উপজেলা ব্যবস্থার সাফল্যের পূর্বশর্তসমূহ উলেখ কর।

অথবা, বাংলাদেশের উপজেলা ব্যবস্থার সাফল্যের নিমিত্তে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে?
অথবা, উপজেলা ব্যবস্থার সাফল্যের পূর্বশর্ত বর্ণনা কর।
অথবা, উপজেলা ব্যবস্থার সাফল্যের পূর্বশর্তগুলো লেখ।
অথবা, উপজেলা ব্যবস্থা সফল করার জন্য কী কী ভূমিকা নির্ধারণ করা যেতে পারে?
অথবা, উপজেলা ব্যবস্থার সাফল্যের পূর্বশর্ত কী?
অথবা, উপজেলা ব্যবস্থার সাফল্যের পাঁচটি শর্ত উল্লেখ কর।
অথবা, বাংলাদেশের উপজেলা ব্যবস্থাকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য কী কী ভূমিকা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
উত্তর৷ ভূমিকা : ব্রিটিশ ঔপনিবেশিককালে এবং পাকিস্তান শাসনামলে থানা ছিল একটি প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ একক । জেলা এবং মহকুমা প্রশাসনের পরেই ছিল এর অবস্থান। স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় থানা কাউন্সিলের নাম হয় থানা উন্নয়ন কমিটি। ১৯৭৬ সালে থানা উন্নয়ন কমিটির নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় থানা পরিষদ । ১৯৮৩ সালে থানার নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় উপজেলা এবং থানা পরিষদ হয় উপজেলা পরিষদ।
উপজেলা ব্যবস্থার সাফল্যের পূর্বশর্তসমূহ : জেলা প্রশাসনের পরেই উপজেলা পরিষদ আমাদের দেশের প্রশাসনব্যবস্থার একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। পল্লি এলাকার প্রশাসন, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলা ব্যবস্থার সাফল্যের পূর্বশর্তসমূহ নিম্নরূপ :
১. জাতীয় পর্যায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন : উপজেলা পর্যায়ে গণমুখী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর করে তুলতে হলে জাতীয় পর্যায়েও অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। জাতীয় পর্যায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হলে স্থানীয় বা মাঠপর্যায়ে তা প্রতিষ্ঠিত করা স্ববিরোধিতারই শামিল।
২. আর্থিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা : উপজেলা প্রশাসনকে সফল করে তুলতে হলে আর্থিক ক্ষেত্রে একে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে।
৩. প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মানসিকতার পরিবর্তন : নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে যা সর্বাগ্রে প্রয়োজন তা হচ্ছে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন করা। যে প্রশাসন জনগণ হতে বিচ্ছিন্ন, জনগণের স্বার্থ সম্পর্কে উদাসীন, জনগণের মন-মানসিকতা এবং তাদের প্রয়োজন অনুধাবনে অসমর্থ, সে প্রশাসনের চিন্তা-ভাবনার বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করা আবশ্যক।
৪. জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ : স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়ে যেহেতু এই উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়, সেহেতু তারা স্থানীয় জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। তারা দুর্নীতি বা অন্যভাবে কাজের ফাঁকি দেয়া বা অর্থের অপচয় করলে স্থানীয় জনগণের কাছে তা বোধগম্য হয়। এক্ষেত্রে উপজেলা পরিষদের সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এর সফলতা অর্জন করা যায়।
৫. ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ : বর্তমান যুগে কেন্দ্রীয় সরকারের একার পক্ষে দেশের সব কাজ করা সম্ভব নয়। কাজেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের ভার কমানোর জন্যই স্থানীয় সরকারের জন্ম। উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নের স্বার্থে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ অতি আবশ্যক।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উপজেলা পরিষদের সফলতা নিশ্চিতকরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা আবশ্যক। এছাড়াও জনগণকে স্থানীয় প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আরো সচেতন হতে হবে।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%a4%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc/
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*