স্থানীয় রাজনীতির অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎসসমূহ কী কী?

অথবা, স্থানীয় রাজনীতির অনানুষ্ঠানিক উৎসসমূহ কী কী?
অথবা, স্থানীয় রাজনীতির অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎসগুলো উল্লেখ কর।
অথবা, স্থানীয় রাজনীতির অনানুষ্ঠানিক উৎস উল্লেখ কর।
অথবা, স্থানীয় রাজনীতির অনানুষ্ঠানিক উৎস সম্পর্কে লিখ।
অথবা, স্থানীয় রাজনীতির অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎস সম্পর্কে লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা :
কোনো একটি সুনির্দিষ্ট স্থান বা এলাকার জনগণের স্থানীয় সমস্যা ও অভাব-অভিযোগ সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা, স্থানীয় ব্যাপারে সম্পৃক্ত হওয়া, লক্ষ্য স্থির করা, পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা। সর্বোপরি স্থানীয় চাহিদা মোতাবেক বিষয়বস্তু নির্ধারণ সাপেক্ষে যে রাজনীতি গড়ে ওঠে তাকেই স্থানীয় রাজনীতি বলে অভিহিত করা হয়।
স্থানীয় রাজনীতির অপ্রাতিষ্ঠানিক/ অনানুষ্ঠানিক উৎসসমূহ : স্থানীয় রাজনীতির অপ্রাতিষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক উৎস হচ্ছে সে সকল প্রতিষ্ঠান যেগুলো বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কহীন। স্থানীয় রাজনীতির অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎসগুলোর কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বা কাঠামো নেই, তবে বাংলাদেশের স্থানীয় রাজনীতির অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎসগুলোর গুরুত্ব একেবারে কোনো অংশেই কম নয়। সাধারণত স্থানীয় রাজনীতির অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎসের মধ্যে যে সকল বিষয়ের নাম উল্লেখ করা যায়, সেগুলো হচ্ছে গ্রামের ‘মাতব্বর’, মোড়ল, সরকার প্রধান, প্রামাণিক, বয়স্ক কিংবা ‘মুরুব্বি’ ইত্যাদি। এরা সাধারণত স্থানীয় রাজনীতির অপ্রাতিষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক নেতা হিসেবে পরিচিত। এরা অত্যন্ত প্রভাবশালী হয়ে থাকে। স্থানীয় রাজনীতিতে এদের খুব প্রাধান্য রয়েছে। তারা অনেকটা উত্তরাধিকার সূত্রেই ক্ষমতা ভোগ করে থাকেন। স্থানীয় জনগণের নিকট তারা খুব শ্রদ্ধার পাত্র। সে কারণে তারা অতিসহজেই স্থানীয় জনগণের উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশে স্থানীয় পর্যায়ের অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎস হিসেবে যারা গণ্য হয়ে থাকেন, তাদের বেশির ভাগই বয়স্ক, শিক্ষিত বা কম শিক্ষিত, রক্ষণশীল, ধার্মিক ও প্রগতি বিরোধী ভাবাপন্ন হয়ে থাকেন। গ্রামীণ বা স্থানীয় রাজনীতিতে বিদ্যমান এ সকল নেতৃত্ব তাদের সমর্থকদের রাজনীতিতে সম্পৃক্তকরণের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালায় ।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*