Answer

উন্নয়নে নারী নীতিমালার কল্যাণমুখী পদ্ধতি সংক্ষেপে আলোচনা কর।

অথবা, কল্যাণমুখী পদ্ধতি উন্নয়নে নারী নীতিমালার প্রেক্ষাপট সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
অথবা, উন্নয়নে নারী নীতিমালার কল্যাণমুখী পদ্ধতি কী?
অথবা, উন্নয়নে নারী নীতিমালার কল্যাণমুখী পদ্ধতি সম্পর্কে লিখ।
অথবা, উন্নয়নে নারী নীতিমালার কল্যাণমুখী পদ্ধতি সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
কল্যাণমুখী পদ্ধতি ৬০ থেকে ৭০-এর দশকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর নারী উন্নয়নের ক্ষেত্র সবচেয়ে পুরাতন ও জনপ্রিয় ছিল। মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নারীদের প্রধান নির্ভরশীল গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত করে
তাদেরকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এ পদ্ধতি গৃহীত হয়। কল্যাণমুখী পদ্ধতি আসলে সমাজের অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মঙ্গলের একটি সামাজিক নীতি।
কল্যাণমুখী পদ্ধতি : কল্যাণমুখী পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো একজন ভালো মা বা একজন ভালো স্ত্রী হিসেব নারীকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত করা। ধারণা করা হয় যে মা উৎকৃষ্ট নাগরিকের জন্ম দিয়ে উন্নয়নের ক্ষেত্রে কার্যক ভূমিকা বা অবদান রাখতে পারে। এ সময় পরিবার পরিকল্পনা, খাদ্য, সাহায্য, স্যানিটেশন ইত্যাদি বিষয়ে নারীকে দক্ষ
করে তোলার পদক্ষেপ নেয়া হয়। এ পদ্ধতিতে নারীকে মাতৃত্ব ও পারিবারিক কাজের প্রতি উৎসাহিত করা হয়। পুরুষ অথ উপার্জন করে সংসারের উন্নয়ন ঘটাবে এবং তার মাধ্যমে নারীর উন্নয়ন ঘটবে কল্যাণমুখী পদ্ধতি সাধারণত তিনটি ধারণার উপর নির্ভরশীল। যথা :
ক. উন্নয়নের ধারায় নারীরা পরোক্ষ অংশগ্রহণকারী।
খ. মাতৃত্বই নারীর প্রধান ভূমিকা এবং
গ. সন্তান লালন পালনই নারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
উপসংহার : আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, উপরের আলোচনায় নারী উন্নয়নে কল্যাণমুখী পদ্ধতির যে ভূমিকা বা ইতিবাচক দিক আলোচনা করা হলো তাতে প্রমাণিত হয় নারী উন্নয়নে কল্যাণমুখী পদ্ধতি একটি মাইলফলক। নারী কল্যাণে কল্যাণমুখী পদ্ধতির অনুসরণ করা যে কোনো রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য বিষয়।

পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!