নেতৃত্বের কার্যাবলিসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর।

অথবা, একজন নেতার কী কী কাজ সম্পাদন করতে হয় তা সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
একটি জাতির সুষ্ঠু বিকাশের জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু নেতৃত্ব। যোগ্য নেতৃত্ব যেমন একটি জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিতে পারে ঠিক তেমনি যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে একটি জাতি ধ্বংসের অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে পারে। মালেশিয়ার দিকে তাকালে দেখা যায় যে, সেখানকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ তাঁর দীর্ঘ বাইশ বছরের শাসনামলে তিনি বিপর্যস্ত মালেশিয়াকে বিশ্বের বুকে একটি ধনী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। একই কথা উল্লেখ করা যায় চীনের মাও সেতুং এর ক্ষেত্রেও।
নেতৃত্বের কার্যাবলি : নেতৃত্বের কার্যাবলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. নীতি নির্ধারণ : নীতি নির্ধারণের মাধ্যমেই কোন গোষ্ঠী তার অভীষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারে। আর নেতার দায়িত্ব হলো দেশ ও জনগণের স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে সুষ্ঠু নীতি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হওয়া। অর্থাৎ নীতিনির্ধারণ নেতৃত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
২. সমন্বয় সাধন : গোষ্ঠীর ক্রিয়াকলাপের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা নেতৃত্বের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। গোষ্ঠীর লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে না পারলেও গোষ্ঠীর লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য যাতে বাস্তবে রূপায়িত হয় তার দায়িত্ব অবশ্যই নেতাকে গ্রহণ করতে হয়।
৩. পরিকল্পনা প্রণয়ন : গোষ্ঠীর লক্ষ্য ও কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং তার সঠিক বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন। অনেক সময় এ পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব নেতাকেই গ্রহণ করতে হয়। গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যরা হয়তো এর কিছু কিছু অংশ সম্পর্কে জ্ঞাত থাকে, আবার পুরোপুরি কল্পনা সম্পর্কে তারা কিছু নাও জানতে পারে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নেতৃত্ব হলো এক ধরনের সামাজিক গুণ। সুষ্ঠু নেতৃত্ব ছাড়া কোন গোষ্ঠী, সমাজ বা রাষ্ট্রই উন্নতি চরম শিখরে পৌছাতে পারে না। তাই দেশ ও জনগণের কল্যাণের কথা ভেবেই নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে। জাতীয় ঐক্য ও জাতীয় সংহতি সংরক্ষণে যোগ্য নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই ।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!