পারাপারের ঢেউ দোলানী হানছে বুকে ঘা আমি খুঁজি ভিড়ের মাঝে চেনা কমল পা।” কবি কেন এভাবে তাঁর প্রিয়াকে খোঁজ করেন?

উত্তর : আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটুকু কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত ‘ছায়ানট’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘চৈতী হাওয়া’ শীর্ষক কবিতায় তাঁর হারানো প্রিয়ার সন্ধানের বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। কবিপ্রিয়া অনন্তকালে হারিয়ে গেছে, কবি আজ তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না। কবির সাথে তাঁর প্রিয়ার অনন্তকালের ব্যবধান। কবি হারিয়ে যাওয়া প্রিয়াকে খুঁজছেন। কোন এক চৈতালি দিনে কবি তাঁর প্রিয়ার দর্শন পেয়েছিলেন। কবির হৃদয়ের মণিকোঠায় সে জায়গা করে নিয়েছিল, কবিকে মাতাল করে দিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন তার প্রিয়া হারিয়ে গেল। কবির জীবনে যে পদ্ম হয়ে প্রস্ফুটিত হয়েছিল, কিন্তু আজ সে আর নেই। হীরামানিক বোঝাই নৌকার প্রত্যহ ঘাটে আগমন ঘটে, কবি হাজার মানুষের ভিড়ে তার প্রিয়ার চেনা পা খুঁজছেন। তাঁর প্রিয়ার সান্নিধ্য লাভের জন্য তিনি সদাব্যাকুল এবং সাক্ষাতের প্রত্যাশায় সে খেয়া ঘাটে তিনি বসে থাকেন। জীবনের কোলাহলে শত মানুষের চলাচলে শতকণ্ঠে সুর ভাসে। যে প্রিয়তমা কবি হৃদয়ের পদ্মাসনে বসে আছে, যাকে হারাবার শক্তি তাঁর নেই, সেই প্রেয়সীর সন্ধান কবির মেলে না। যে চৈতালি দিনে কবি তাঁর প্রেয়সীর সন্ধান পেয়েছিলেন, সেই চৈতালি দিন বারবার ফিরে আসে। কিন্তু কবির প্রেয়সীর সন্ধান মেলে না। আবহমান কাল কবি তাঁর প্রেয়সীর সন্ধান করে ফিরছেন। উপর্যুক্ত আলোচনায় দেখা যায় যে, প্রিয়ার সান্নিধ্য লাভ কবির প্রেমকাতর হৃদয়কে আন্দোলিত করেছে।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!