হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে তৈল প্রদানের কৌশল আলোচনা কর।

উত্তর : হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের একজন নিষ্ঠাবান গবেষক ও অন্যতম প্রবন্ধকার রূপে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন। ‘তৈল’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিকের সুচিন্তিত সিদ্ধান্তমুখী মানসিকতা, রচনার মধ্যে বিশুদ্ধ কৌতুক রসের পরিবেশনা প্রবন্ধটিকে উপভোগ্য করে তুলেছে। প্রাবন্ধিক মনে করেন, যাকে আমরা স্নেহ বলি তা এক অর্থে তৈল- কেননা তৈল স্নেহজাতীয় পদার্থ। আমরা একে অপরকে ভালোবাসি- স্নেহ করি এর অর্থও দাঁড়ায় আমরা একে অপরকে তৈলদান করে থাকি। স্নেহ ভালোবাসা মানুষকে স্নিগ্ধ করে এবং ঠাণ্ডা করে, অন্যদিকে তৈলও মানুষকে স্নিগ্ধ করে, মাথাকে ঠাণ্ডা করে। তৈল নিজে সর্বশক্তিমান বলে তার দ্বারা সহজেই চাকরি বাগানো, ওকালতি করা সহজসাধ্য হয়ে পড়ে। আর তৈলের মহিমা অপরূপ বলে জগতের কোন কাজই তৈল বিনা সিদ্ধ হয় না। তার কাছে সকল কাজই সোজা যে তৈলের ব্যবহার আয়ত্ত করেছে। তৈল যেহেতু নষ্ট হয় না- তাই তৈল দিলে কোনো না কোনো কাজ হবেই। তাই প্রাবন্ধিক মনে করেন উপযুক্ত পরিবেশে এক ফোটা তৈল দিতে পারলেই যথেষ্ট।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!