সুযোগ্য নারী নেতৃত্বের অভাব নারীমুক্তির অন্তরায়-সংক্ষেপে আলোচনা কর।

অথবা, সুযোগ্য নারী নেতৃত্বই পারে নারীমুক্তি আন্দোলন সফল করতে সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
অথবা, “নারী নেতৃত্বের অভাবে নারীমুক্তি সম্ভব হচ্ছে না” সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
অথবা, “নারীমুক্তির জন্য দরকার সুযোগ্য নারী নেতৃত্ব” তুমি কি এই বক্তব্যের সাথে একমত?
অথবা, “একমাত্র নারী নেতৃত্বই পারে নারী জাতির মুক্তির স্বাদ দিতে” সংক্ষেপে লিখ।
উত্তরা৷ ভূমিকা :
পৃথিবীর উষালগ্ন থেকেই নারীরা সমাজে তথা রাষ্ট্রে বিভিন্নভাবে অবহেলিত হয়ে আসছে। নারীরা পুরুষের সমান কাজ করলেও তাদের সমান মর্যাদা দেয়া হয় না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রে নারীদের পিছনে ফেলে রাখা হয়েছে। নারীদের এ পিছনে পড়ে থাকার নানাবিধ কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো যোগ্য
নেতৃত্বের অভাব। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
সুষ্ঠু নেতৃত্বের অভাব নারীমুক্তির ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায় : “সুষ্ঠু নেতৃত্বের অভাব নারীমুক্তির ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায়” নেতৃত্ব দিকনির্দেশনা স্বরূপ, নারীবাদী আন্দোলন নারীমুক্তির ক্ষেত্রে সে নিদের্শনাই দিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব পশ্চাৎপদতার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত কারণসমূহকে চিহ্নিত করা যায়।
ক. উন্নয়নের স্রোতধারার সাথে নারীর বিচ্ছিন্নতা। তবে এক্ষেত্রে মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্তায়নই যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে নারীকে একটি ত্রিমুখী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হয়। যেখানে নারী একাধারে সমাজব্যবস্থা সংশোধন করে, পরিবর্তন করে, অতঃপর সে ধারার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে।
সনাতন সমাজ ব্যবস্থায় ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুর স্থানান্তর প্রয়োজন। কারণ সেখানে নারীর অনুপস্থিতি। তাই ক্ষমতার প্রশ্নে নয় প্রয়োজন সহাবস্থান
গ. সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কেবল সমঅংশ গ্রহণ নারী নেতৃত্বের বিকাশে যথেষ্ট নয়, তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। অংশ গ্রহণ একটি অপরিহার্য নিয়ামক। নারী আন্দোলন তাই এ অংশগ্রহণকে সাধুবাদ জানিয়েছে সর্বদা।

উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে আমরা বলতে পারি, যোগ্য নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠার পিছনে যে সমস্ত সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেগুলো দূর করে, নারীদের যোগ্যভাবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই নারী আন্দোলন বেগবান হবে এবং নারীমুক্তি অর্জিত হবে।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!