নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
অথবা, নেতৃত্ব দানের ভূমিকাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : যোগ্য নেতৃত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাণবন্ত ও সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই। জাতীয় অগ্রগতির জন্যও চাই সুযোগ্য নেতৃত্ব। যেসব কারণে নেতৃত্ব অত্যাবশ্যকীয় সেগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :
১. লক্ষ্য অর্জনে নীতিনির্ধারণ : নীতি নির্ধারণের মাধ্যমেই কোন গোষ্ঠী তার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। আর নেতা দেশ ও জনগণের স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে সুষ্ঠু নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে সচেষ্ট হন।কাজেই সুষ্ঠু নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের জন্য নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
২. দায়িত্ব নির্ধারণ ও বণ্টন : লক্ষ্য অর্জনের জন্য নীতিনির্ধারণ করে বিভিন্ন পর্যায়ে কে কি দায়িত্ব পালন করবে তা নেতারাই বণ্টন করে থাকেন । অর্থাৎ দায়িত্ব নির্ধারণ ও তা সুষ্ঠুভাবে বন্টনের জন্য নেতৃত্বের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
৩. কাজের সমন্বয় সাধন : নেতৃত্ব গোষ্ঠীর ক্রিয়াকলাপের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকে। গোষ্ঠীর লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে না পারলেও গোষ্ঠীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যাতে বাস্তবে পরিণত হয় সে দায়িত্ব অবশ্য নেতাকেই পালন করতে হয়। তাই এক্ষেত্রেও নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
৪. অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ : অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। গোষ্ঠীর সকল খুঁটিনাটি বিষয়ের প্রতি নেতাকেই দৃষ্টি রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
৫. কাজের জবাবদিহিতা : কাজের জবাবদিহিতা অর্জনের জন্য নেতৃত্ব অপরিহার্য। যেমন- গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় দেখা যায় যে, জনগণ সকল ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার কারণে সরকারকে তার ভালোমন্দ সকল কাজের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। অর্থাৎ।নেতাদেরকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। ফলে ইচ্ছা করলেই তারা যে
কোন কাজ করতে পারে না।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, একটি জাতির সার্বিক উন্নয়নের জন্য নেতৃত্বের অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য। জাতীয় ঐক্য ও জাতীয় সংহতি সংরক্ষণে যোগ্য নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই।