বাংলার জাগরণ : পবন্ধ, কাজী আবদুল ওদুদ
ক-বিভাগ
বাংলা সাহিত্যের একজন চিন্তাশীল, মার্জিত রুচি, বুদ্ধিদীপ্ত ও ধীসম্পন্ন লেখক হলেন-
উত্তর : কাজী আবদুল শুদুন।
কাজী আবদুল ওদুদের জন্ম সাল কত?
উত্তর : ২৬ এপ্রিল ১৮৯৪ সাল।
কাজী আবদুল ওলুদ মৃত্যুবরণ করেন-
উত্তর : ১৯ ১৯৭০ সালে কলকাতায়।
আবদুল ওদুদ কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
উত্তর : ‘তরুণপত্র পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন।
কাজী শুনুন কত সালে ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ এর সাথে নিযুক্ত হন?
উত্তর : কাজী ওদুদ ১৯২৬ সালে মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ এর সাথে নিযুক্ত হন।
‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ কখন প্রতিষ্ঠিত হয়।
উত্তর : মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
কাজী আবদুল ওদুদ ছিলেন ‘শিখা’ পত্রিকার একজন –
উত্তর : অন্যতম নেতা।
“শিখা’ পত্রিকা কত সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে?
উত্তর : ‘শিখা’ পত্রিকা ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
‘শিখা’ পত্রিকার মূলমন্ত্র কী ছিল?
উত্তর : ‘শিখা’ পত্রিকার মূলমন্ত্র “জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।”
কাজী আবদুল ওদুদের প্রকাশিত তিনটি গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর : ‘নদীবক্ষে’, ‘শাশ্বতবঙ্গ’ ও ‘আজাদ’।
শাশ্বতবঙ্গ’ কোন ধরনের রচনা?
উত্তর : প্রবন্ধ রচনা।
‘কিশোর কুমার’ পুরস্কারে ভূষিত হন কে?
কাজী আবদুল ওদুদ।
কাজী আবদুল ওলুল কোথায় নিজাম বক্তৃতা দেন?
উত্তর : ১৯৫৬ সালে হিন্দু-মুসলিমের বিরোধ নিয়ে বিশ্বভারতীতে।
কাজী আবদুল ওদুদের শাশ্বতবঙ্গ প্রবন্ধ গ্রন্থের কয়েকটি প্রবন্ধের নাম বল।
উত্তর : কালীদাস ও রবীন্দ্রনাথ, কোরআনের আল্লাহ, সংস্কৃতির কথা, বাংলার জাগরণ, গ্যেটে, সন্মোহিত মুসলমান, রামমোহন রায়,
রস ও ব্যক্তিত্ব প্রভৃতি।
মহাত্মাগান্ধী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোন রচনাটি প্রকাশ করেন?
উত্তর : ‘আজাদ’ উপন্যাসটি।
বাংলার জাগরণ সম্পর্কে অনেক শিক্ষিত ব্যক্তির ধারণা কী?
উত্তর : বাংলার জাগরণ পাশ্চাত্যের প্রভাবের ফল।
কার থেকে আমাদের দেশে নবভাবধারা এবং চিন্তা আরম্ভ হয়?
উত্তর : রামমোহনের থেকে।
বাংলার জাগরণের প্রভাত নক্ষত্র বা প্রভাত সূর্য কে?
উত্তর : রামমোহন রায়।
পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং জীবনাদর্শের দিকে শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলেন কে?
উত্তর : রামমোহন রায়।
রামমোহন পৌত্তলিকতার প্রশ্নে কাদের সাথে বাদানুবাদ করেছিলেন?
উত্তর : নিজের পিতা ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন।
রামমোহন গৃহত্যাগ করে কোথায় গিয়েছিলেন?
উত্তর : তিব্বতে।
তিব্বত এবং উত্তর ভারত ভ্রমণের সময় রামমোহন কাদের সাথে পরিচিত হয়েছিলেন?
উত্তর : নানক কবীর ভক্তদের ভাবধারার সাথে।
রামমোহনের চিন্তার উপরে কিসের প্রভাব ছিল?
উত্তর : মোতাজেলাদের।
অবাধ বাণিজ্য এবং নারীর অধিকার নিয়ে কে আন্দোলন করেছেন?
উত্তর : রামমোহন।
সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদ করে কে?
উত্তর : রামমোহন।
সমাজের ক্ষেত্রে লোকহিতকর অনুষ্ঠানের প্রবর্তন করেছিলেন কে?
উত্তর : রামমোহন।
“যা অনিষ্টকর তা প্রাচীন হলেও বর্জনীয়।”- কার উক্তি?
উত্তর : রামমোহনের।
রামমোহন কত সালে বিলাত যাত্রা করেন?
উত্তর : ১৮৩০ সালে।
রামমোগন জাতীয় জীবনে কর্মের যে সূচনা করেছিলেন তার মধ্যে প্রথম ফলপ্রসূ কোনটি?
উত্তর : হিন্দু কলেজের মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তার।
হিন্দু কলেজের সাথে কার নামটি চিরদিনের জন্য গাঁথা হয়ে আছে?
উত্তর : লুই ভিভিয়ান ডিরোজি।
অল্প বয়সে যথেষ্ট বিদ্যা অর্জন করে কবি ও চিন্তাশীল ব্যক্তিরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন কে?
উত্তর : ডিরোজি।
ডিরোজি কত বছর বয়সে হিন্দু কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছিলেন?
উত্তর : বিশ বছর বয়সে।
ডিরোজি কত বছর হিন্দু কলেজে চাকরি করেছিলেন?
উত্তর : তিন বছর।
ইউরোপের জ্ঞান-বিজ্ঞানের স্বাদ বাঙালি প্রথম কার কাছ থেকে পায়?
উত্তর : ডিরোজির কাছ থেকে।
ডিরোজির প্রভাবের গৌণ ফল কে?
উত্তর : বাংলার মধুসূদন।
কাদের বাদানুবাদ সুবিখ্যাত?
উত্তর : মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অক্ষয়কুমার দত্ত।
“প্রার্থনা + পরিশ্রম = শস্য”- উক্তিটি কার?
উত্তর : অক্ষয়কুমার এর।
“পরিশ্রম = শস্য”- উক্তিটি কার?
উত্তর : অক্ষয়কুমারের।
“প্রার্থনা = ০” উক্তিটি বা সমীকরণটি কার?
উত্তর : অক্ষয়কুমার।
রামমোহনের ব্রাহ্মধর্মের ব্যাখ্যার পরে কার ব্যাখ্যা হিন্দু সমাজ গ্রহণ করেছিলো?
উত্তর : দেবেন্দ্রনাথ।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের প্রৌঢ় বয়সে ব্রাহ্মধর্মের নেতা কে হন?
উত্তর : ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র।
আজন্ম ‘অগ্নিমন্ত্রের’ উপাসক কে ছিলেন?
উত্তর : কেশবচন্দ্ৰ ৷
“সব ধর্মই সত্য একথা মানা যায় না, তবে সব ধর্মের ভিতরেই সত্য আছে।”- উক্তিটি কার?
উত্তর : রামমোহনের।
“যত মত তত পথ”- এর প্রবর্তক কে?
উত্তর : রামকৃষ্ণ পরম হংস।
কাকে কেউ বলেছে অবতার, কেউ বলেছে উন্মাদ?
উত্তর : রামকৃষ্ণ পরমহংস।
বাংলার নবসাহিত্যের নেতা কে?
উত্তর : মধুসূদন দত্ত।
‘আনন্দমঠ’ এর লেখক কে?
উত্তর : বঙ্কিমচন্দ্ৰ।
‘গোরা’ এর লেখক কে?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রাজা রামমোহন রায় কে ছিলেন?
উত্তর : ব্রাহ্মধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। সমাজ সংস্কারক, সমাজসেবী ও প্রগতিশীল আধুনিক বাংলা গড়ার পথ প্রদর্শক। একেশ্বরবাদী চিন্তার প্রবর্তক এ মনীষী পৌত্তলিকতা ও বহুঈশ্বর ধারণার বিপরীতে ‘একম ব্ৰহ্মম দ্বিতীয় নাস্তি’ স্লোগানের জনক।
পৌত্তলিকতা কী?
উত্তর : মাটির প্রতিমাকে পূজা করা।
খ-বিভাগ
প্রশ্ন॥১॥ প্রাবন্ধিক কাজী আবদুল ওদুদ সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।
প্রশ্ন॥২॥ ‘বাংলার জাগরণ’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্য লেখ।
প্রশ্ন॥৩॥ “এ পার্থক্য একই সাথে আমাদের জন্য আনন্দের ও বিষাদের।”— বুঝিয়ে দাও।
প্রশ্ন॥৪॥ “অসভ্য বা অর্ধসভ্য জাতির মত আমরা শুধু ইউরোপের প্রতিধ্বনি মাত্র নই।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৫॥ “কিন্তু তাঁকে জাতীয় জাগরণের প্রভাত নক্ষত্র না বলে প্রভাত সূর্য বলাই উচিত।”— ব্যাখ্যা কর।
প্ৰশ্ন।৬।“অবশ্য মধ্যযুগের সমস্ত খোলস চুকিয়ে দেওয়া একেবারে আধুনিক কালের এক পরম শক্তিমান মানুষের চিত্তক্রমেই আমরা তাঁর ভিতরে বেশি করে অনুভব করতে পারছি।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৭॥ “এ বিরাট পুরুষের জীবনকথা ও বিভিন্ন রচনা আলোক পথের পথিক দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের নিত্যসঙ্গী হবার যোগ্য।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৮॥ “হিন্দু কলেজের সাথে ডিরোজিওর নাম চিরদিনের জন্য এক সূত্রে গাঁথা হয়ে গেছে।”— ব্যাখ্যা কর।
প্ৰশ্ন।৯।“এ স্বাদের চমৎকারিত্ব কত তা এ থেকে বোঝা যাবে যে বাংলার চির আদরের মধুসূদন এ ডিরোজিও প্রভাবের গৌণ ফল।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন ১০॥ কেন এমন হয়েছে তা ভাবতে গিয়ে হয়ত বলতে পারা যায়, তাঁরা দেশের ইতিহাসকে একটুও খাতির করতে চাননি পবননন্দনের মত আস্তো ইয়োরোপ গন্ধমাদন এদেশে বসিয়ে দিতে তাঁরা প্রয়াস পেয়েছিলেন।— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১১।“তবু সংসারনিষ্ঠা জ্ঞানানুশীলন সৌন্দর্যস্পৃহা সমস্তের ভিতরে ঈশ্বর প্রেমই ছিল তাঁর অন্তরের অন্তরতম বস্তু।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১২॥ “সে পিপাসা এমন প্রবল যে এত দিনেও বাংলাদেশে সে রকম লোক অতি অল্পই জন্মগ্রহণ করেছেন।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৩॥ “কৃষক পরিশ্রম করে শস্য উৎপাদন করে, প্রার্থনা করে নয়।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৪॥ “কোন বড় স্রষ্টাই তার সৃষ্টির মধ্যে পুরোপুরি ধরা পড়েনি।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৫৷ “এভাবে মানুষের চিত্তকে যে নতুন করে এক গরীয়ান আসন দেওয়া হলো, তার অর্থ কত, ইঙ্গিত কী বিপুল, দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলার জাতীয় জীবনের সামনে থেকে আজ সেসব চিন্তা দূরে স্থিত।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১৬।“আমাদের যাঁরা নেতৃস্থানীয় তাঁরাও খুব কমই আধুনিক জীবনের দিকে ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৭৷ “সব ধর্মই সত্য একথা মানা যায় না, তবে সব ধর্মের ভিতরেই সত্য আছে।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷১৮।“তবে এ একটি কথা বলা যেতে পারে যে মানুষ অনেক সময় বেশি করে যা ভাবে চোখেও সে তাই দেখে।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৯॥ “তিনি বরং নিপুণ চিত্রকর ও বাস্তববাদী স্বদেশ প্রেমিক।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷ ২০॥ “বাংলার ঊনবিংশ শতাব্দীর ধর্মচর্চার উপরে যে একটা মধ্যযুগীয় ছাপমারা রয়েছে তা আমরা দেখেছি।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥২১৷ “তবু মোটের উপর এ বীরহৃদয় সন্ন্যাসী সত্যকার স্বদেশপ্রেমিক ছিলেন মানবপ্রেমিকও ছিলেন।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷২২৷ “হিন্দু-মুসলমান সমস্যা যেভাবে উঠেছে তা একই সঙ্গে হিন্দু মুসলমানের দুর্দশার প্রমাণ।”— বুঝিয়ে দাও।
গ-বিভাগ
প্রশ্ন॥১॥ কাজী আবদুল ওদুদ বিরচিত ‘বাংলার জাগরণ’ প্রবন্ধের মূলবক্তব্য তোমার নিজের ভাষায় লিখ।
প্রশ্ন॥২॥ বাংলার জাগরণে মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান কতটুকু, আলোচনা কর।
প্রশ্ন।৩।“বাংলার নবজাগরণের প্রভাত নক্ষত্র যে রাজা রামমোহন রায় সে সমন্ধে কোনো মতভেদ নেই”- এ উক্তির আলোকে রামমোহন রায়ের অবদান বর্ণনা কর।
প্রশ্ন॥৪॥ বাংলার জাগরণের ক্ষেত্রে ডিরোজিওর অবদান সম্পর্কে আলোচনা কর।
প্রশ্ন।৫।“বাংলার ঊনবিংশ শতাব্দীর ধর্মচর্চার উপর যে একটা মধ্যযুগীয় ছাপ মারা রয়েছে তা আমরা দেখেছি”- এ উক্তির আলোকে উনিশ শতকের ধর্মচর্চার স্বরূপ নিরূপণ কর।
প্রশ্ন॥৬॥ বাংলার জাগরণে কারা, কী ভূমিকা পালন করেছেন? ‘বাংলার জাগরণ’ প্রবন্ধ’ অবলম্বনে আলোচনা কর।