স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের নারীর আন্দোলন সম্পর্কে যা জান লিখ ।

অথবা, স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের নারীর আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা কর।
অথবা, স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের নারীর আন্দোলন সম্পর্কে বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
বাংলাদেশ এক রক্তাক্ত সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে তারা অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করে। তাদের অনেকে সশস্ত্র যুদ্ধ করেছে, আত্মাহুতি দিয়েছে। অনেকে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও তারা নিজেদের অধিকার ও দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশে নারীর আন্দোলন, ১৯৭২-২০১৩ : স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের নারী আন্দোলন সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসন আন্দোলন : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে বহু নারী পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক বলাৎকারের শিকার হয়েছেন। এদের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ, মতান্তরে ২ লক্ষ। এদের অনেকে মৃত্যুবরণ করেন। স্বাধীনতার পর যারা বেঁচেছিলেন তাদের আত্মীয় পরিজন তাদের গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। ফলে এদেশের নারীরা সরকারি ভাবে পুনর্বাসনের জন্য আন্দোলন করে। এতে সরকার তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। তাদের বীরাঙ্গনা খেতাব দিয়ে পুরস্কৃত করে। এটা তাদের জন্য লজ্জাজনক হয় এবং তারা চিহ্নিত হয়। অনেকে বিদেশে গিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে । বাকিদের সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় পুনর্বাসন করে।
২. বাংলাদেশ মহিলা পুনর্বাসন সংস্থা গঠন : ১৯৭২ সালে সরকার নারী সমাজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসনের জন্য পুনর্বাসন বোর্ড গঠন করে। এ সংস্থা এসব দুঃস্থ নারীদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ শুরু করে। ফলে এসব নারীর অনেকে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুনর্বাসিত হয়।
৩. নারী পুনর্বাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন : ১৯৭৪ সালে সরকার নারী সমাজের দাবি অনুযায়ী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য নারী পুনর্বাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করে। এ সংস্থার কাজ ছিল ধর্ষণজাত শিশুদের লালন-পালন ও দত্তক হিসেবে বিদেশে প্রেরণ। এ সংস্থা এই কাজের জন্য গঠন করে “আন্তর্জাতিক শিশু কল্যাণ
ইউনিয়ন”। এ সংস্থা অনেক শিশুকে দত্তক হিসেবে ইউরোপ ও আমেরিকায় পাঠায়। তাছাড়া, এ সংস্থা দুঃস্থ নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে, কাউকে বিবাহ দেয় এবং কাউকে আত্মীয়-স্বজনের নিকট পাঠানোর ব্যবস্থা করে। কিন্তু হীনম্মন্যতা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির জন্য এসব বীরাঙ্গনাদের তাদের আত্মীয়-স্বজনের অনেকেই তাদের গ্রহণ করে নি। অথচ বীরাঙ্গনারা নিষ্ঠুর পরিস্থিতির শিকার। তাদের জোরপূর্বক এ কাজে বাধ্য করা হয়। না হলে তাদের জীবন চলে যেত। সমাজের কঠোরতার কথা অনুধাবন করে অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছে। বিনা অপরাধে তিলে তিলে মৃত্যু ও শাস্তি ভোগ করেছে। এর চাইতে হৃদয়বিদারক ঘটনা কি হতে পারে। আমাদের পরিবার, সমাজ তাদের সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করেছে। এটা সত্যিই দুঃখজনক।
৫. বাংলাদেশ মহিলা সমিতি গঠন : স্বাধীনতার পর বেগম সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি গঠিত হয়। বাংলাদেশের নারী মুক্তি আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সমিতি নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করা, সমতা প্রতিষ্ঠা করা ও গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার জন্য আন্দোলন করে। এই সমিতি নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, পারিবারিক আইন সংশোধন, পিতার সম্পত্তিতে কন্যার সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, যৌতুক ও বহু বিবাহ বন্ধে আইন প্রণয়নের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ সমিতির প্রচেষ্টায় আজ নারী আন্দোলনের অন্যতম ইস্যু হচ্ছে “Uniform Family Code”.
৬. বাংলাদেশের জাতীয় মহিলা সংস্থা গঠন : বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৬ সালে জাতীয় মহিলা সংস্থা গঠন করে। এ সংস্থা মহিলাদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করে। তাদের ইস্যুগুলো হলো- নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, নারীর জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, নারী উন্নয়নের জন্য কাজ করা। এ সংস্থার দাবি অনুযায়ী সরকার “মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়” প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৮২ সালে এটা পরিণত হয় সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে । সরকার এটা পুনর্বিন্যাস করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে। এই মন্ত্রণালয় নারী উন্নয়নে বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছে।
৭. মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা : সরকার এদেশের নারী সমাজের দাবি ও কল্যাণের জন্য ১৯৭৮ সালে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল মহিলাদের দাবি-দাওয়া পর্যালোচনা করে তা বাস্তবায়নে কর্মসূচি গ্রহণ করা। মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় মহিলাদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে। এটা তৎকালীন মহিলাদের
আন্দোলনের অন্যতম ইস্যু ছিল।
৮. সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা : মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করে সরকার ১৯৮৭ সালে সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করে। এটাকে পুনর্বিন্যাস করে ১৯৯৪ সালে “মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়” গঠন করে। এ মন্ত্রণালয় নারী সমাজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালে, ২০০৪ সালে, ২০০৮ সালে ও ২০১১ সালে নারী উন্নয়ন নীতি গ্রহণ করেছে। এর ফলে নারী সমাজের অনেক দাবি পূরণ হয়েছে। এসব নীতি নারী আন্দোলনের ফল।
৯. স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ১৯৯০ : জেনারেল এরশাদ ১৯৮২ সালে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে তৎকালীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো তার বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালে গণআন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনে বেগম জাহানারা ইমামের সঙ্গে এদেশের নারী সমাজও অংশগ্রহণ করে। ফলে আন্দোলনের তীব্রতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগ করেন। তাই বাংলাদেশে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় যা এখনো অব্যাহত আছে।
১০. নারী সংগঠন প্রতিষ্ঠাকরণ : জাতিসংঘ ১৯৭৬-৮৫ পর্যন্ত সময়কে নারী দশক হিসেবে ঘোষণা করে। ফলে সারা বিশ্বে নারী জাগরণ ঘটে। বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে এসময় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তারা জাতিসংঘের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে এবং নারীর অধিকার ও দাবি আদায়ের জন্য সংগঠন করে। তারা বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন
শুরু করে।
১১. এসিড বিরোধী আন্দোলন : ১৯৮০র দশকের মাঝামাঝি বাংলাদেশে এসিড বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। একদল দুষ্কৃতিকারী নারীদের উপর এসিড ছোঁড়া শুরু করে। এতে বহু নারী হতাহত হয়। তখন এ অমানবিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নারীরা আন্দোলন শুরু করে। তখন সরকার এসিড বিরোধী কঠোর আইন পাস করে। ফলে এসিড নিক্ষেপ কিছুটা বন্ধ হয়। কিন্তু তা চলমান থাকায় নারীরা এসিড বিরোধী আন্দোলনকে অন্যতম ইস্যু হিসেবে গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে এসিড বিরোধী আইন নারী আন্দোলনের ফল। সরকার ২০০২ সালে এসিড অপরাধ দমন এসিড নিক্ষেপের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবুও এটা পুরোপুরি বন্ধ হয়
১২. যৌতুক বিরোধী আন্দোলন : বাংলাদেশে আর একটি নারী আন্দোলন হলো যৌতুক বিরোধী আন্দোলন। যৌতুকের কারণে বহু নারী প্রতিবছর হত্যা, খুন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়। এর বিরুদ্ধে নারীরা তীব্র আন্দোলন করে। ফলে সরকার যৌতুক নিরোধ আইন, ১৯৮০ পাস করে। এর ফলে যৌতুকের তীব্রতা হ্রাস পেলেও এটা বন্ধ হয় নি। এখনও নারীরা যৌতুকের জন্য নিষ্ঠুরতার শিকার হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে যৌতুক প্রথা নারী আন্দোলনের একটি ইস্যু।
১৩. নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন : বাংলাদেশে বিগত শতাব্দীর আশির দশকে দেশে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পায়। তারা ধর্ষণ, হত্যা, স্বামী কর্তৃক মারধোর, যৌন হয়রানি, ইভটিজিং, পাচার, জোর করে পতিতা বানানো ইত্যাদি নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। ফলে সরকার নারী নির্যাতন আইন, (নির্বতক ও শাস্তি) আইন, ১৯৮০, পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০২ পাস করে। এসব নারী আন্দোলনের ফল ।
১৪. রাষ্ট্রধর্ম বিরোধী আন্দোলন : রাষ্ট্রপতি এরশাদ ৮ম সংসদীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করেন। তখন এদেশের নারীরা এরশাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু করে। কারণ তারা বুঝতে পারে এতে নারীদের কোন উপকার হবে না। এতে লাভবান হবে সাম্প্রদায়িক শক্তি ও মৌলবাদীরা। ফলে নারীরা হবে এর শিকার। এজন্য নারীরা রাষ্ট্রধর্ম বিরোধী আন্দোলন করে।
১৫. “ইউনিফরম ফ্যামিলি কোড” এর জন্য আন্দোলন : বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ১৯৮৫ সাল হতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এজন্য তারা বিভিন্ন সময়ে ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলন করছে। তাদের আন্দোলনের একটি ইস্যু হলো “ইউনিফরম ফ্যামিলি কোড”। ইউনিফরম ফ্যামিলি কোড চালু হলে সকল ধর্মের, বর্ণের, মানুষ বিবাহ-বিচ্ছেদ, সম্পত্তি, সমতা ও অন্যান্য অধিকার সম্পর্কে আর বৈষম্যের শিকার হবে না। নারী পুরুষ সমঅধিকার লাভ করবে।
১৬. “ঐক্যবদ্ধ নারী সমাজ” এর আন্দোলন : ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশের ১৪টি নারী সংগঠন “ঐক্যবদ্ধ নারী সমাজ” নামে নারী আন্দোলনের জন্য একটি ঐক্যফ্রেন্ট গঠন করে। এই ফ্রন্ট ১৭ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করে। এতে নারী সমাজের অনেক দাবি দাওয়া আছে। এগুলোর মধ্যে নারী-পুরুষ সমতা বিধান, ইউনিফরম ফ্যমিলি কোড, সম্পত্তির সমঅধিকার, বিবাহ-বিচ্ছেদের সমঅধিকার ইত্যাদি। এর জন্য তারা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
১৭. ফতোয়া বিরোধী আন্দোলন : ফতোয়া ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধর্মীয় সমস্যা সমাধানের জন্য, ধর্মীয় বিষয় ব্যাখার মাধ্যমে ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ ও বুজুর্গ ব্যক্তিগণ ফতোয়া প্রদান করে। এক্ষেত্রে তারা ইত্তেহাদ করেন, বুদ্ধি- বিবেক দ্বারা কাজ করেন। অজ্ঞ ও ধর্মান্ধ ব্যক্তিগণ ফতোয়াকে নারীর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে। ফলে নূরজাহান, কদুবানু ও ফিরোজার মত অসহায় নারী নির্যাতিত হন। ফলে এদেশের নারী সমাজের আন্দোলনের ফলে সুপ্রিম কোর্ট ফতোয়া নিষিদ্ধ করে। কিন্তু ফতোয়া পুরোপুরি বন্ধ হয় নি।
১৮. “সম্মিলিত নারী সমাজের” আন্দোলন : সম্মিলিত নারী সমাজ ২২০টি নারী সংগঠনের একটি “ঐক্যফ্রন্ট”। এটি গঠিত হয় ১৯৯৫ সালে। এই ফ্রন্ট ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করছে। এর ইস্যুগুলোর মধ্যে প্রধান ইস্যু হলো যথা : নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠা, যৌতুক, পাচার বন্ধ করা, সিডো সনদ বাস্তবায়ন, নারী শিক্ষার প্রসার, নারীর কর্মসংস্থান, নারী, পুরুষ, সমমজুরি প্রদান, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সংরক্ষিত নারী আসন বৃদ্ধি করা এবং এসব আসনে প্রত্যক্ষ নির্বাচন ইত্যাদি। এসব ইস্যু নিয়ে সম্মিলিত নারী সমাজ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
১৯. নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণ সনদে স্বাক্ষরের দাবি আন্দোলন : নারীর প্রতি সকল বৈষম্য দূর করার জন্য জাতিসংঘ সিডো সনদ পাস করে। সিডো নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করার জন্য কতিপয় ধারা সংযোজন করে। এতে সম্পত্তি, বিবাহ, বিবাহ-বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষকে সমতা প্রদান করে। বাংলাদেশ সিড়ো সনদ পূর্ণ অনুমোদন করে নি। এজন্য
নারীরা সিডো সনদ পূর্ণ অনুমোদনের জন্য আন্দোলনের আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে তাদের সংগ্রাম চলছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাঘতে পারে বিধায় সরকার সিডোর ১৬-১(গ) ধারা এখনো অনুমোদন করে নি।
উপসংহার : বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর বহু নারী সংগঠন গড়ে উঠেছে। এসব সংগঠন নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার আদায় করার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাদের সংগ্রামের ফলে বাংলাদেশে নারী জাগরণ ঘটছে। নারীরা আজ সরকারে, সংসদে, প্রশাসনে, বিচার বিভাগে, সাহিত্যে, শিল্পে, গার্মেন্টসে, শিক্ষা ক্ষেত্রে, লাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অবাধে বিচরণ করছে। মৌলবাদ তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%a4%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf/
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*