বেইজ়িং>চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন ১৯৯৫ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
অথবা, বেইজিং>চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন ১৯৯৫ এর রূপরেখা সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
অথবা, চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন ১৯৯৫ এর কর্মসূচিসমূহ লিখ।
অথবা, চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন ১৯৯৫ এর কর্মসূচি সম্পর্কে যা জান লিখ।
অথবা, চতুর্থ বিশ্ব বিশ্ব নারী সম্মেলন ১৯৯৫ এর রূপরেখা আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : বিশ্ব নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেসকল বাস্তবমুখী ও কার্যকর পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে বেইজিং নারী সম্মেলন তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৫ সালের ৪ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ও সম্মেলনে ৩য় নারী বিশ্ব সম্মেলনে গৃহীত কর্মকৌশলগুলোর অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয় এবং নারী উন্নয়নে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা অন্তর্ভুক্ত করে ‘Platform For Action’ (PFA) ঘোষিত হয়। এ ঘোষণা নারীর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, মানবাধিকার ইত্যাদি উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র্য, সহিংসতা, নেতিবাচক সামাজিকীকরণ ইত্যাদি হ্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতায়নের কৌশল গ্রহণ করে।
চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন এর কর্মসূচিসমূহ : ১৯৯৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনের রাজধানী বেইজিং এ চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আগত প্রতিনিধিরা নাইরোবি সম্মেলনের গৃহীত
‘Forward looking strategy for the advancement of women’ পর্যালোচনা ও পুনর্মূল্যায়ন করেন। এ সম্মেলনে সে আলোকে একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দাবি মিটাতে নারীকে যোগ্য করে গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করে। এ সম্মেলনে সমাজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নারী কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নারীর ক্ষমতায়নকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করে। জেন্ডার সাম্য উন্নয়ন ও শান্তির জন্য একটি বৈশ্বিক নীতিমালা প্রণয়নে এ সম্মেলন আহ্বান জানায়। এ সম্মেলনে কর্মসূচি বাস্তবায়নে একটি প্লাটফরম নিশ্চিত করে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, মূলত সারা বিশ্বে নারীর অধিকার ও তাদের মানবিক মর্যাদা রক্ষা করার জন্য সর্বক্ষেত্রে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ করার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত হয় বেইজিং > চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন। যা বিশ্ব নারী অধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত।