নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের গুরুত্ব কী?

অথবা, সংক্ষেপে নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের গুরুত্ব বর্ণনা কর।
অথবা, নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখ।
অথবা, নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের তাৎপর্য সংক্ষেপে তুলে ধর।
অথবা, নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা :
সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মধ্যে ‘নারী ও রাজনীতি’ আর একটি পৃথক শাখা, যার প্রধান আলোচ্যবিষয় নারী ও পুরুষ। তাই সামাজিক বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সাথে নারী ও রাজনীতির গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। নারী ও রাজনীতি জ্ঞানের অন্যান্য শাখার সাথে সম্পৃক্ত হলেও সকল শাখায় নারী বিষয়ক আলোচনার উল্লেখ নেই। মানবজাতির অর্ধাংশ নারীকে সামাজিক স্বীকৃতি প্রদান করার জন্য নারী ও রাজনীতির আবশ্যকতা অপরিহার্য। আর এ জন্যই নারী ও রাজনীতি অধ্যয়ন করা প্রয়োজন।
নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের গুরুত্ব : একটি যুগোপযোগী বিষয় হিসেবে নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের গুরুত্ব নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. নতুন দৃষ্টিভঙ্গির বিনির্মাণ : নারী ও রাজনীতি অধ্যয়ন সমাজে বিদ্যমান নারী সম্পর্কিত গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটায়। নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাবে আমাদের সমাজে নারীরা বিভিন্ন শোষণ, বঞ্চনা ও প্ররোচনার শিকার হয়। তাই নারী সম্পর্কিত গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে উন্নত ও ইতিবাচক মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার জন্য নারী ও রাজনীতি অধ্যয়ন বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
২. নারী ও রাষ্ট্র সম্পর্ক : একজন মানুষ হিসেবে রাষ্ট্রের সাথে নারীর সম্পর্ক কি হবে, নারীকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কিভাবে সম্পৃক্ত করা হবে রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় নারী ইস্যুগুলো কতটুকু প্রাধান্য পাবে বা পাচ্ছে তা জানার জন্য নারী ও রাজনীতি অধ্যয়ন জরুরি।
৩. নারী ক্ষমতায়ন : নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের ক্ষেত্রে নারী ক্ষমতায়ন বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ক্ষমতায়ন এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে নারী নিজের জীবনকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের মাধ্যমে আমরা এ সম্পর্কে জানতে পারি।
৪. জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠা : পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় সর্বত্রই জেন্ডার বৈষম্য বিদ্যমান। আমাদের সমাজে নারীদের দুর্বল মনে করা হয় এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং কর্মকাণ্ডে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। ফলে একদিকে দেশ বঞ্চিত হয় অন্যদিকে নারী ও পুরুষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। তাই নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের মাধ্যমে আমরা জেন্ডার বৈষম্য রোধ করতে পারব এবং ভারসাম্যমূলক সমাজ কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হবে।
৫. অর্থনীতিতে নারীর অবদান : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর অবদান উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে। এছাড়া কৃষিক্ষেত্রে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে, পারিবারিক ক্ষেত্রে তথা সকল ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক অবদান সম্পর্কে জানা যায়।
৬. সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠায় : সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নারী ও রাজনীতি অধ্যয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে নারী- পুরুষের জেন্ডার বৈষম্য রোধ করে একটি সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নারী ও রাজনীতি অধ্যয়ন জরুরি।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, একটি উন্নত ও সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করে এবং নারীর প্রতি নেতিবাচক ধারণা পরিবর্তন করার জন্য নারী ও রাজনীতির অধ্যয়ন
অত্যন্ত আবশ্যক।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%93-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%90%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%93/
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*