পত্তির অধিকার : এ আইনে মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকলে বিধবা দুই-তৃতীয়াংশ সম্পত্তি পাবে এবং বাকি দুই-তৃতীয়াংশ সপ্তানরা পাবে। এ আইনে মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান সন্ততি না থাকলে এবং তার উক্ত সম্পত্তির মূল্য যদি পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে হয়, তবে বিধবা সমস্ত সম্পত্তি পাবে। আর যদি সম্পত্তির মূল্য পাঁচ হাজার টাকা মূল্যেরও সম্পত্তি পাবে এবং বাকি অংশেরও অর্ধেক পাবে।
উপসংহার: পরিশেষে দেখা যায় যে, মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিস্টান সব আইনেই সম্পত্তির আধিকারে পুরুষের তুলনায় নারীরা অনেক পিছিয়ে। আইনগত অধিকারেই যেখানে নারী পুরুষ বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়, সেখানে ব্যক্তির ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করা কখনোই সম্ভব নয়।
হিন্দু ও খ্রিস্টান আইনে নারীর কী কী অধিকার রয়েছে?
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079
Leave a Reply