Answer

বহুমুখী খামারের সুবিধাসমূহ লিখ ।

অথবা, বহুমুখী খামারের সুবিধাসমূহ বর্ণনা কর।
অথবা, বহুমুখী খামারের সুফলসমূহ আলোচনা কর।
অথবা, বহুমুখী খামারের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর৷ ভূমিকা :
কোনো কৃষি খামারে একাধিক শস্য উৎপাদিত হলে তাকে বহুমুখী খামার বলে । যেমন- কোন খামারে ধান, পাট, শাকসবজি প্রভৃতি একাধিক ফসল উৎপাদিত হলে তাকে বহুমুখী খামার বলে ।
বহুমুখী খামারের সুবিধাসমূহ : শস্যোৎপাদনের ক্ষেত্রে বহুমুখী খামার বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করে। এগুলো নিম্নরূপ :
১. বহুমুখী খামারে একাধিক ফসল উৎপাদন করা হয়। ফলে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে শস্যোৎপাদনের ক্রমাবর্তন নীতি অনুসরণ করা যায়। এর ফলে জমির উর্বরাশক্তি অক্ষুণ্ণ থাকে। এ খামারে বছরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা হয়। এজন্য পরিবারসহ কৃষক সবসময়ই কৃষিকাজে নিয়োজিত থাকে। ফলে শ্রমের পূর্ণ ব্যবহার সম্ভব হয়। তাছাড়া এ খামারে সামান্য হলেও সারা বছর ধরে শ্রমের
চাহিদা থাকে ।
৩. এ খামারে কৃষক বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে। কোন কারণে একটি ফসল বিনষ্ট হলে কৃষক অন্যান্য ফসল থেকে সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে। ফলে এ খামারে উৎপাদনের ঝুঁকি কম।
৪.অনেক জমিতে বছরে একই ফসল দু’তিন বার উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে বহুমুখী খামার থাকলে সেখানে একের অধিক ফসল উৎপাদন করা যায়। এর ফলে জমি একদিকে পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে না এবং অন্যদিকে কৃষকের আয় বাড়ে।
৫.এ খামারে কৃষক প্রায় সারা বছর ধরেই একাধিক ফসল ফলায়। ফলে সে সারা বছর ধরেই আয় উপার্জন করতে পারে। এর ফলে তার আয়ের সুষম বণ্টন ঘটে এবং সে হঠাৎ করে আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়ে না।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, বহুমুখী খামারে উৎপাদিত প্রতিটা পণ্য থেকেই কৃষকের আয়ের উলেখযোগ্য অংশ অর্জিত হয়। এ ধরনের খামার সাধারণত জীবন নির্বাহী খামারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!