Other

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্যগণের যােগ্যতা ও অযােগ্যতাসমূহ উল্লেখ কর। 

অথবা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্যগণের যোগ্যতা ও অযােগ্যতা নিরূপণ কর।
অথবা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্যগণের যােগ্যতা ও অযােগ্যতা তুলে ধর।
অথবা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্যগণের যােগ্যতা ও অযােগ্যতা কী কী?
অথবা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্যগণের যােগ্যতা ও অযােগ্যতা সম্পর্কে কী বিধান আছে?
ভূমিকা :
১৯৭৬ সালের স্থানীয় শাসন অধ্যাদেশ দ্বারা জেলা পরিষদ গঠনের ব্যবস্থা করা হলেও তা কার্যকর করা হয়নি। ১৯৮৭ সালের মন্ত্রিপরিষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৮৮ সালে জেলা পরিষদ আইন পাস করে প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে জেলা পরিষদ গঠন ও চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশের ৩টি পার্বত্য জেলার জন্য স্বতন্ত্রভাবে
জেলা পরিষদ আইন পাস করা হয়েছে ।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্যগণের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা : জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ অনুসারে ৬ নং ধারায় (১) উপধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবার যােগ্য হবেন। যদি-১,
ক, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হন;
খ, তাঁর বয়স পঁচিশ বছর পূর্ণ হয় এবং
গ. তাঁর নাম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতকৃত আপাততঃ বলবৎ ভােটার তালিকার যে অংশ সংশ্লিষ্ট জেলাভুক্ত অথবা ক্ষেত্রমত, উক্ত জেলার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডভূক্ত এলাকা সংক্রান্ত সেই অংশের অন্তর্ভুক্ত থাকে।
২. কোনাে ব্যক্তি চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবার এবং থাকবার যােগ্য হবেন না, যদি-
ক. তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন বা হারান;
খ. তাকে কোন আদালত অপ্রকৃতিস্থ বলে ঘােষণা করে;
গ. তিনি দেউলিয়া ঘােষিত হবার পর দায় হতে অব্যাহতি লাভ না করে থাকেন;
ঘ. তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যান্য দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। এবং তার মুক্তি লাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে;
উ. তিনি প্রজাতন্ত্রের বা পরিষদের বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনাে কর্মে লাভজনক সার্বক্ষণিক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন;
চ, তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য হন বা থাকেন;
ছ, তিনি পরিষদের কোন কাজ সম্পাদনের বা মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদার হন বা হবার জন্য নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হন বা পরিষদের কোন বিষয়ে তার কোন প্রকার আর্থিক স্বার্থ থাকে বা তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অত্যাবশ্যক কোন দ্রব্যের দোকানদার হন;
জ, তিনি একই সঙ্গে চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্যের দুই বা ততােধিক পদে প্রার্থী হন;
ঝ, তাঁর নিকট কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত কোন ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় অনাদায়ী থাকে।
উপসংহার : সরকার স্বেচ্ছায় অথবা কোন অভিযােগের প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদের কার্যাবলি প্রসঙ্গে তদন্ত করতে পারবে। এরূপ তদন্তের পর যদি সরকার মনে করে জেলা পরিষদ তার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ বা জনস্বার্থ বিরােধী তবে জেলা পরিষদ বাতিল বলে গণ্য হবে।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!