গল্পকার আবুল মনসুর আহমদ সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।

উত্তর : আবুল মনসুর আহমদ ১৮৯৮ সালে ময়মনসিংহ জেলার ধানীখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাসাহিত্যের এ কৃতীপুরুষ তাঁর প্রথম জীবনে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। এরপর তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেন। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আবুল মনসুর আহমদ মহাত্মাগান্ধী, মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, জওহর লাল নেহেরু, শেরেবাংলা ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ খ্যাতিমান রাজনীতিবিদের সান্নিধ্য লাভ করে, নিজেকে সমৃদ্ধ করেন। তিনি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ও পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে সাফল্য অর্জন করেছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তিনি ছিলেন সক্রিয় সৈনিক। রাজনীতির পাশাপাশি আবুল মনসুর আহমদ সাহিতচর্চায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। ব্যঙ্গাত্মক গল্প রচনায় তিনি পারদর্শী ছিলেন। তাঁর রচিত ছোটগল্পে সমাজের অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ হানা হয়েছে। আবুল মনসুরের ব্যঙ্গের একটা অসাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো- সে ব্যঙ্গ যখন হাসায় তখন হয় সে ব্যাঙ; কিন্তু যখন কামড়ায় তখন সে হয় সাপ। ‘আয়না’ ও ‘ফুড কনফারেন্স’ আবুল মনসুর আহমদের অত্যধিক জনপ্রিয় গল্পগ্রন্থ। ‘আয়না’ গল্পগ্রন্থভুক্ত ‘হুযুর কেবলা’ গল্পে গল্পকারের বেদনাদীর্ণ হৃদয়ের পরিচয় বিধৃত হয়েছে। এমদাদের প্রতিবাদী চরিত্রের মধ্যে লেখককে খুঁজে পেতে এতটুকু কষ্ট হয় না। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে কালের সাক্ষী এ লেখক- রাজনীতিবিদ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!