Answer

গ্রামীণ অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ।

অথবা, গ্রামীণ অর্থনীতির প্রকৃতি আলোচনা কর।
অথবা, গ্রামীণ অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যাবলি আলোচনা কর।
অথবা, গ্রামীণ অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
উন্নয়নশীল দেশগুলোর বেশিরভাগ লোকই গ্রামে বাস করে। গ্রামীণ উন্নয়নই তাদের সঠিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। গ্রামীণ উন্নয়নই আবার শহরের উন্নয়নের মূলভিত্তি। কাজেই গ্রামীণ সমাজের বৈশিষ্ট্যে বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির পরিচয় ফুটে উঠে।
গ্রামীণ অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য : গ্রামীণ অর্থনীতির নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো রয়েছে :
১. জীবিকা : গ্রামীণ সমাজের জনগণ প্রধানত কৃষিকাজে নিয়োজিত। খুব কম সংখ্যক পরিবার অকৃষি কাজে নিয়োজিত আছে ।
২. পরিবেশ : গ্রামীণ সমাজে ব্যক্তি মানুষ ও সমাজের উপর প্রকৃতির আধিপত্য বিরাজমান। গ্রামীণ সমাজ প্রকৃতির সাথে প্রত্যক্ষ সম্পর্কে আবদ্ধ।
৩. জনগোষ্ঠীর আয়তন : গ্রামীণ সমাজ ছোট ছোট গ্রাম ও পাড়ায় বিভক্ত এবং সমাজব্যবস্থাও বিভক্ত। তবে প্রত্যেক
সমাজের মানুষের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক বিদ্যমান।
৪. জাতিগত ভেদাভেদ : গ্রামীণ সমাজে জাতিগত ভেদাভেদ রয়েছে। এর কারণ হিসেবে বিভিন্ন ধর্মের ও বর্ণের লোক পাশাপাশি বসবাস করে।
৫. চলনশীলতা : গ্রামীণ সমাজে আঞ্চলিক জীবিকা বর্ণ, ধর্মভেদে সর্বপ্রকার সামাজিক চলনশীল মাত্রাভেদে কম।
৬. বিভাজন বা স্তর গড়ন প্রক্রিয়া : গ্রামীণ সমাজের জনগোষ্ঠীর বিভাজন বা স্তর গড়ন অনেক বেশি।
৭. গমনশীলতা : গ্রামীণ সমাজের মানুষের নির্গমন স্রোত শহরাভিমুখী। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের গ্রামের মানুষ বহিরাগমনের স্রোতের ধারায় বর্তমান রয়েছে।
৮. বাসস্থান : গ্রামীণ সমাজের মানুষের বাসস্থান স্থায়ী ধরনের। নিজেদের জায়গায় নিজেরাই কোন রকম কুঁড়েঘর ও মাটির ঘর তৈরি করে বাস করে।
৯. হৃদ্যতা : গ্রামীণ সমাজে মানুষ একে অপরের প্রতি হৃদ্যতা অনেক বেশি। তারা সুখেদুঃখের সাথী ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গ্রামীণ অর্থনীতি গড়ে উঠে বিভিন্ন রকম পরিবেশ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!