Answer

কিন্তু পোড়া চোখের পানি কোন মতেই আসিল না।”- ব্যাখ্যা কর।

উৎস : বক্ষ্যমাণ অংশটুকু সমাজদরদি সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমদ রচিত ‘আয়না’ গল্পগ্রন্থের অন্তর্গত ‘হুযুর কেবলা
শীর্ষক ছোটগল্প থেকে উৎকলিত হয়েছে।
INIE প্রসঙ্গ : এবাদতে নিষ্ঠা আনবার জন্য এমদাদের সমস্ত প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও ব্যর্থ হওয়া প্রসঙ্গে আলোচ্য উক্তির অবতারণা কর
হয়েছে।
বিশ্লেষণ : অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করে কলেজ ছাড়ার পর এমদাদ এখন একজন ধার্মিক ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত
হয়েছে। ধর্মকর্মে এতটাই মনোযোগী হয়েছে যে আধুনিক জীবনযাপন ত্যাগ করে সে সাধারণ জীবনব্যবস্থায় আনন্দবোধ করতে লাগলো। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের কোনোটাই যেন কাজা না যায় সে দিকে সে সর্বক্ষণ খেয়াল রাখল। বেশি বেশি করে সে নফল নামায়। পড়তে লাগল । গোল গোল করে বাঁশের কঞ্চি কেটে সে নিজ হাতে এক ছড়া তসবিহ তৈরি করল। সে তসবির উপর দিয়ে অষ্টপ্রহর আঙুল চালিয়ে সে দুটি আঙুলের মাথা ছিঁড়ে ফেলল। এছাড়া সে দেহের কৃচ্ছতাসাধন শুরু করল। দেহ যেন আত্মাকে ছোট করতে না পারে সেজন্য সে দেহের প্রতি যত্ন নেয়া ছেড়ে দিল। এত কিছুর পরেও একটা অস্বস্তি এমদাদকে ঘিরে ধরল। বহু চেষ্টা করেও সে এবাদতে নিষ্ঠা আনতে পারছিল না। বহু প্রক্রিয়া অবলম্বন করেও পোড়া ঘুম তাকে তাহাজ্জুদের নামায তরক করতে বাধ্য করতে লাগল। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাবার জন্য সে নামাযে বসে খোদার নিকট হাত তুলে কাঁদবার বহু চেষ্টা করল। চোখের পানির অপেক্ষায় আগে হতে কান্নার মতো মুখ করে বিকৃত করে রাখল। কিন্তু পোড়া চোখের পানি কিছুতেই আসল না। অর্থাৎ একটু কেঁদে সে যে হলকা হবে তা’ও হলো না।
মন্তব্য : ভিতরে ভক্তি না থাকলে চোখে-মুখে তার অভিব্যক্তি ফুটে উঠে না। ধর্মের উপর বাড়াবাড়ি রকম জোর দেওয়ায় তার এ রকম অবস্থার কারণ।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!