ইতিবাচক সামাজিকীকরণ কী?
অথবা, নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ বলতে কী বুঝ?
অথবা, নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ কাকে বলে?
অথবা, নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ কী?
অথবা, নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ সম্পর্কে যা জান লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা : সামাজিকীকরণ দৃষ্টিভঙ্গিগত দিক থেকে দুই ধরনের হতে পারে। একটি ইতিবাচক অন্যটি নেতিবাচক। ইতিবাচক সামাজিকীকরণ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির উপর প্রতিষ্ঠিত এবং গণতান্ত্রিক ও সমমর্যাদাভিত্তিক মূল্যবোধ দ্বারা গঠিত। বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় নারীর সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া মুখ্যত নেতিবাচক। তাই সমাজের মূলধারায় নারীর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হলে এক্ষেত্রে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির অনুপ্রবেশ ঘটানো প্রয়োজন ।
নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ কী : ইতিবাচক সামাজিকীকরণ এমন এক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন নারী পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে সক্ষম হয় এবং ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত সম্পর্কিত জ্ঞান লাভ করে। এক্ষেত্রে ছেলেদের জন্য এবং মেয়েদের জন্য ভিন্ন কিছু নেই। পারিবারিক ক্ষেত্রে নারীর এবং পুরুষের মতামতের ক্ষেত্রে যৌক্তিকতাই প্রধান। নারীর ভাবমূর্তি পুরুষের অধীনস্থ বা পুরুষের তুলনায় নিকৃষ্ট (Inferior) বলে বিবেচিত হয় না।নৈতিক মানদণ্ডে নারী-পুরুষ, ছেলে-মেয়ে ইত্যাদি বিভাজন ইতিবাচক সামাজিকীকরণে অনুপস্থিত। নৈতিক শিক্ষাই মানুষকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। তাই এক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই সমান মর্যাদা, অধিকার এবং দৃষ্টিভঙ্গি দান করাই হলো ইতিবাচক সামাজিকীকরণ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আমাদের পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধিই নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ ঘটাতে পারে। পরিবারে যদি নারী-পুরুষের পারস্পরিক সম্পর্ক সমমর্যাদা সম্পন্ন হয়, তবে শিশুর মাঝেও সবাইকে সমান মর্যাদা দানের অভ্যাস গড়ে উঠে। যেহেতু নেতিবাচক সামাজিকীকরণ নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতা বৃদ্ধি করে সেহেতু আমাদেরকে অবশ্যই নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণকে প্রাধান্য দেয়া প্রয়োজন।