উন্নয়নে নারী নীতিমালার দারিদ্র্য বিমোচন পদ্ধতি সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
অথবা, উন্নয়নে নারী নীতিমালার দারিদ্র্য বিমোচন প্রক্রিয়া সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
অথবা, উন্নয়নে নারী নীতিমালার দারিদ্র্য বিমোচন প্রক্রিয়া বলতে কী বুঝ?
অথবা, উন্নয়নে নারী নীতিমালার দারিদ্র্য বিমোচন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
অথবা, উন্নয়নে নারী নীতিমালার দারিদ্র্য বিমোচন প্রক্রিয়া উল্লেখ কর।
অথবা, উন্নয়নে নারী নীতিমালার দারিদ্র্য বিমোচন পদ্ধতি সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সময়ের দাবি ও কালের বিবর্তনে উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণের বাধা ভিন্ন ভিন্ন রূপে প্রতিভাত হতে থাকে। দারিদ্র্য বিমোচন এপ্রোচ তেমনি একটি ধারা। এটি গত শতাব্দীর আশির দশক হতে শুরু হয়। এ কর্মসূচির . অন্যতম লক্ষ্য নারীদের ঋণ সুবিধা দিয়ে তাদের কর্মমুখী করে গড়ে তোলা।
দারিদ্র্য বিমোচন পদ্ধতি : বিংশ শতাব্দীর ৮০ এর দশক হতে দারিদ্র্য বিমোচন পদ্ধতির প্রচলন হয়। এটি মূলত সমতাভিত্তিক পদ্ধতিরই বিকল্প পদ্ধতি মাহবুব-উল হক হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়- সমতাভিত্তিক পদ্ধতি সম্পর্কে একটি রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় পরবর্তীতে এটি দারিদ্র্য বিমোচন পদ্ধতিতে রূপ নেয়। দারিদ্র্য বিমোচন পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো দরিদ্র নারীদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করা। এ পদ্ধতি অনুযায়ী নারীরা হলো ‘দরিদ্রের মধ্যে দরিদ্রতম’ (poorest of the poor)। তাই দরিদ্র নারীদের পরিবারের চাহিদা পূরণের জন্য সাহায্য প্রয়োজন। এখানে নারীর দারিদ্র্যকে দেখা হয় অনুন্নয়নের একটি সমস্যারূপে, নারীর অধস্তনতারূপে নয়। অর্থাৎ নারীর অধস্তন অবস্থা নয়, দারিদ্র্যতাই হচ্ছে নারী-পুরুষের মধ্যকার অসমতার মূল কারণ। দারিদ্র্য বিমোচন পদ্ধতির সুফল অর্জনে নারীর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা হয় এবং আয় উপার্জন ও দক্ষতার উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পভিত্তিক প্রকল্প ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পে নারীদের উৎসাহ প্রদান করা হয়।
উপসংহার : পরিশেষে আমরা বলতে পারি, এ পদ্ধতির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে নারীদের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ ও তাদের কর্মসংস্থানের যোগান দিয়ে জাতীয় দারিদ্র্য দূরীকরণ আন্দোলনে নারীদের সম্পৃক্ত করা। তাই নারী উন্নয়নে দারিদ্র্য বিমোচন পদ্ধতি খুব গুরুত্বপূর্ণ।