জেন্ডার প্রেক্ষিতে অর্থনেতিক ব্যবস্থায় নারীর অবস্থান কেমন?
অথবা, জেন্ডার বিবেচনায় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা বর্ণনা কর।
অথবা, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অবস্থান তুলে ধর।
অথবা, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা উপস্থাপন কর।
অথবা, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অবস্থান বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : ভারত ও বাংলাদেশে অন্যান্য সরকার কাঠামোর চেয়ে স্থানীয় সরকারে বিপুলসংখ্যক নারীর উজ্জ্বল উপস্থিতি নজর কাড়ে। কিন্তু তবুও সামগ্রিক বিচারে এ অঞ্চলে সরকারের সর্বস্তরে জেন্ডার বৈষম্যের সর্বগ্রাসী বিস্তার লক্ষণীয়, যা এখানকার নারী সংকটের অন্যতম কারণ রূপে বিবেচিত হতে পারে। বিশেষ করে অর্থনেতিক ক্ষেত্রে, জেন্ডার
চাহিদা লক্ষণীয়।
অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নারী : নারী স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি অর্থনেতিক উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত। নারী স্বাক্ষরতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির সাথে সাথে বিগত দশকগুলোর তুলনায় বর্তমানে অর্থনীতিতে নারীরা সক্রিয়ভাবে বেশিমাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে ! তবে প্রাথমিক পর্যায়ে নারী শিক্ষার হার যতটা বৃদ্ধি পেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সে মাত্রায় বৃদ্ধি না পাওয়ায় তা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর গুণগত অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এ অঞ্চলের অধিকাংশ নারী শ্রমিক মূলত অপ্রাতিষ্ঠানিক বা অসংগঠিত খাতের সাথে যুক্ত। শিক্ষিত নারীরা আবার স্বাস্থ্যকর্মী বা শিক্ষাগত পেশার দিকে বেশি ঝোঁকে। এ কাজগুলো সাধারণত মেয়েলি কাজ বলে বিবেচিত হয়। রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিগত উভয় খাতের অর্থনেতিক ব্যবস্থাপনার উচ্চ পর্যায়ে নারীর অবস্থান একেবারেই নগণ্য। সুশাসনকে এ ব্যবস্থা অত্যন্ত বাধাগ্রস্ত করছে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে আমরা বলতে পারি, সুশাসন কাঠামোর সকল স্তরে নারীর সংখ্যা ও গুণগত অংশগ্রহণ নারীর ক্ষমতায়নের একটি আবশ্যিক পূর্বশর্ত, যা টেকসই উন্নয়নের পথকে সুগম করে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীদেরকে তাই রাজনৈতিক ও অর্থনেতিক পদ্ধতিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশাসনিক ও নীতিনির্ধারণী উভয় পর্যায়েই নারীকে সংযুক্ত করতে হবে।