পরিসংখ্যানের গুরুত্ব আলোচনা কর ।

অথবা, সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান এত গুরুত্বপূর্ণ কেন আলোচনা কর।55
অথবা, সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।
অথবা, সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
উত্তর ভূমিকা :
মানবসভ্যতার শুরু থেকে পরিসংখ্যানের ব্যবহার লক্ষ করা গেলেও এর পরিভাষাগত নামকরণ হয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে। ১৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে শব্দটি ব্যবহার করেন Gottfried Achen Wall. বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতার সাথে পার্থক্য নির্ণয়ের জন্য এ বিষয়টির আবির্ভাব। পরিসংখ্যান হলো এমন একটি পদ্ধতি যা প্রয়োগ করে পরম্পর সম্পর্কযুক্ত সংখ্যাভিত্তিক বিবরণসমূহের বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা সম্ভব হয় । পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা : মানুষের ব্যক্তিগত জীবন হতে শুরু করে জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থাৎ বর্তমানে এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে না। পরিসংখ্যান মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রমের সাথে অবিচ্ছেদ্য সূত্রে জড়িত হয়ে পড়েছে। মানুষ মাত্রই আজ সংবাদপত্র, সাময়িকী, বেতার ও টেলিভিশন ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পরিসংখ্যান তথ্যের সম্মুখীন হয়। ব্যক্তি বিশেষকে আজ এসব পরিসংখ্যানিক তথ্যের মধ্য হতে প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলোর তাৎপর্য অনুধাবন ও মূল্য বিচার করার সামর্থ অর্জন করতে হয়। আধুনিক বিশ্বে পরিসংখ্যান বহুল প্রয়োগকৃত বিষয় (Subject)। এটা ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ, রসায়নবিদ, কৃষিবিদ, জীববিজ্ঞানী, চিকিৎসক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের বিশেষ সাহায্যকারী বিষয় হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। নিমে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব ও ব্যবহার আলোচনা করা হলো :
১. মানব কল্যাণে পরিসংখ্যান : মানুষের ব্যক্তিগত থেকে জাতীয় জীবনে অর্থাৎ মানব কল্যাণে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম । বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক অর্থাৎ দরিদ্রতা, বেকারত্ব, অপরাধ প্রবণতা, অশিক্ষা, ভূমিকম্প, বন্যা, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি এবং ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে পরিসংখ্যানের ব্যবহার বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
২. পূর্বাভাস প্রদানে পরিসংখ্যান : কোন বিষয় সম্পর্কে অতীতের সংখ্যাত্মক তথ্যাবলি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পূর্বাভাস প্রদান করা যায়। যেমন বাংলাদেশে সময়ের পরিবর্তনের সাথে জনসংখ্যা, নগরায়ণ এবং শিল্পকারখানা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সে একই গতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এমতাবস্থায় ২০১০ সালে কি পরিমাণ বিদ্যুৎ এর দরকার পড়বে তার আনুমানিক ধারণা অর্থাৎ সম্ভাবনা তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে পরিসংখ্যান পদ্ধতি ব্যবহার করে বিগত বছরগুলোর বিদ্যুতের চাহিদা বিশ্লেষণ করে ২০১০ সালের চাহিদার পরিমাণ নির্ধারণ এবং সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। তাহলে দেশ বিদ্যুৎ ঘাটতির কবলে পড়বে না, যা কালীন সারি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায় । এজন্য কোন বিষয়ের ভবিষ্যৎ ফলাফলের সম্ভাব্য ধারণার জন্য পরিসংখ্যান পদ্ধতির উপর নির্ভর করতে হয়।
৩. প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারণ : নীতি প্রণয়ন ও সুষ্ঠু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম । নীতি প্রণয়ন সুষ্ঠু ও কার্যকরী হতে হলে আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট আকারে অতীতের পর্যাপ্ত তথ্য ও ধারণা থাকা দরকার। পরিসংখ্যানের মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানের অতীত তথ্যাবলি বিশ্লেষণ করে নীতি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব। যেমন- বাংলাদেশ বিমান বিগত বছরগুলোতে শুধু ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে; অর্থাৎ আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেনি এবং জনবলের কাঠামো অনেক বেশি ও অদক্ষ। এ কারণে বাংলাদেশ সরকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাই এবং প্রশাসনে গতিশীলতা আনার জন্য বেসরকারি খাতে বাংলাদেশ বিমানকে ছেড়ে দেয়ার মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পেরেছে।
৪. রাষ্ট্রীয় কাজে পরিসংখ্যান : রাষ্ট্রীয় কাজের সূত্র ধরেই পরিসংখ্যানের উৎপত্তি। রাষ্ট্রকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং সরকারি প্রশাসনের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান অপরিহার্য। রাষ্ট্রের কার্য পরিকল্পনা, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য দূরীকরণ, উৎপাদন নীতি, কর ধার্য ও আদায়, বাজেট প্রণয়ন, জাতীয় পে-স্কেল প্রণয়ন, জাতীয় আয় নিরূপণ, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামরিক নীতি ইত্যাদি সকল বিষয়ে পরিসংখ্যান গুরুত্বের সাথে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

  1. অর্থনীতিতে পরিসংখ্যান : অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের কাজে পরিসংখ্যান একটি মূল্যবান হাতিয়ার। অর্থনীতির সাথে পরিসংখ্যানের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এখানে পরিসংখ্যান প্রয়োগের ফলে গাণিতিক অর্থনীতির একটি জটিল বিষয় পরিপূর্ণরূপ লাভ করেছে, যা হলো ইকোনোমেট্রিক (Econometrics)। পরিসংখ্যান পদ্ধতিগুলোর সাহায্যে প্রতিটি অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য বা বিষয়গুলোকে উত্তমরূপে বিশ্লেষণ করা যায়। অর্থাৎ উৎপাদন নীতি, বাজার দর নিয়ন্ত্রণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, প্রকৃত আয় নির্ণয় ইত্যাদি সবই পরিসংখ্যান পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে করা হয় ।
    ৬. ব্যবসায় বাণিজ্যে পরিসংখ্যান ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান অপরিহার্য। প্রতিটি আধুনিক ব্যবসায়ীকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পরিসংখ্যানের ব্যাপক ব্যবহার করতে হয়। পরিসংখ্যান ব্যবসায় ক্ষেত্রের বিশেষ ঝুঁকিগুলো নির্দেশ করে আগাম পূর্বাভাস “দানের মাধ্যমে ব্যবসায়ীকে সতর্ক করে তোলে। পরিসংখ্যান ফটকা কারবারি, দায় গ্রাহক, শেয়ার দালাল, অর্থ বিনিয়োগকারী ও ব্যবসাদারদের নিকট ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান পথ প্রদর্শক।
    ৭. বিমা ব্যবসায় পরিসংখ্যান : বিমা ব্যবসায়ের সমগ্র কাঠামোটিই সংখ্যাবহুলতা বিধির (Law of large number) ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। মৃত্যু সারণি প্রণয়ন ব্যতীত জীবন বিমা ব্যবহার পরিচালনা করা সম্ভব হতো না। মৃত্যুকালীন বয়সের পরিসংখ্যান বিবরণী এবং মৃত্যুর হারের ভিত্তিতে এরূপ মৃত্যু সারণি প্রণয়ন করা হয়। মৃত্যু সারণি অবলম্বনে মানুষের সম্ভাব্য জীবনকালের অনুমান করা হয় এবং সে অনুসারে বিমার জন্য প্রদেয় কিস্তির টাকা প্রিমিয়াম নির্ণয় করা
    হয়। অগ্নি, দুর্ঘটনা, বেকারত্ব, অসুস্থতা ইত্যাদি অন্যান্য প্রকারের বিমাও এই ধরনের ঘটনাবলির সম্ভাব্য সংঘটনের প্রাক্কলনের উপর নির্ভরশীল। অতীত রেকর্ডপত্রের উপর ভিত্তি করে এ ধরনের ঘটনার প্রাক্কলন করা হয়।
    ৮. সামাজিক গবেষণায় পরিসংখ্যান : সমাজ সমীক্ষার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান অপরিহার্য। বহু জটিল ঘটনা সমাজ সমীক্ষার সাথে জড়িত থাকে এবং অসংখ্য প্রাসঙ্গিক ও অপ্রাসঙ্গিক কারণে এগুলো প্রভাবিত হয়। এরূপ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ পরীক্ষাধীনে আনা যায় না বলে পরিসংখ্যান পদ্ধতিগুলোর সাহায্যে ব্যাপক প্রয়োগের মাধ্যমে গবেষণা করে কারণগুলো নির্ণয় এবং করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।
    ৯. চিকিৎসাবিজ্ঞানে পরিসংখ্যান : বিভিন্ন ওষুধের কার্যকারিতা পরিমাপ, রোগ নির্ণয়ে যে সমস্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তার নির্ভুলতার মাত্রা নির্ণয় এবং যে সমস্ত কারণে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে অর্থাৎ রোগ হওয়ার কারণগুলো পরিসংখ্যানিক উপাত্তের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়। যেমন- কোন কোম্পানির উচ্চ রক্তচাপজনিত ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপ কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করে, এক্স-রে মেশিন দ্বারা প্রাপ্ত ফলাফল কতটুকু গ্রহণযোগ্য, রক্তে গুকোজের মাত্রা কতটুকুর মধ্যে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা হয় এবং হার্ট এটাক হওয়ার কারণসমূহ ইত্যাদি। বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানে পরিসংখ্যানের ব্যাপকতা এতটাই বেড়েছে যে প্রাণ পরিসংখ্যান (Bio-statistics) বিজ্ঞানের একটি শাখায় পরিণত হয়েছে।
    ১০. জনমিতিতে পরিসংখ্যান : মানুষের জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ এবং বহিঃগমন ও গমন ইত্যাদির সংখ্যাত্মক উপাত্ত বিশ্লেষণে পরিসংখ্যান পদ্ধতিসমূহকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। এ কারণে মানুষের জীবন সম্পর্কিত ঘটনাবলির (Vital events) পরিসংখ্যান বিজ্ঞানকে জনমিতি বলা হয় ।
    ১১. রাষ্ট্রীয় আইন সংস্কারে পরিসংখ্যান : সময়ের পরিবর্তনে কোন দেশের মানুষের জ্ঞানের পরিধি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় । জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সমাজে নানারূপ প্রতিক্রিয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং কৌশল পরিবর্তিত হয়। আবার রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনায় পুরাতন আইনের সংস্কার এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করতে হয়। যেমন- আমাদের দেশে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ, নির্বাচন কমিশনে স্বায়ত্তশাসন, জন নিরাপত্তা আইন এবং দ্রুত বিচার আইন, সন্ত্রাস দমনে র‍্যাব (RAB) গঠন ইত্যাদিতে পরিসংখ্যানের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করেই প্রণয়ন করা হয়েছে।
    ১২. আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানে পরিসংখ্যান : দৈনন্দিন আবহাওয়া পূর্বাভাসে আবহাওয়া দপ্তরকে পূর্ববর্তী সময়ের আবহাওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করতে হয়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস নৌ ও বিমান চলাচলে সহায়তা করে। কোন এলাকার আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস কৃষিকার্য পরিচালনার পক্ষে সুবিধাজনক হয়। উপযুক্ত শ্রেণির ফসল নির্বাচন, বীজবপন ও ফসল সংগ্রহের সঠিক সময় নির্ণয়ের জন্য কৃষিজীবীদের বৃষ্টিপাতের সম্ভাব্য পরিমাণ এবং আবহাওয়ার গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা প্রণয়নে পরিসংখ্যান গুরুত্বের সাথে ব্যবহার করা হয়।
    ১৩. দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং জনশক্তি রপ্তানিতে পরিসংখ্যান : কোন দেশের কি পরিমাণ দক্ষ জনশক্তি ভবিষ্যতে প্রয়োজন তা নির্ধারণে পরিসংখ্যান পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। সে মোতাবেক প্রকল্প প্রণয়নের মাধ্যমে খুব সহজেই দক্ষ জনশক্তির অভাব দূর করা সম্ভব হতে পারে। আবার কম জনবহুল দেশে বা শিল্প উন্নত দেশে দক্ষ জনশক্তির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যদি জানা যায়, কোন কোন বিভাগে দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন সে মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরিকরণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তির বাজার তৈরিতেও পরিসংখ্যান সহায়তা করতে পারে ।
    ১৪. অতীত তথ্যাবলি সংরক্ষণে পরিসংখ্যান : রাষ্ট্রের কোন সমস্যা সম্পর্কিত পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্যকে সিদ্ধান্তের ভিত্তিস্বরূপ গ্রহণ না করে রাষ্ট্রের কোন পদাধিকারী ব্যক্তি উক্ত সমস্যা সম্পর্কে সুষ্ঠু উপদেশ প্রদান করতে পারে না । বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন ছাড়া কোন আধুনিক রাষ্ট্রই দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে না। পরিসংখ্যানের রেকর্ডপত্র ও পদ্ধতিগুলোর ব্যবহার ব্যতীত রাষ্ট্রের আয়ব্যয়ের হিসাব (Budget) প্রণয়ন অসম্ভব। এজন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন পরিসংখ্যান, উপাত্ত সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করতে হয়। এ কারণে পারসংখ্যানকে অতীতের তথ্যসমূহের সংরক্ষক বলা হয় ।
    ১৫. বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায় পরিসংখ্যান : পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, ভূতত্ত্ব, জীববিজ্ঞান, উদ্ভিদবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা প্রভৃতি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যথাসাধ্য যত্ন ও সতর্কতা সত্ত্বেও কোন অবস্থাতেই পরিমাপ গাণিতিক বিবেচনায় শতভাগ নির্ভুল (Full accurate) হয় না। এসব ক্ষেত্রে একমাত্র বিকল্প পন্থা হলো কতকগুলো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান বিধি অনুসরণ করে সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিমাপ নিরূপণ করা। এভাবে পরিসংখ্যান পদ্ধতিগুলো সাধারণীকরণে পৌঁছাতে এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তত্ত্ব ও প্রকল্পের সিদ্ধান্ত পরীক্ষায় সহায়তা করে ।
    উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে একথা বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান পদ্ধতি একটি অপরিহার্য বিষয় । তথ্য প্রদান ও তথ্য বিশ্লেষণপূর্বক সঠিক ফলাফল প্রদানের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান পদ্ধতির বিকল্প নেই ।
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*