তাই আমাদের শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইচড়ে পাকানো, আর আমাদের রাজনীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে জাগ দিয়ে পাকানো।” – ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ‘যৌবনে দাও রাজটিকা’ এই প্রবন্ধটিই যৌবন ও সাহিত্য চিন্তা বিষয়ক ফসল। যৌবন মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময় জীবন পরিপূর্ণ হয়ে উঠে, যেমন বসন্ত এলে প্রকৃতি ফুলে ফসলে ভরে উঠে শীতের জরাজীর্ণতা অতিক্রম করে। আমরা প্রকৃতির এ বসন্তকে কামনা ও লালন করলেও জীবনের বসন্তকে আমাদের সমাজে ভালো চোখে দেখা হয় না। যৌবনকে দেখা হয় বৃহৎ ফাঁড়া হিসেবে। এ কারণে আমাদের দেব ঠাকুর, ধর্ম ঠাকুর শিক্ষাগুরু সবার উপদেশ যৌবনকে এড়িয়ে চলো। যৌবন ও বসন্ত এ দুয়ের আবির্ভাব যে একই দেব শক্তির লীলা এরূপ একটি বিশ্বাস আমাদের মনে স্থানলাভ করতে পারে।” তাই আমরা এক লম্ফে বাল্য হতে বার্ধক্যে উত্তীর্ণ হই। আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাও এ ব্যাপারে সাহায্য করে।- “তাই আমাদের শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইচড়ে পাকানো, আর আমাদের রাজনীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে জাগ দিয়ে পাকানো।”
এর ফলে আমাদের জীবনে সূচনা, উপসংহার আছে, কিন্তু মাঝখানটা ফাঁকা, শূন্য। আমাদের দেশের জ্ঞানীরা যৌবন এবং বসন্তকে আলাদা করে দেখতে চান। কারণ উভয়ের মিশ্রণে সমাজে যে পরিবর্তন আসবে- সেকথা ভেবে তারা শঙ্কিত। শীতকে অতিক্রম করে বসন্তের কাছে আত্মসমর্পণ করা যে প্রকৃতির ধর্ম তা আমাদের দেশে জ্ঞানীরা মানতে কুণ্ঠবোধ করেন।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!