বিশ্বায়নের যুগে নারীর অবস্থা আলোচনা কর।
অথবা, বিশ্বায়নের যুগে নারীর অবস্থা সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
অথবা, বিশ্বায়নের যুগে নারীর অবস্থা কেমন?
অথবা, বর্তমান যুগের নারীর অবস্থা কেমন?
অথবা, বর্তমান যুগের নারীর অবস্থা সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : বিশ্বায়ন এমন একটি প্রক্রিয়া যা মানবসমাজের সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। বিশ্বায়নের ফলে নারী পুরুষ বৈষম্য শব্দটি লোপ পেয়েছে। সকল ক্ষেত্রে নারী পুরুষ সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
বিশ্বায়নের ফলে নারী অর্থনীতি, রাজনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিশ্বায়ন নারীর চোখ, খুলে দিয়েছে।
বিশ্বায়ন যুগ বা বর্তমান যুগ : বর্তমান যুগে নারীদের অবস্থান সুদূরপ্রসারী। ঘরে ও বাইরে তারা আজ কর্মমুখর জীবনের স্বাদ উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া সংসারের অভ্যন্তরীণ দায়িত্ব নারীকেই পালন করতে
হয় বলে সেখানেও তার অবদান অসামান্য। শিশুর চরিত্র গঠনেও মায়ের ভূমিকা অনেক। তাছাড়া পারিবারিক জীবনের সুখশান্তি পুরুষদের জীবন সুন্দর ও সার্থক করে তোলে। আর সুন্দর জীবনের অধিকারী পুরুষরাই পারে জাতীয় জীবনের উন্নতির পথ প্রশস্ততর করতে, পারিবারিক জীবনে সুখশান্তি বজায় রাখার মাধ্যমে নারীসমাজ জাতি গঠনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকে । বাইরের জগতেও নারীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জ্ঞানার্জন থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা আজ নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করছে। ফলে জীবনের বিচিত্র কর্মক্ষেত্রে তারা পুরুষের পাশাপাশি কাজ করে চলছে। জ্ঞান, বুদ্ধি প্রয়াসে নারীরা কর্মক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে বহু বিচিত্র ক্ষেত্রে নিজেদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে। এ বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী, কাজেই বর্তমানে পুরুষের পাশাপাশি নারীর ভূমিকাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার শেষে বলা যায়, নারী সেদিনই পরিপূর্ণ মুক্তিলাভ করে পুরুষের পাশাপাশি সমঅধিকারের ভিত্তিতে অবস্থান করতে সক্ষম হবে, যেদিন ব্যক্তিমালিকানা ও পুঁজিবাদী উৎপাদন কাঠামোর বিন্যাস ঘটিয়ে সামাজিক মালিকানার সূচনা ঘটবে। Engels বলেছেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তিব্যবস্থা উচ্ছেদ হয়ে গেলে নারী-পুরুষের মধ্যে দাসীর সম্পর্ক থাকবে না। তখন তাদের সম্পর্ক নিছক নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। এমন একটি সাম্যবাদী সমাজই অদূর ভবিষ্যতে নারীমুক্তি অনিবার্য করে তুলবে।