Answer

লিঙ্গভিত্তিক শ্রম বিভাজন কী?

অথবা, জেন্ডারভিত্তিক শ্রমবিভাজন বলতে কী বুঝ?
অথবা, লিঙ্গভিত্তিক শ্রম বিভাজন বলতে কী বুঝ?
অথবা, জেন্ডারভিত্তিক শ্রম বিভাজন কাকে বলে?
অথবা, জেন্ডারভিত্তিক শ্রম বিভাজন কী?
অথবা, লিঙ্গভিত্তিক শ্রম বিভাজন কাকে বলে?
উত্তর৷ ভূমিকা :
নারী-পুরুষের সামাজিক অবস্থান ও পারস্পর্যতার ক্ষেত্রে যে উত্তম-অধম ও উর্ধ্বতন অধস্তন সম্পর্ক দেখা যায় তার মূল ভিত্তি হলো লিঙ্গগত শ্রম বিভাজন। সভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম প্রাচীন এ বিভাজন ও ধারণা মূলত গ্রিক হেলেনিজমের অনুসারী ও বিস্তৃত রূপ। অবৈজ্ঞানিক ও অ-যুক্তিবাদী ধারণা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিনির্মাণ ও বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে এবং নারীকে অধীস্ত সত্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
লিঙ্গভিত্তিক শ্রম বিভাজন : নারী ও পুরুষের শারীরিক দিককে প্রাধান্য না দিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে তাদের কাজের বা শ্রমের যে বিভাজন তৈরি করা হয় তাই জেন্ডার শ্রমবিভাজন বা লিঙ্গগত শ্রম বিভাজন। প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় একজন নারী ও একজন পুরুষ ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব পালন করে। সাধারণত পুরুষের কাজ পরিবার থেকে সমাজের বৃহত্তর ক্ষেত্রে ক্রম প্রসারমান। অন্যদিকে নারীর ভূমিকা ও কার্যাবলির সবটুকুই পরিবারের মধ্যে সীমিত ও সীমাবদ্ধ বলে মনে করা হয়। এ ক্ষেত্রগত পার্থক্যের দৃষ্টিভঙ্গি উভয়ের কাজের অর্থনৈতিক গুরুত্বের ক্ষেত্রেও পার্থক্য সৃষ্টি করে। এ কারণেই নারীর কাজকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ও পুরুষের কাজকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সমাজ নির্ধারিত এ লিঙ্গগত শ্রম বিভাজন নীতি নারীকে গৃহে সীমাবদ্ধ রাখতে সহায়তা করেছে এবং পুরুষের দায়িত্ব ও কাজের পরিধিকে প্রসারিত করেছে। ফলে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের ক্ষমতা ও আধিপত্য সংহত হয়েছে, অন্যদিকে নারীর ক্ষমতাহীনতার কারণ হিসেবে কাজ করেছে।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!