নব্য সুফিবাদে আলোচিত সুফি তত্ত্বসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর।

অথবা, নব্য সুফিবাদে অনুশীলিত সুফি তত্ত্বসমূহ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
অথবা, নব্য সুফিবাদে কোন কোন সুফিতত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে? আলোচনা কর।
অথবা, নব্য সুফিতত্ত্ব সম্পর্কে যা জান লেখ।
অথবা, নব্য সুফিবাদে আলোচিত তত্ত্বসমূহ পর্যালোচনা কর।
উত্তর।৷ ভূমিকা :
সুফিবাদ ইসলামি ভাবাদর্শের সর্বোচ্চ স্তরে বিকশিত ধ্যান অনুধ্যানমূলক মরমি চিন্তাধারা।ইসলামের অভ্যন্তরীণ বা বাতেনি দিকই সুফিবাদের অন্তর্নিহিত মূল আদর্শ। সহজ কথায় ধ্যান অনুধ্যানমূলক আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে পরম, একক, অদ্বিতীয় ও সর্বময় সত্তা আল্লাহর সান্নিধ্য ও সাক্ষাৎ উপলব্ধিই সুফিবাদের মর্মকথা।সূফিবাদের এ মৌলিক আদর্শিক ধারাটি মধ্যযুগে বাংলায় অনুপ্রবেশের মধ্য দিয়ে বাঙালির নিজস্ব ভাবধারা ও জীবনাদর্শের
সাথে সংমিশ্রিত হয়ে নব্য সুফিবাদের রূপ লাভ করে । সুফিবাদ মূলত একটি আধ্যাত্মিক সাধন পদ্ধতি যা আধ্যাত্মিক পূর্ণতা লাভের পথে সুফি যেসব তত্ত্ব বা তাত্ত্বিক সাধন প্রক্রিয়াকে ধারণ করে অগ্রসর হন সেগুলোই সুফি তত্ত্ব নামে পরিচিত। বাংলার নব্য সুফিদের অনুসৃত সুফি তত্ত্বসমূহ স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল।
নব্য সুফিবাদের তত্ত্বসমূহ : নব্য সুফিবাদের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দিক উভয়ই আছে। নব্য সুফিবাদের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য এ যে, এখানে সাধনার দ্বারা পরীক্ষিত ও হৃদয় দ্বারা যাচাইকৃত না হলে কোন মতবাদ সত্য হিসেবে মর্যাদা লাভ করেনি। এ কারণে এতে ব্যবহারিক কর্ম বা সাধনা অত্যন্ত অপরিহার্য। সাধনায় যারা বিশেষভাবে অভিজ্ঞ, সিদ্ধহস্ত, সুফিবাদের মূলনীতি সম্বন্ধে বিশেষভাবে অবগত, আধ্যাত্মিক সাধনায় যারা দিব্যজ্ঞান প্রাপ্ত, সত্য নির্ণয়ে যারা দক্ষ, টারাই তত্ত্বদর্শী, কামেল, ফকির কামেল মুরশিদ, কামেল পীর, ধর্মজ্ঞানী, গুরু, মরমি দার্শনিক বা সুফি। আর এ সুফি পধনার পথে বাংলার নব্য সুফিরা যেসব তাত্ত্বিক আলোচনায় মনোনিবেশ করেন বা তত্ত্ব সাধনায় মনোনিবেশ করেন সেগুলোই সুফি তত্ত্ব নামে খ্যাত। নব্য সুফিবাদে যেসব তত্ত্ব আলোচিত হয় সেগুলো নিম্নরূপ :
১. আল্লাহ তত্ত্ব : আল্লাহ তত্ত্বই হচ্ছে সুফিবাদের পরম ও মূলতত্ত্ব। এ পরম একক বা অদ্বিতীয় সত্তার সান্নিধ্য লাভই পৃক্ষর সাধনার মূল লক্ষ্য। সুফিবাদ আল্লাহর একত্ব তথা একত্ববাদে পূর্ণাঙ্গভাবে আস্থা বা বিশ্বাস স্থাপন করে। বলা যায় নির্যাস নিহিত রয়েছে আল্লাহর বা পরমসত্তার একত্বের মন্ত্রে, সুফিদের মতে, এ নির্যাস কোন অনৈসলামিক ব্যাপার নয় বরং তা উদ্ভূত আল্লাহর ‘আল হক’ (সত্য সত্তা) থেকে। তাই সুফিদের মূলমন্ত্র হলো ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ’ দুর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহই যে একমাত্র পরমসত্তা এবং তার সমকক্ষ আর নিয়ে যান চূড়ান্ত পরিণতির দিকে। তাদের মতে, শূন্যতা ও নাস্তিকত্বের বিপরীতে যে পরম বাস্তব অস্তিত্ব তাই যথার্থ সত্তা,, কেউ নেই একথা প্রত্যেক মুসলমান মাত্রই বিশ্বাস করেন। কিন্তু সুফিরা একে শুধু বিশ্বাসের পর্যায়েই সীমিত রাখেন না, চাই পরম আরাধ্য মহান আল্লাহ । সুফিদের আল্লাহর একত্বের মূল উৎস কুরআন ও হাদিস থেকে উৎসারিত।
২. আত্মতত্ত্ব : সাধারণভাবে আত্মা বলতে আমরা এমন একটি আধ্যাত্মিক দ্রব্যক বুঝি যা দেহকে ধারণ থাকে। দর্শনে আত্মার ধারণা বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যাত হলেও সুফিরা আত্মার ধারণা ব্যাখ্যা করেন তাদের স্বকীয় দৃষ্টি থেকে। সুফি দর্শনের ব্যাখ্যায় আত্মার ধারণাটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শিরোনামে আলোচিত হয়েছে। যেমন-আরোহাতত্ত্ব, মনতত্ত্ব, চন্দ্ৰতত্ত্ব ইত্যাদি। সুফি দর্শন অনুসারে মানব দেহের চেতনা বা আত্মাই মন। সুফিরা পরিবর্তনশীল মানসিক ক্রিয়াকেই বুঝেন। পরবর্তীকালের তথা নব্য সুফিরা ‘আরোহা’ শিরোনামেই আত্মা সম্প আলোচনা করেছেন। “আরোহা’ রুহু শব্দের বহুবচন। ইসলাম ধর্মের সাধারণ বিশ্বাসীর মতো সুফিরাও মনে করেন হয় রুহ বা আত্মা পরম আত্মারই অংশ। কিন্তু রুহ বা আত্মার স্বরূপ কি? এ প্রশ্নের কোন সোজা উত্তর সুফিরা দেশটির প্রসঙ্গে সুফিদের মনোভাব ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে মোঃ সোলোয়মান আলী সরকার তাঁর “বাংলার সুফিবাদ। নব্য সুন্নিয় শিরোনামায় প্রবন্ধে বলেন “কেহ যদি জিজ্ঞাসিল আরোহা কি এ, বুলিতে না পারি তারে নিশানি নির্ণয়”, সুফিরা মনে। রুহ ‘’অমর’ অর্থাৎ হুকুম বা আদেশের অন্তর্ভুক্ত, ‘খালক’ অর্থাৎ সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত নয়। দেহ সৃষ্টির পর আত্মাকে দেহের কিছু প্রবেশ করানো হয়েছে। আবার মৃত্যু বা দেহের ধ্বংসের পর আত্মা তার আপন উৎসে ফিরে যায়। তাই সুফি ময়ে, ‘অসৃষ্ট’ ‘অমর’ তাঁদের নিকট আত্মাই হচ্ছে আসল মানুষ। তাই আত্ম জ্ঞানই তাঁদের নিকট তত্ত্ব জ্ঞানের সোপান আর তত্ত্বকে জানে সেই পরম তত্ত্বের জ্ঞান লাভ করে।
৩. নূরনবী তত্ত্ব : সুফিবাদের মূলভিত্তি আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসের মধ্যেই নিহিত। বলা যায় আল্লাহর একত্ব ইসলা ধর্ম, সুফিবাদ ও বাংলার নব্য সুফিদের প্রাণস্বরূপ। তবে সুফিরা আল্লাহর একত্বের সাথে সাথে হযরত মুহাম্মদ (স)-এর নবুয়তের স্বীকৃতি প্রদান করে। তাই তাঁরা “লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাতৃ নেই, হযরত মুহাম্মদ (স) তাঁর প্রেরিত দূত-এ বিশ্বাসকে মনেপ্রাণে ধারণ করে। এ বিশ্বাসকে অন্তরে ধারণ করে পারল ভারত বাংলার কোন কোন যুক্তিবাদী দার্শনিক ও সুফি নবীরস্বরূপ উপলব্ধি ও বর্ণনার চেষ্টা করেন। তাঁদের নবীরস্বরণ বর্ণনার এ প্রচেষ্টাই সুফিবাদে নূরনবী তত্ত্ব নামে পরিচিত। বাংলার নব্য সুফিদের নিকট নূরনবী তত্ত্ব একটি প্রধান আলো ও অনুশীলিত বিষয়। “নবী” শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো আল্লাহর বাণী প্রচারক, আল্লাহর দূত, পয়গম্বর, আম্বিয়া, বর্ত প্রবর্তক সংবাদবাহক ইত্যাদি। ইসলাম ধর্ম অনুসারে প্রথম নবী হযরত আদম (আ) থেকে শুরু করে হযরত মুহাম্মদ (স) পর্যন্ত অসংখ্য নবী রাসূলের আগমন ঘটলেও হযরত মুহাম্মদ (স)-ই ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বশেষ এবং সর্বগুণে গুণান্বিত। তিনি ‘আফজালুর আম্বিয়া” অর্থাৎ নবী শ্রেষ্ঠ। তিনি মানবজাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ এবং তিনিই মানবজাতির একমার আদর্শ। সকল প্রকৃত মুসলমানের মতো সুফিরাও এ মতে বিশ্বাস করেন। তাঁদের মতে, হযরত মুহাম্মদ (স) আল্লাহা প্রেরিত শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক, আদর্শ মানব সৎপথ প্রদর্শক, ন্যায় ও সত্যের বাহক। তাঁর উপরই জিবরাঈল (আ) মারফত কুরআন নাযিল হয়েছে এবং তিনিই শেষ বিচারের দিন সকল মানুষের পাপ মোচন ও মুক্তির জন সুপারিশ করবেন। বাংলার নব্য সুফিরা নূরনবী তত্ত্বের যে বর্ণনা দেন তা থেকে এ তত্ত্বের মোট চারটি দিকের সন্ধান পাওয়া যায়। যথা :
ক. নূরনবীর ধর্মতাত্ত্বিক দিক : মুসলিম জাহানের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান, ধর্ম তত্ত্ববিদ ও সুফিরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন যে, হযরত মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। আল্লাহর দিদার লাভ করতে হলে নবীর পদ অনুসরণ করতে হবে এবং তাঁর দ্বীনকে মেনে চলতে হবে।
খ. নূরনবীর পরাতাত্ত্বিক দিক : নূরনবীর পরাতাত্ত্বিক দিকের সাহায্যে বাংলার নব্য সুফিরা সৃষ্টি তত্ত্বের ব্যাখ্যা দেন। তাঁদের মতে, আল্লাহই একমাত্র পরম সত্য, আল্লাহ নূরের শ্রেষ্ঠ নূর এ প্রসঙ্গে নবী বলেন। আমি নূর আল্লাহর নূর হয়ে সৃষ্ট। “নূরনবী সৃষ্টির কারণেই বিশ্বজগৎ সৃষ্টি হয়। নূরনবী সৃষ্টি না হলে বিশ্বজগৎ ও জগতস্থ কোন কিছুই সৃষ্টি হতো না।”
গ. নূরনবীর মরমি দিক : নূরনবী মরমি দিক থেকে সুফি সিলসিলার সর্বপ্রধান আধ্যাত্মিক গুরু। বাংলার দর সুফিদের মতে, নূরনবী পীরের পীর দস্তগীর মুরশিদের মুরশিদ খোদার ছোট নবীর বড়, নূরনবী আধ্যাত্মিক জ্ঞানের আধার।
ঘ. নূরনবীর মানবিক দিক : বাংলার নব্য সুফিদের মতে, নূরনবী ‘মানুষ’ সোনার মানুষ’ মানুষ রতন, সুফি পরিভাষায় ইহসানুল কামেল বা পূর্ণমানব। ইকবালের ভাষায় মর্দে মুমিন।
৪. প্রেমতত্ত্ব : প্রেমই সুফি দর্শনের মূলকথা। সাধারণভাবে প্রেম বলতে বুঝানো হয় স্ত্রী পুত্র, বস্তু সম্পদ প্রভৃতি পার্থিব বিষয়ের প্রতি আকর্ষণ বা অনুরক্ততাকে। কিন্তু সুফি যে প্রেমের অনুসারী তা এ ধরনের প্রবৃত্তিমূলক নয়। সুফির প্রেম নিঃসৃত হয় হৃদয় থেকে এমন এক সময়ে যখন তিনি উপনীত হন নৈতিক বিকাশের এক উচ্চতর পর্যায়ে এবং তাঁর সব শক্তি ও ইচ্ছাকে চালিত করেন আল্লাহর সঙ্গে মিলনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে। প্রেমই হলো সুফির পরমাত্মার সাথে মিলনের একমাত্র পথ। তাই দেখা যায় বাংলার সুফি দর্শন যুক্তিমূলক জ্ঞানবাদ নয়। এ দর্শন সাক্ষাৎ অনুভূতিমূলক, প্রেম, ভাব, ভক্তিমূলক, আবাবেগমূলক দর্শন। আলোচনার সুবিধার্থে সুফিদের প্রেমকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা : জাগতিক প্রেম বা ভবের পিরিতি ও ঐশী প্রেম বা খোদার পিরিতি। সুফিরা জাগতিক প্রেমকে ঐশী প্রেমের সোপান বলে মনে করেন। আর যে প্রেমের আকর্ষণে মানবাত্মার ও পরমাত্মার মহামিলন ঘটে তাই ঐশী প্রেম। এ প্রেমেই সুফি পাগল ।
৫. সৃষ্টিতত্ত্ব : সুফিবাদের ব্যাখ্যা অনুসারে, স্রষ্টার আনন্দ থেকেই সৃষ্টির সূচনা। তিনি ইচ্ছা করলেন ‘হয়ে যাও’ আর অমনি জগৎ সৃষ্টি হয়ে গেল। তাঁরা মনে করেন সৃষ্টির আদিতে আল্লাহ্ ছাড়া আর কিছুই ছিল না। আল্লাহর কোন আকার ছিল না। তিনি ছিলেন অন্ধকারবৃত্ত। নিজের অজ্ঞাতেই তিনি নিজের নূরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নিজ প্রতিরূপ এক নূরের সৃষ্টি করেন। এ নূর হলেন নূরে মুহাম্মদী বা নূরনবী। বাংলার সুফিদের মতে, আল্লাহ একমাত্র পরম সত্য। ‘আল্লাহ নূরের শ্রেষ্ঠ নূর; নবী বলেন, ‘আমি নূর আল্লাহর নূর হতে সৃষ্ট।’ সুফিরা মনে করেন, নূরনবী সৃষ্টির কারণেই বিশ্বজগৎ সৃষ্টি হয়। নূরনবী সৃষ্টি না হলে বিশ্বজগৎ সৃষ্টি হতো না। এ নূরনবী হতেই দৃশ্য ও অদৃশ্য জগতের সবকিছুর সৃষ্টি।
৭. যোগতত্ত্ব : যোগ তত্ত্ব বলতে মূলত আধ্যাত্মিক সাধকের দেহকেন্দ্রিক এক ধরনের সাধন পদ্ধতিকেই বুঝায়।বাংলার নব্য সুফিদের সাধন পদ্ধতিতে এদেশীয় সাধন পদ্ধতির প্রভাবে দেহ সাধনা আধ্যাত্মিক সাধনার অপরিহার্য অঙ্গে পরিণত হয়। আর বাংলার সুফিদের দেহকেন্দ্রিক যোগচর্চা নির্ভর আধ্যাত্মিক সাধন পদ্ধতিই সুফি যোগতত্ত্ব নামে খ্যাত। বাংলার সুফিরা দেহের মধ্যেই প্রেমাস্পদ, অর্থাৎ পরমসত্তার অনুসন্ধান করেন।সুফি পথ অতিক্রম এবং ঐশী জ্ঞান ও সাক্ষাৎ উপলব্ধির এক গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে জিকির, সুফিদের এই জিকির সাধনা মূলত দেহকে কেন্দ্র করে সম্পাদিত হয়। তাঁরা এ জিকির করেন কখনো দম বন্ধ করে কখনো দমের সঙ্গে দেহের দশ লতিফা আর, আতস, খাক, বাত, নফছ,রুহ, কলব, ছির, খফি ও আখফা অর্থাৎ দেহের দশটি স্থানের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে জিকির করা হয়। আর এখানেই সুফিবাদ দেহ বা যোগ সাধনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা লাভ করে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়। সুফি সাধনার পথ সহজসরল নয় বরং কঠোর ও কঠিন। যদিও এ তাত্ত্বিক পথ সকলের জন্য উন্মুক্ত তথাপি সবার পক্ষে এ পথ অনুসরণ করা সম্ভব নয়। কেবল আল্লাহর ধ্যান ও প্রেমে আত্মোৎসর্গ করার প্রবল ধীশক্তি যার আছে কেবল তিনিই এ পথের যাত্রী হবার যোগ্যতা রাখেন।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!