প্রাগৈতিহাসিক : গল্প, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

ক-বিভাগ

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্ম ও মৃত্যু সাল কত?
উত্তর : জন্ম ১৯০৮ সালের ১৯মে এবং মৃত্যু ১৯৫৬ সালে ।
মানিকের পিতার নাম কী?
উত্তর :পিতার নাম হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় ।
মাতার নাম কী?
উত্তর : নীরদাসুন্দরী দেবী।
মানিকের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
উত্তর : প্রবোধচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আদি নিবাস কোথায় ছিল?
উত্তর : ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়েরা কই ভাই বোন?
উত্তর : আট ভাই বোন।
আট ভাই বোনের মধ্যে মানিক কত নম্বর ছিল?
উত্তর : ৫ম।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখাপড়া করেন কোথায়?
উত্তর : কলকাতা, টাঙ্গাইল, মেদিনীপুর প্রভৃতি জায়গায় থেকে লেখাপড়া শেষ করেছেন।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কখন ম্যাট্রিক পাস করেন?
উত্তর : ১৯২৬ সালে মেদিনীপুর থেকে অঙ্কে লেটার নিয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
মানিক কখন আই.এ পাস করেন?
উত্তর : বাকুঁড়া কলেজ থেকে আই.এ.সি পাস করেন।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বি.এ পাস করেন কোন কলেজ থেকে?
উত্তর : কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে।
মানিকের লেখা প্রথম গল্প কোনটি?
উত্তর : ‘অতসীমামী’ ।
‘অতসীমামী’ গল্পটি কোন পত্রিকায় ছাপা হয়?
উত্তর : বিচিত্রা পত্রিকায় ছাপা হয়।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কোন সময় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন?
উত্তর : ১৯৪৪ সালে।
তিনি কতদিন পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন?
উত্তর : মৃত্যু পর্যন্ত।
মানিক কোথাকার একনিষ্ঠকর্মী ছিলেন?
উত্তর : ‘প্রগতি লেখক ও শিল্পী সংঘের’।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারিবারিক অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর : পারিবারিক অবস্থা ছিল অসচ্ছল।
মানিক বন্দ্যোপধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস কোনটি?
উত্তর : ‘জননী’ উপন্যাসটি (১৯৩৫ ) সালে ।
মানিকের উপন্যাসকে সাধারণত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী?
উত্তর: তিনটি; (ক) ফ্রয়েডীয়/ মনোসমীক্ষণ তত্ত্ব সম্পর্কিত উপন্যাস। (খ) মার্কসীয় তত্ত্ব সম্পর্কিত উপন্যাস। (গ) রাজনীতি বিষয়ক
উপন্যাস।
মানিক কাদের সঙ্গে বাজি ধরে প্রথম গল্প রচনা করেন?
উত্তর : বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ‘অতসীমামী’ গল্পটি রচনা করেন।
এই ‘অতসীমামী’ গল্পটি মানিকের জন্য কি এনে দিয়েছিল?
উত্তর : সাহিত্যের শ্রুতিবান লেখক হিসেবে মর্যাদা এনে দিয়েছিল।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কোন সময়ের লেখক?
উত্তর : তিরিশোত্তর বাংলা সাহিত্যে একজন অবিস্মরণীয় নাম।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন-
উত্তর : বিজ্ঞানমনস্ক লেখক।
মানিক কী কী চেতনা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন?
উত্তর : মাকসবাদ এবং ফ্রয়েডীয় চেতনা দ্বারা।
মানিকের প্রথম দিকের রচনাগুলোতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর : ফ্রয়েডীয় চেতনা।
ছোটগল্পকার হিসেবে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন-
উত্তর : সার্থক ছোটগল্পকার। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কয়েকটি গল্প গ্রন্থের নাম-
উত্তর : ‘প্রাগৈতিহাসিক’, ‘ছোটবড়’, ‘ফেরীওয়ালা’, ‘বকুলপুরের যাত্রী’, ‘সরীসৃপ’ প্রভৃতি।
মানিকের দুর্ভিক্ষ বিষয়ক কয়েকটি গল্পের নাম বল?
উত্তর : ‘আজ কাল পরশুর গল্প’, ‘সাড়ে সাতসের চাল’ কে বাঁচায়, কে বাঁচে!’, ‘প্রাণের গুদাম’, ‘নমুনা’ ও ‘তারপর?’ ‘গলায় দড়ি
কেন?’, ‘দুঃশাসন’ প্রভৃতি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পগ্রন্থের সংখ্যা কত?
উত্তর : ১৬টি।
‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পগ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
মানিকের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গল্পগ্রন্থের নাম উল্লেখ করো?
উত্তর : অতসী মামী, প্রাগৈতিহাসিক, মিহি ও মোটা কাহিনী, সরীসৃপ, বৌ, সমুদ্রের স্বাদ, ভেজাল, হলুদ পোড়া, আজ কাল পরশুর
গল্প, খতিয়ান, মাটির মাশুল, ছোট বকুলপুরের যাত্রী প্রভৃতি।
মনোবিশ্লেষণ ও ফ্রয়েডীও চেতনার প্রভাব, মার্কসীয় দর্শনের প্রযোগ এবং নানা নিরীক্ষার প্রয়াসে সাহিত্য রচনা করেছেন কে?
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়?
‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পে কতটি গল্প স্থান পেয়েছে?
উত্তর : ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পে ৯টি গল্প স্থান পেয়েছে।
‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পগ্রন্থের কয়েকটি গল্প হলো
উত্তর : প্রাগৈতিহাসিক, চোর, মাথার রহস্য, যাত্রা, ফাঁসি, চাকরী, প্রকৃতি, ভূমিকম্প।
প্রাগৈতিহাসিক গল্পের কয়েকটি চরিত্রের নাম হলো –
উত্তর : ভিখু, পাঁচী, বসির, পেহ্লাদ, ভরত প্রভৃতি।
প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পের ভিখু একজন?
উত্তর : দুর্ধর্ষ ডাকাত।
উত্তর : ১৯৩৭ সালে।
প্রাগৈতিহাসিক শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘প্রাগৈতিহাসিক’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ (প্রাক+ঐতিহাসিক) ইতিহাসের পূর্ব কথা। অর্থাৎ ইতিহাস লেখার শুরুর পূর্বের
জীবন ও সময়কালকে প্রাগৈতিহাসিক বলে অভিহিত করা হয়।
‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পের মূল উপজীব্য বিষয়টি কী?
উত্তর : আদিমতম কামনা-বাসনা, জৈবিক প্রবৃত্তি এবং সংকটের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

ভিখু কোথায় ডাকাতি করতে গিয়ে বর্শার আঘাত পেয়ে পালিয়ে আসে?
উত্তর : বসন্তপুরে বৈকুণ্ঠ সাহার গদিতে।
ভিখু রাতের আধারে কাকে হত্যা করে পাচীকে নিয়ে পালায়?
উত্তর : পাচীর স্বামী বশিরকে।
ভিখু কোন সময়ে বৈকুণ্ঠ সাহার গদিতে ডাকাতি করতে গিয়েছিল?
উত্তর : আষাঢ় মাসের প্রথমে।
ভিখুরা কতজন ডাকাতি করতে গিয়েছিল?
উত্তর : এগারোজন ।
এগারোজনের মধ্যে কতজন পালাতে সমর্থ হয়েছিল?
উত্তর : শুধু একজন (ভিখু)।
ভিখুর শরীরের কোন অংশে বর্শার ফলা লেগেছিল?
উত্তর : ডান কাঁধের উপরে।
ভিখু রাতারাতি কত মাইল দূরে এসে শরবনের মধ্যে লুকিয়ে ছিল?
উত্তর : দশ মাইল।
ভিখুর বন্ধুর নাম কী?
উত্তর : পেহ্লাদ বাগ্দী।
পেহ্লাদের বাড়ি কোথায়?
উত্তর : চিতলপুর।
রাতে কত ক্রোশ হেঁটে এসে ভিখু পেহ্লাদের বাড়িতে পৌঁছায়?
উত্তর : ন ক্রোশ।
পেহ্লাদ ভিখুকে কোথায় রাখার ব্যবস্থা করে?
উত্তর : দুর্গম সিনজুরি গাছের নিবিড় ঝোপের মধ্যে মাচা বেঁধে।
পেহ্লাদ তাকে কেন বাড়িতে রাখতে সাহস পায়নি?
উত্তর : পুলিশের ভয়ে।
উত্তর : তালপাতা।
ভিখুর থাকার মাচার উপর কোন পাতার আচ্ছাদন প্রদান করে?
বনটি পেহ্লাদের বাড়ি থেকে কত দূরে?
উত্তর : মাইল পাঁচেক উজানে ।
বনের মধ্যে দুদিনের জন্য পেহ্লাদ ভিখুকে কী কী খাবার দেয়?
উত্তর : গুড়-মুড়ি।
প্রতিদিন পেহ্লাদ ভিখুকে কেন দেখতে আসতে পারবে না?
উত্তর : মানুষের সন্দেহের ভয়ে।
ভিখুর কোন হাতটি রাতে ফুলে উঠে?
উত্তর : ডান হাতটি।
ভিখু বনের মধ্যে প্রতি ঘণ্টায় শরীর থেকে কী সরায়?
উত্তর : একটি করে জোঁক।
পেহ্লাদ গুড়-মুড়ি ছাড়া ভিখুকে আর কী দিয়েছিল?
উত্তর : কয়েকটা বিড়ি।
ভিখুর মাচার উপর গুড়ের লোভে দল বেঁধে কারা এসেছিল?
উত্তর : লাল পিঁপড়া।
জীচিকার কি।
ভিখু কাদের হতাশার জ্বালা বনের মধ্যে অবিরত ভোগ করে?
উত্তর : লাল পিঁপড়াদের।
পেহ্লাদ বনের মধ্যে বসে কার মৃত্যু কামনা করে?
উত্তর : পেহ্লাদের।
ভিখু বনের মধ্যে প্রায় দুঘণ্টা লাঠি হাতে বসে থাকে কেন?
উত্তর : সবুজ রঙের একটা সাপের ভয়ে।
“মরিবে না। সে কিছুতেই মরিবে না। বনের পশু যে অবস্থায় বাঁচে না সেই অবস্থায়, মানুষ সে বাঁচিবেই।”- কার সম্পর্কে
বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পে ভিখু সম্পর্কে।
পেহ্লাদকে দেখতে না এসে কোথায় গিয়েছিল?
উত্তর : গ্রামান্তরে কুটুমবাড়ি।
ভিখুর আশেপাশে শিয়াল ঘুরাঘুরি করে কেন?
উত্তর : ভিখুর ঘায়ের গন্ধে।
তিনদিন পরে বনের মধ্যে ভিখুকে দেখতে পেহ্লাদ কী নিয়ে আসে?
উত্তর : এক বাটি ভাত, পুঁটি মাছ ভাজা এবং পুঁই চচ্চড়ি।
পেহ্লাদের বোনাই এর নাম কী?
উত্তর : পেহ্লাদের বোনাই এর নাম ভরত।
ভিখুর কোন হাতটি চিরতরে অকেজো হয়ে যায়?
উত্তর : ডান হাতটি।
পেহ্লাদের বাড়িতে এক সন্ধ্যায় ভিখু কী কাণ্ড ঘটায়?
উত্তর : পেহ্লাদের বউয়ের হাত চেপে ধরে।
পেহ্লাদের বউ কোন জাতের মেয়ে?
উত্তর : বাগ্দীর মেয়ে।
ভিখুকে লাঠি পেটা করে কে কে?
উত্তর : পেহ্লাদ এবং ভরত।
পেহ্লাদ ভিখুর জন্য কত টাকা খরচ করেছে বলে জানায়?
উত্তর : সাত টাকা।
পেহ্লাদ ভিখুর কোন জিনিস চুরি করেছে বলে ভিখু মন্তব্য করে?
উত্তর : কোমরের বাজু।
দুপুর রাতে কার ঘরে জ্বলে উঠে?
উত্তর : পেহ্লাদের।
পেহ্লাদের ঘরে কে আগুন দেয় বলে অনুমান করা হয়?
উত্তর : ভিখু।
ভিখুর অসভ্যজীবনের ১ম পর্যায় কী ছিল?
উত্তর : ডাকাতি।
ভিখুর অসভ্যজীবনের ২য় পর্যায় কী ছিল?
উত্তর : ভিক্ষাবৃত্তি।
কোন গ্রামের পাশে নদী ছিল?
উত্তর : চিতলপুর।
পেহ্লাদের বাড়ি থেকে আসতে গিয়ে নদীতে ভিখু কী চুরি করে?
উত্তর : জেলেডিঙি।
পেহ্লাদের বাড়ি থেকে কত মাইলের মধ্যে মুখ দেখানো ভিখুর জন্য বিপদ ছিল?
উত্তর : বিশ মাইলের মধ্যে।
ভিখু মহকুমা শহরে পৌঁছে কার কাছে ভিক্ষা চায়?
উত্তর : এক ভদ্রলোকের কাছে?

ভদ্রলোক তাকে কত পয়সা প্রদান করে?
উত্তর : এক পয়সা।
ভিখু কত পয়সা সাহায্য চেয়েছিল?
উত্তর : দুপয়সা।
এক পয়সা দিয়ে ভিখু কী ক্রয় করে? |
উত্তর : এক পয়সা দিয়ে ভিখু মুড়ি ক্রয় করে।
পৃথিবীর বহু প্রাচীনতম ব্যবসার মধ্যে কোনটি উল্লেখযোগ্য?
উত্তর : ভিক্ষাবৃত্তি।
ভিখু কোথায় বসে ভিক্ষা করে?
উত্তর : বাজারের কাছে রাস্তার ধারে তেঁতুল গাছের নিচে বসে।
ভিখু কোন সময় ভিক্ষা করে?
উত্তর : সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
ভিখু কী কী রান্না করে?
উত্তর : ভাত, ছোট মাছ ।
ভিখু কী বলে ভিক্ষা করে?
উত্তর : ‘হেই বাবা একটা পয়সা।’
কোন শ্লোকটি ভিখুর কাছে মিথ্যা বলে মনে হয়
উত্তর : ‘ভিক্ষায়াং নৈব নৈব
ভিখুর সামনে দিয়ে আনুমানিক প্রতিদিন কতজন লোক যাতায়াত করে?
উত্তর : হাজার-দেড় হাজার।
কতজনে তাকে পয়সা বা আধলা দেয়?
উত্তর : প্রতি পঞ্চাশজনে একজন।
সারাদিনে ভিখুর রোজগার হয় কত?
উত্তর : পাঁচ-ছ আনা ।
কিন্তু ভিখুর সাধারণ উপার্জন কত?
উত্তর : আট আনা।
ভিখু যে স্থানে ভিক্ষা করে সেখানে সপ্তাহে কতদিন হাট বসে?
উত্তর : দুদিন।
হাটবারের দিন ভিক্ষু কত টাকা ভিক্ষা পায়?
উত্তর : পুরা এক টাকা ।
উত্তর : বিনু মাঝির ।
বিনু মাঝির বাড়ি কত টাকায় সে ভাড়া নেয়?
উত্তর : মাসিক আট আনায়।
ভিখু কিভাবে তার পূর্বের স্বাস্থ্য ফিরে পায়?
উত্তর : ভিক্ষা করে সুেেখ থেকে এবং পেট ভরে খেয়ে।
ভিখুর কখন ক্রোধের সীমা থাকে না?
উত্তর : কেউ ভিক্ষা না দিলে
ভিখু কার বাড়ি ভাড়া নেয়?
ভিখু দোকানিকে মারতে উদ্যত হয় কেন?
উত্তর : এক পয়সার জিনিস কিনে কিছু ফাউ না দিলে ।
রাতে স্বরচিত বিছানায় কে ছটফট করে?
উত্তর : রাতে স্বরচিত বিছানায় ভিখু ছটফট করে।
কে বাসির ঘরে গিয়ে উন্মত্ত জীব যাপন করতো?
উত্তর : ভিখু।
ভিখু জীবনে কতবার জেল খেটেছে?
উত্তর : একবার।
ভিখু কত সময় জেল খেটেছে?
উত্তর : দুবছর।
বাজারে ঢোকার পথে ভিখু ছাড়া আর কে ভিক্ষা করে?
উত্তর : পাঁচী।
ভিখু কার সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করে?
উত্তর : পাঁচীর সাথে।
পাঁচীর শরীরে কী সমস্যা ছিল?
উত্তর :হাঁটুর নিচ থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত ঘা।
ভিখু এবং পাঁচীর মধ্যে কে বেশি রোজগার করে?
উত্তর : পাঁচী ।
ভিখু কাকে বিয়ের প্রস্তাব করে?
উত্তর :পাঁচীকে।
বিনু মাঝি কলা বিক্রির পয়সায় বৌকে কী কিনে দেয়?
উত্তর : রুপার গোট।
ভিখু পাঁচীকে কী খেতে দেয়?
উত্তর : কলা।
পাঁচীর সাথে কার বিয়ে হয়?
উত্তর : বসিরের।
ভিথুকে কে মেরে ফেলার হুমকি দেয়?
উত্তর : বসির।
বসিরকে মেরে ফেলার জন্যে ভিখু কী অস্ত্র ব্যবহার করে?
উত্তর : লোহার শিক চোখা করে।
বসির-পাঁচীর আস্তানা/কুঁড়ে ঘর কোথায়?
উত্তর : শহরের বাইরে বস্তিতে।
ভিখু বসিরকে কীভাবে হত্যা করে?
উত্তর : মাথার তালুর মধ্যে লোহার চোখা শিক ঢুকিয়ে
বসিরের সঞ্চয় কত ছিল?
উত্তর : টাকা এবং আধুলিতে একশত টাকার উপরে।
ভিখু বসিরকে যে-রাতে হত্যা করে সে রাতে আকাশে কোন সময়ের চাঁদ উঠেছিল?
উত্তর : নওমীর (নবমীর) চাঁদ ।
ভিখু পাঁচীকে কীভাবে নিয়ে যায়?
উত্তর : পিঠে চাঁপিয়ে।
ভিখু এবং পাঁচীকে মূলত কোনযুগের দিকে যাত্রা করে?
উত্তর : প্রাগৈতিহাসিক যুগের দিকে।প্রাগৈতিহাসিক কী?
উত্তর : (প্রাক্ + ইতিহাস + ষ্ণিক)- যা ইতিহাসের পূর্বেকার। মানুষ যে পর্যন্ত ইতিহাস জানতে পেরেছে তার পূর্বেকার ঘটনাকে
প্রাগৈতিহাসিক বলা হয়।
সাঙ্গাৎ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : বন্ধু; মিতা; সহচর।
ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ” এর অর্থ কী?
উত্তর : ভিক্ষার দ্বারা কিছুই হয় না।

খ-বিভাগ

প্রশ্ন।১।গল্পকার মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।
প্রশ্ন।২।প্রাগৈতিহাসিক’ গল্প সম্পর্কে তোমার মতামত দাও ।
প্রশ্ন।৩। বসন্তপুরে বৈকুণ্ঠ সাহার গদিতে ভিখুর ডাকাতির দৃশ্য আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৪॥ কাঁধে বর্শার আঘাতের পরেও ভিখু কীভাবে বেঁচে ছিল তার বর্ণনা দাও।
প্রশ্ন॥৫॥ “মরিবে না। সে কিছুতেই মরিবে না। বনের পশু যে অবস্থায় বাঁচে না সেই অবস্থায়, মানুষ সে বাঁচিবেই।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷৬৷ “সেই রাত্রি হইতে ভিখুর আদিম, অসভ্য জীবনের দ্বিতীয় পর্যায় আরম্ভ হইল।”- উক্তিটি দ্বারা গল্পকার কী বুঝিয়েছেন?
প্রশ্ন॥৭॥ ভিখুর ভিক্ষা করার দৃশ্যের বর্ণনা উপস্থাপন কর।
প্রশ্ন॥৮॥ “ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৯॥ ভিখুর অতীত জীবনের বর্ণনা দাও।
প্রশ্ন।১০৷ ভিখু কীভাবে পাঁচীকে বিয়ের প্রলোভন দেখায় তার পরিচয় দাও।
প্রশ্ন॥১১।পাঁচী কেন তার শরীরের ঘা সারতে রাজি হয়নি?
প্রশ্ন।১২।ভিখু কেন এবং কীভাবে বসিরকে হত্যা করে?
প্রশ্ন।১৩। বসিরকে হত্যা করার পর পাঁচীকে নিয়ে ভিখু কীভাবে রওনা করে তার বর্ণনা দাও।
প্রশ্ন।১৪৷ প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পের তাৎপর্য কী?
প্রশ্ন॥১৫।“মরিবে না, সে কিছুতেই মরিবে না। বনের পশু যে অবস্থায় বাঁচে না, সেই অবস্থায়, মানুষ সে বাঁচিবেই।”- উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন॥১৬।“কয়েকদিনের ভিতরেই সে পৃথিবীর বহু পুরাতন ব্যবসাটির এই প্রকাশ্যতম বিভাগের আইনকানুন সব শিখিয়া ফেলিল।”— এ বাক্যে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
প্রশ্ন॥১৭॥ “দু’দিন বাদে মোরে যখন তুই খেদাইয়া দিবি, ঘা’টি মুই তখন পামু কোয়ানে?”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১৮।আগে আইবার পারো নাই? যা, অখন মর গিয়া, আখার তলের ছালি খা গিয়া।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১৯৷ “ইদিকে ঘুরাফিরা কি জন্য? সেলাম মিয়া হতিছে। লাঠির এক ঘায়ে শিরটি ছেঁচ্যা দিমু নে।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥২০॥ “অবরুদ্ধ শক্তির উত্তেজনায় ক্রমে ক্রমে তাহার মেজাজ উদ্ধত ও অসহিষ্ণু হইয়া পড়িল।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।২১। “মেয়েরা ভয় পাইলে সে খুশী হয় এবং সরিয়া যাইতে বলিলে সে নড়ে না, দাঁত বাহির করিয়া দুর্বিনীত হাসি হাসে।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।২২।দেখছস? কেডা কারে খুন করল দেখছস? তখন পই পই কইরা কইলাম, মিয়াবাই ঘোড়া ডিঙ্গাইয়া ঘাস খাইবার লারবা গো, ছাড়ান দেও।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥২৩॥ “ঠ্যারাইন বোবা ক্যান গো? আরে কথা ক’ হাড় হাবাইতা মাইয়া। তোরে দিমু নাকি সাবাড় কইরা- অ্যা।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷ ২৪॥ “নারীসঙ্গহীন এই নিরুৎসব জীবন আর তার ভালো লাগে না।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন ২৫॥ “সংসারের অসংখ্য ভীরু ও দুর্বল নরনারীর মধ্যে এত বড় বুকের পাটা আর এমন একটা জোরালো শরীর নিয়া শুধু একটা হাতের অভাবে সে যে মরিয়া আছে। এমন কপালও মানুষের হয়?”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷২৬৷ “রাত্রির অন্ধকারে সে কোথায় গেল কেহই জানিতে পারিল না বটে, কিন্তু দুপুর রাতে পেহ্লাদের ঘর জ্বলিয়া উঠিয়া বাগদীপাড়ায় বিষম হৈ চৈ বাঁধাইয়া দিল।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷২৭॥ “কী জীবন তাহার ছিল, এখন কি হইয়াছে।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷২৮৷ “এমনি তাহারা পরিচয়হীন যে এতকাল পরস্পরের নাম জিজ্ঞাসা পর্যন্ত তাহারা করে নাই।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।২৯৷ “নদীর ধারে খ্যাপার মত ঘুরিতে ঘুরিতে তাহার মনে হয় পৃথিবীর যত খাদ্য ও যত নারী আছে একা সব দখল করিতে না পারিলে তাহার তৃপ্তি হইবে না।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷৩০৷ “মানুষ খুন করিতে যাহার ভালো লাগিত সে আজ ভিক্ষা না দিয়া চলিয়া গেলে পথচারীকে একটু টিকারি দেওয়ার মধ্যে মনের জ্বালা নিঃশেষ করে।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্না৩১॥ “অতীতের উদ্দাম ঘটনাবহুল জীবনটির জন্য তাহার মন হাহাকার করে।”- বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন॥৩২॥ “অমাবস্যার অন্ধকারে আকাশ ভরা তারা তখন ঝিকমিক করিতেছে। ঈশ্বরের পৃথিবীতে শান্ত স্তব্ধতা।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৩৩॥ “পৃথিবীর আলো আজ পর্যন্ত তাহার নাগাল পায় নাই, কোনদিন পাইবেও না।”— বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন॥৩৪॥ “পথের দু’দিকে ধানের ক্ষেত আবছা আলোয় নিঃসাড়ে পড়িয়া আছে। দূরে গ্রামে গাছপালার পিছন হইতে নবমীর চাঁদ আকাশে উঠিয়া আসিয়াছে। ঈশ্বরের পৃথিবীতে শান্ত স্তব্ধতা।”— ব্যাখ্যা কর।

গ-বিভাগ

প্রশ্ন॥১॥ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পের মূলবক্তব্য তোমার নিজের ভাষায় লিখ।
প্রশ্ন॥২॥ জৈবিক প্রবৃত্তির আদিমতা ও মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পে যেবে উন্মোচিত হয়েছে তা গল্পটির নামের তাৎপর্য প্রশ্নসূত্রে আলোচনা কর।
প্রশ্ন।৩। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার কর।
প্রশ্ন॥৪॥ ভিখু প্রবলভাবে সংগ্রামশীল ও অস্তিত্ববাদী’ ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পের ভিখু চরিত্র আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৫॥ ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পে আদিম জৈব রূপায়ণের মাধ্যমে জীবনসত্যের যে পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে তা আলোচনা কর।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*